Wednesday 24 February 2016

International Law

ক- বিভাগ
প্রশ্ন-১ আন্তর্জাতিক আইন কি? আন্তজার্তিক আইনের উৎসসমূহ আলোচনা কর। আন্তজার্তিক আইনে উৎস হিসাবে উদাহরণ সহ আইনের সাধারণ নীতিসমূহ ব্যাখ্যা কর।
আইনের যেমন সর্বজনস্বীকৃত সংজ্ঞা নেই, আন্তজার্তিক আইনের সংজ্ঞা প্রদানেও আইনজীবিগন কোন ঐক্যমত্যে উপনীত হতে পারেননি, কেননা বিভিন্ন সময়ে , বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আইনবিজ্ঞানীগণ একে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষন করেছেন।
সাধারণভাবে আন্তর্জাতিক আইন বলতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সমন্বয়ে সৃষ্ট আইন, যা এক রাষ্ট্র বা জাতির সাথে অন্য রাষ্ট বা জাতির সম্পর্ক নির্ধারণ করে।আন্তর্জাতিক আইন কোন একক রাষ্ট্রের সৃষ্টি নয়। এ আইন বিভিন্ন রাষ্ট্রের ঐকমত্য ও অংশগ্রহনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এবং তা প্রত্যেক রাষ্ট্রের নিজস্ব স্বার্থ,সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অন্য রাষ্ট্রের সাথে সুস্পকৃ বজায়রাখার জন্য সৃষ্ট।প্রত্যেক রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন শ্রদ্ধার সাথে মেনে চলতে দায়বদ্ধ।প্রধানত দু ইবা ততোধির রাষ্ট্রের সার্থে সৃষ্ট সন্ধি চুক্তির মাধ্যমে এ আইনের সৃষ্টি। চুক্তিভ’ক্ত রাষ্ট্র গুলো এ আইন মেনে চলতে বাধ্য। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যতিক্রমও দেখা যায়। রাষ্ট্রীয় আইন থেকে আন্তর্জাতিক আইন চারিত্রিক দিক থেকে পৃথক; এ আইন জনগনের জন্য নয়,রাষ্ট্রের জন্যঘোষিত। আন্তজাতিৃ আইন নিশ্চিত করার জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থা গঠিত হয়েছে এবং কয়েকটি ঘোষনা  কনভেনশন ঘোষিত হয়েছে।
বিশেষ অবস্থিত রাষ্ট্রসমূহের পরস্পর সম্পর্ক স্থাপন ও নিয়ন্ত্রন বিধিকেই আন্তজার্তিক আইন বলে।
১৭৮০ সালে বিশিষ্ট আইনজীবি জেরেনী বেনথাম আন্তজার্তিক আইন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। পূর্বে ইহাকে জাতিসমূহের আইন বলা হত।
অধ্যাপক ওপেন হাম এর মতে, আন্তজার্তিক আইন বলতে সে সকল প্রচলিত প্রথা বা রীতিনীতি কে বোঝায় যা বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় এবং কার্য়করী বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
১৯২৭ সালে ঝঝ খড়ঃঁং মামলায় আন্তজার্তিক আইন বলতে সকল স্বাধীন জাতি সমূহের মধ্যে বলবৎ যোগ্য নীতি সমূহকে বোঝানো হয়েছে।
আন্তজার্তিক আইনের জনক-হুগো গ্রোসিয়াস
আন্তর্জাতিক আইনের উৎস:
উৎস বলতে উৎপত্তি স্থল বুঝায়। তাই আন্তজার্তিক আইনের উৎস বলতে কিভাবে এ আইনের সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝায়। আন্তজার্তিক আইন প্রণয়নের জন্য কোন সংসদ নেই বা এটি কোন সাবৃভৌম কর্তৃপক্ষের প্রণীত আইন নয়। এর কোন নির্দিষ্ট উৎস নেই।
 ড: লরেন্সের মতে, আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে আইন হিসেবে যখন যাত্রা শুরু করে তাকে উৎস হিসেবে আখ্যায়িত করলে রাষ্ট্রসমূহের সম্মতি হচ্ছে আন্তজার্তিক আইনের একমাত্র উৎস। এরুপ সম্মতি ব্যক্ত বা অব্যক্ত হতে পারে। সন্ধি-চুক্তি বা আন্তজার্তিক দলিলপত্র যেগুলি সন্ধির মত গুরুত্ব পেয়ে থাকে সেগুলি হচ্ছে ব্যক্তি সম্মিতির প্রতিফলন। প্রথা বা আন্তজার্তিক রীতিনীতি যেগুলি আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে লেনদেনে ব্যাপারে রাষ্ট্রসমূহ যুগ যুগ ধরে মেনে আসছে তা হচ্ছে অব্যক্ত সম্মতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী আন্তজার্তিক আদালত স্থাপিত হয়েছে সে সংবিধির ৩৮(১) অনুচ্ছেদে নিম্নোক্তগুলিকে আন্তর্জাতিক আইনের উৎস বলা হয়েছে।
১) আন্তজার্র্তিক কনভেনশন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিধিসমূহ
২) আন্তজার্তিক প্রথা।
৩) সভ্য জাতি কর্তৃক স্বীকৃত আইনের সাধারণ নীতিসমূহ।
৪) ৫৯ নং অনুচ্ছেদ সাপেক্ষে বিচারিক সিন্ধান্ত
প্রচলিত আইনে নি¤েœাক্তগুলো পরিলক্ষিত হয়-
১) প্রচলিত প্রথা ও রীতিনীতি:আন্তজার্তিক আইনমূলত প্রথা ভিত্তিক আইন। প্রথাকেই আন্তজার্তিক আইনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে গন্য করা হয়।
২) সন্ধি বা চুক্তি: পরস্পরের মধ্যে অধিকার ও দায় দায়িত্ব সৃষ্টির জন্য দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পদিত চুক্তিই হচ্ছে সন্ধি। সন্ধি-চুক্তিকে আন্তজার্তিক আইনের বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
৩) বিচার বিভাগীয় সিন্ধান্ত:বিচার বিভাগীয় সিন্ধান্ত সমূহকেও আন্তজার্তিক আইনের অন্যতম উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়।
৪) আইনের সাধারণ নীতি সমূহ: আইনের সাধারণ নীতিসমূহকে আন্তজার্তিক আইনের সহায়ক উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।
৫) আইন শাস্ত্রের উপর রচিত পুস্তকাদি: সমগ্র বিশ্বের খ্যাতিমান ভাষ্যকার ও আইনবিদগণের রচিত পুস্তাকাদিও আন্তজার্তিক আইনের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন- যুদ্ধ বনাম শান্তি
৬) রাষ্ট্রীয় দলিলাদি:বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে আন্তজার্তিক সমস্যাবলী ও পারস্পরিক লেনদেনের প্রশ্নে যে সকল কাগজপত্র ও দলিল পত্রের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা হয় এবং সুপারিশ সমুহ লিপিবদ্ধ করা হয়, সেগুলোও আন্তজার্তিক আইনের অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
৭) রোমান আইন: সর্বোপরি আন্তজার্তিক আইনের উৎস হিসেবে রোমান আইনের অবদান অপরিসীম। আন্তজার্তিক আইনের মূল কাঠামোর সাথে রোমান আইনের যথেষ্ট সামঞ্জস্য বিদ্যমান। আন্তজার্তিক আইনের উন্নতি ও ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে রোমান আইনের অবদান কালের নিরিক্ষে সমূজ্জ্বল থাকবে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষপটে আমরা বলতে পারি যে, একটি নয়-বরং বহুবিদ উৎস্যের সমন্বয়ে আন্তজার্তিক আইন বিকাশ লাভ করেছে।
আন্তজার্তিক আইনে উৎস হিসাবে উদাহরণ সহ আইনের সাধারণ নীতিসমূহ ব্যাখ্যা:
আন্তজার্তিক আদালতের গঠন তন্ত্রে লিপিবদ্ধ আছে যে, জটিল সমস্যার সমাধান ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তজার্তিক আদালত আইনের সাধারণ নীতিসমুহ অনুসরণ ও প্রয়োগ করতে পারেন (সংবিধির  ৩৮(১/গ) অনুচ্ছেদে) । এই সংবিধির বক্তব্য অনুযায়ী সভ্যজাতিসমুহ কর্তৃক স্বীকৃত আইনের সাধারণ নীতিসমূহ আন্তজার্তিক আইনের এক অন্যতম উৎস।এ সাধারণ নীতিসমূহ দুই প্রকার হতে পারে-
১) আন্তজার্তিক আইনের সাধারণ নীতিসমূহ:সাধারণ নীতিসমূহ আন্তজার্তিক আইনের প্রত্যক্ষ উৎস নয়, কিন্তু আন্তজার্তিক আইনের উৎস নির্ণয়ে সহায়তা করে।
আন্তজার্তিক আইনের একটা নীতি হচ্ছে, যে কোন চুক্তিভঙ্গের ফলে যে পক্ষের ক্ষতিসাধিত হয় সে পক্ষ ক্ষতিপূরণ পাবে।
২) রাষ্ট্রীয় আইনের সাধারণ নীতিসমূহ:অনেক সময় রাষ্ট্রীয় আইনের সাধারণ নীতি সমূহ আন্তজার্তিক আইনে সাধারণ নীতিরুপে কাজ করে।
রাষ্ট্রীয় আইনের কিছু নীতিমালা আন্তজার্তিক আইনের উৎস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের যে আইন ব্যবস্থাগুলোকে বৃহৎ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়-
ধর্মীয় আইন ব্যবস্থা-মুসলিম আইন,হিন্দু আইন।
কমন ’ল’ ব্যবস্থা-যুক্তরাজ্য,ভারত,বাংলাদেশ।
সমাজতান্ত্রিক আইন ব্যবস্থা-চীন,কিউবা।
সিভিল আইন ব্যবস্থা-ফ্রান্স,জার্মানী,ইতালী।
প্রথাভিত্তিক আইন ব্যবস্থা- মধ্য আফ্রিকার রাষ্ট্রসমূহ।
আন্তজার্তিক আদালত কর্তৃক যেসব মামলায় আইনের এ সাধারণ নীতিসমুহ প্রয়োগ করা হয় তন্মেধ্যে
ঈযড়ৎুড়ি ঋধপঃড়ৎু ঈধংব (এবৎসধহু ঠং চড়ষধহফ চঈওঔ,১৯২৮) এবং 
ইধৎপবষড়হধ ঞৎধপঃরড়হ চড়বিৎ ্ খরমযঃ ঈড় খঃফ (ইবষমরঁস ঠ. ঝঢ়ধরহ ওঈঔ,১৯৭০) মামলা উল্লেখযোগ্য।
প্রথম মামলাটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মান ও পোল্যন্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কিত। চুক্তিতে একটি বিধান রয়েছে যে, পোল্যন্ডের অন্তভুক্ত আপার সাইলোশিয়াতে জার্মান স্বার্থ সংরক্ষিত হবে এবং সেখানে জার্মানির কিছু কোম্পানী রয়েছে যা বাজেয়াপ্ত করা যাবে না। কিন্তু পোল্যান্ড চুক্তিভঙ্গ করে জার্মানির দুটি কোম্পানী বাজেয়াপ্ত করে। জার্মানী ক্ষতিপূরণ দাবী করে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তজার্তিক আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত তার রায়ে বলেন যে, দুটো কোম্পানী বাজেয়াপ্ত করে পোল্যান্ড যে ক্ষতিসাধন করেছে সেজন্য পোল্যান্ড জার্মানীকে ক্ষতি প্রদান দিতে বাধ্য। কারণ আইনের একটি নীতি হচ্ছে যে, কোন চুক্তি ভঙ্গের ফলে যে পক্ষের ক্ষতি সাধিত হয় সে পক্ষ ক্ষতিপূরণ পাবে।

প্রশ্ন-২ আন্তজার্তিক আইনের দূবলতাসমূহ ব্যাখ্যা কর। এই আইন লংঘনের প্রতিকার সমূহ কি? উল্লেখযোগ্য মামলার আলোকে বাংলাদেশে আন্তজার্তিক আইনের প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর।
আন্তজার্তিক আইন যদিও বিশ্বমানবতার কল্যাণে নিয়োজিত, তথাপি এর সীমাবদ্ধতা বা ক্রটিপূর্ণ ব্যবস্থার কারণে একে একটি পূণাঙ্গ কল্যানমূখী আইনের পর্যাযভুক্ত করা যায় না।
আন্তজার্তিক আইনের ক্রটিসমূহ:
১) আন্তজার্তিক আদালত নামে যে সংস্থাটি আছে তার কোন সার্বজনীন বাধ্যকরি এখতিয়ার নেই। এই আদালতের রায় গ্রহন করা বা প্রত্যাখ্যান করা ঐ রাষ্ট্রের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।
২) আন্তজার্তিক আইনের প্রয়োগিক ক্ষমতা না থাকায় এই আইনের বিধান লংঘনকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হয় না।
৩) ৫ টি স্থায়ী শক্তিশালী সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা সম্ভবপর হয় না।
৪) আন্তজার্তিক কোন সংগঠনকে কোন অভ্যান্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা প্রদান করে না।
৫) আন্তজার্তিক আইন না পারে কোন প্রয়োজন মেটাতে না পারে বিশ্ববিবেকের নিকট আপীল উত্থাপন করতে।
আন্তজার্তিক আইন লংঘনের প্রতিকার:
আন্তজার্তিক আইনের প্রায়োগিক ক্ষমতা না থাকায় এই আইনের বিধান লংঘনকারীদের কোন ক্ষতিপূরণ দিতে হয় না বা কোন প্রকান শাস্তি ভোগ করতে হয় না। জাতিসংঘের সনদে অবশ্য আগ্রাসনকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের বিধান রয়েছে। এর মধ্যে রযেছে জাতিসংঘের সদস্যপদ হতে সাসপেন্ড করা বা বহিস্কার করা অর্থনৈতিক অবরোধ এবং সামরিক ব্যবস্থা গ্রহন। কিন্তু এগুলি একমাত্র নিরাপত্তা পরিষদ গ্রহন করতে পারে এবং এ পরিষদে ৫ শক্তিশালী সদস্য রাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা আছে। কাজেই দেখা যায় যে, ঐ ৫ সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এমনকি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরণের কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না যতক্ষন পর্যন্ত এ ৫ শক্তিশালী সদস্য রাষ্ট্র ঐকমত্যে না পৌছে।
আন্তজার্তিক আইন কোন নির্দিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রণীত হয় না,আবার এই আইন লংঘন করলে বা মানতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে তা মানতে বাধ্য করা যায় না। এতদসত্বেও বিশ্বেও প্রায় সকল রাষ্ট্রই আন্তজার্তিক আইনের নিধানাবলী মেনে চলে, যদিও কিছু কিছু লংঘনের ঘটনাও ঘটে থাকে। এর কারণসমূহ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাম্প্রতিকালের আইনবিদ্রা সম্মতি মতবাদ কে এর ভিত্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ওপেন হামের মতে, আন্তজার্তিক আইন হচ্ছে সে সকল প্রথাসিদ্ধ নিয়মকানুন যা সভ্য রাষ্ট্র সমুহকে পারস্পরিক আদান প্রদানে আইনত মেনে চলতে হয়।
হল এর মতে, আধুনিক সভ্য রাষ্ট্রসমূহ তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে যে সকল আচরণবিধিকে অবশ্য পালনীয় বলে মনে করে তাই আন্তজার্তিক আইন।
লরেন্স বলেন, যে সকল বিধানসমূহ সভ্যরাষ্ট্রসমূহের পারস্পরিক আদান প্রদানে তাদের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রন করে তাই আন্তজার্কি আইন।
১৯২৭ সালে বিখ্যাত লোটাস মামলায় স্থায়ী আন্তজার্তিক বিচারালয় মন্তব্য করেন যে, আন্তজার্তিক আইন সকল স্বাধীন জাতিসমূহের মধ্যে বলবৎ নীতিসমূহ।
বর্তমান বিশ্বে কোন রাষ্ট্রই একাকী চলতে পারে না। শিল্প বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কার ব্যবসা বাণিজ্যের অভাবনীয় প্রসারেরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে পারস্পরিক লেনদেন তথা নির্ভরশীলতা অধিক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। তাই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সভ্য রাষ্ট্রসমূহ নিজেদের প্রয়োজনেই আন্তজার্তিক আইনের বিধানসমূহ মেনে চলে থাকে। তাই যথার্থই বলা হযে থাকে যে, আন্তজার্তিক আইনের বাধ্যকরী ক্ষমতা হচ্ছে সম্মতি।
প্রশ্ন-৩ সন্ধির সংজ্ঞা দাও। চধপঃধ ঝঁহঃ ঝঁৎাবহফধ নীতি ব্যাখ্যা কর। আন্তজার্তিক আইনে সন্ধি ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্য দেখাও। আন্তজার্তিক আইনে চুক্তির শর্ত সংরক্ষণ কি? বিভিন্ন রাষ্ট্র শর্ত সংরক্ষনের ফলাফল ব্যাখ্যা কর। জবনঁং ংরব ংঃধহঃরনঁং মতবাদ ব্যাখ্যা কর।

সাধারণভাবে  বলতে দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে সম্পদিত চুক্তিপত্রকে বুঝানো হয়ে থাকে। তবে, আন্তর্জাতিক আইনে সন্ধি বলতে দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ সম্পাদিত বিষয়ে গৃহীত চুক্তিপত্রকে বুঝায়।
পরস্পরের মধ্যে অধিকার ও দায় দায়িত্ব সৃষ্টির জন্য দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পদিত চুক্তিই হচ্ছে সন্ধি।
প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক আইন বিশারদ অধ্যাপক ওপেনহ্যাম সন্ধির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন যে, ’পরস্পরের মধ্যে অধিকার ও দায়দায়িত্ব সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে আলাপ আলোচনার দ্বারা যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তাই সন্ধি’।
চধপঃধ ঝঁহঃ ঝঁৎাবহফধ নীতি ব্যাখ্যা:
”চুক্তি অবশ্য পালনীয়” নীতিটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সংক্রান্ত আইনের ২৬ নং অনুচ্ছেদটির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক বলবৎযোগ্য চুক্তি উহার পক্ষ সমূহের জন্য অবশ্য পালনীয় এবং চুক্তিভূক্ত পক্ষসমূহ উহা সরল বিশ্বাসে কার্যে পরিণত করবে।
আন্তজার্তিক আইনে সন্ধি ও চুক্তির মধ্যে পাথক্য:
আন্তজার্তিক আইনে চুক্তির শর্ত সংরক্ষণ কি:
বিভিন্ন রাষ্ট্র শর্ত সংরক্ষনের ফলাফল ব্যাখ্যা:
জবনঁং ংরব ংঃধহঃরনঁং মতবাদ ব্যাখ্যা:
’রিবাস সিক স্ট্যানটিবাস’ রোমান আইনের একটি সুপরিচিত নীতি। চুক্তির বিশেষ পরিস্থিতিগত কারণে এ নীতিটি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
’রিবাস সিক স্ট্যানটিবাস’ নীতি বলতে অবস্থার পরিবর্তনের চুক্তি পালনের বাধ্যবাধকতা হতে নিষ্কৃতি লাভ করাকে বুঝায়।আন্তর্জাতিক আইনে সন্ধি চুক্তির একটি শর্ত হল যে,যেসব পনরস্থিতির মধ্যে কোন চুক্তি সম্পাদিত ও গৃহীত হয়, অনুরুপ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্যভাবে মৌলিক কোন পরিবর্তন সাধিত হলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাবে। ফলশ্রুততে চুক্তিজনিত বাধ্যবাধকতাসমূহের অবসান ঘটবে।
তবে অবস্থার কোন মৌলিক পরিবর্তনের কারণে কেবল সেসব ক্ষেত্রেই কোন চুক্তির অবসান ঘটবে না যে সব ক্ষেত্রে-
ক )চুক্তিটির দ্বারা কোন সীমানা নির্ধারণ করা হয়; বা
খ) চুক্তির যে পক্ষ মৌলিক পরিবর্তনকে কারণ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, যদি সে পক্ষ কর্তৃক চুক্তিটির অধীনে কোন দায়িত্ব বা চুক্তিটি অপর কোন পক্ষের প্রতি অন্য কোন আন্তর্জাতিক দায়িত্ব লংঘনের ফলে অনুরুপ পরিবর্তন ঘটে।এরুপ মৌলিক পরিবর্তনের কারণে চুক্তিটির কার্যকারিতা স্থগিত থাকতে পারে।
সুতরাং দেখা যায়যে,প্রত্যেক সন্ধি চুক্তিতে চুক্তি স্থিতিবস্থা সর্বক্ষেত্রে অপরিবর্তনীয়। ইহাকে আন্তজার্তিক আইনে জবনঁং ংরব ংঃধহঃরনঁং মতবাদ বলে।
এমতবাদের মূল কথা হল যে,কোন সম্পাদিত চুক্তির স্থিতিবস্থা সবক্ষেত্রেই অপরিবর্তনীয়। অর্থাৎ সম্পাদিত এরুপ সকল চুক্তির ক্ষেত্রে এমন একটি অব্যক্ত বা অপ্রকাশিত শর্তবলবৎ থাকে যে, চুক্তিটি যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সম্পাদিত হয়েছে ,সে অবস্থার কোন গুরুত্বপূর্ণ পরিবতন ঘটতে পারবে না।
মতবাদটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এই যে,যে সকল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কোন চুক্তি সম্পাদিত এবং অনুমোদিত হয়. অনুরুপ পরিস্থিতির মৌলিকগত কোন পরিবর্তন সাধিত হলে সন্ধিটি বাতিল বলে বিবেচিত হবে এবং উক্তরুপ চুক্তিজনিত সমস্তবাধ্যবাধকতা বা দায় দায়িত্বের অবসান ঘটবে। ইহাই জবনঁং ংরব ংঃধহঃরনঁং মতবাদ।
সুতরাং এমতবাদ অনুসারে কোন চুক্তি তখই বাতিলযোগ্য বলে বিবেচিত হয়,যখন উহার অত্যাবশ্যকীয় কোন মৌলিক অবস্থার অবসান বা পরিবর্তন ঘটে।
১) যোগ্যতা
২) পূণ ক্ষমতা সম্পন্ন
৩) সম্মতির স্বাধীনতা
৪) আন্তজার্তিক আইনের সাথে সামজ্ঞস্যতা
৫) রাষ্ট্রীয় আইন সভার অনুমোদন।
৬) দেশীয় আইনে অনুমোদন
অবসায়ন:
১) মেয়াদ উত্তীণ
২) চুক্তি আইন দ্বারা অথবা বিধানাবলী দ্বারা
৩) পক্ষ সমূহ দ্বারা
৪)চুক্তি ভঙ্গের ফলে
৫) চুক্তির মূল উদ্দেশ্য সাধনে ব্যাঘাত
৬)আন্তজার্তিক আদালতের মাধ্যমে
৭) উভয় পক্ষের সম্মতি দ্বারা

প্রশ্ন-৪ কুটনীতিক কারা? কুটনীতিকের সুবিধা ও দায়মুক্তি সমুহ বর্ণনা কর। এই সুবিধা ও দায়মুক্তি কি আন্তজার্তিক সংগঠন ও কনসালটেন্ট এর জন্য প্রযোজ্য? এসব সুবিধা ও দায়মুক্তি কি প্রত্যাহার করা যায়? কুটনীতিকগন কর্তৃক এ সুবিধা অপব্যবহারের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়?
কূটনৈতিক কারা:
উরঢ়ষড়সধপু বা কূটনীতি শব্দটি গ্রীক ভাষা হতে উদ্ভূত যার অর্থ হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে আন্তজার্তিক সম্পর্ক পরিচালনা। তাই কূটনৈতিক প্রতিনিধি বলতে আন্তজার্তিক সমপর্ক পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যক্তিগনকে বুঝায়। প্রাচীন কাল হতেই কূটনৈতিক প্রতিনিধির প্রচলন চলে আসছে। ১৮১৫ সালের ভিয়েনা কংগ্রেস এবং ১৮১৮ সালের সম্মেলনে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের নি¤েœাক্ত তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে-
রাষ্ট্রদূত(অসনধংংধফড়ৎ)
বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা দূত
আবাসিক দুত
চার্জ দ্য এফেয়ার্স
যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা অনষ্ঠিত হয় সেই প্রক্রিয়াকে কুটেনৈতিক বলা হয়। কুটনৈতিক হচ্ছে স্বাধীন রাষ্ট্র সমূহের সরকারের মধ্যে সরকারী পর্যায়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশল ও বুদ্ধমত্তার প্রয়োগ। কুটনৈতিক হচ্ছে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আন্তজার্তিক সম্পর্ক পরিচালনা।
সুবিধা ও দায় মুক্তি:
১) ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
২) ফৌজদারী এখতিয়ার হতে দায়মুক্তি
৩) দেওয়ানী ও প্রশাসনিক এখতিয়ার হতে অব্যাহতি
৪) কর প্রদান হতে অব্যাহতি
৫) যোগাযোগের স্বাধীনতা: কূটনৈতিক প্রতিনিধির দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য নিজ দেশের সাথে এবং অন্যত্র যোগাযোগের জন্য তাঁর পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।
কুটনৈতিক স্টাফ:কূটনৈতিক প্রধানের অধীনে বেশ কিছু সংখ্যক স্টাফ থাকেন যাদিও অধিকাংশই প্রেরনকারী দেশের নাগরিক। মিশনে দুই ধরণের স্টাফ দেখা যায়।
১) কুটনৈতিক
২) অকুটনৈতিক
১) কুটনৈতিক :মিশন প্রধান ছাড়া কাউন্সেলার, প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেক্রেটারী এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরি যথা, সামরিক,রাজনৈতিক ইত্যাদিও এ্যাটাচে কূটনৈতিক স্টাফ।
২) অকুটনৈতিক:প্রশাসনিক, কারিগরি ও সেবক কর্মচারীগন অকূটনৈতিক।
কূটনৈতিক স্টাফের সকলেই এবং অকূটনৈতিক স্টাফের অধিকাংশ নিজ দেশের নাগরিক। তবুও তুলনামূলকভাবে কূটনৈতিক স্টাফ বেশী সুযোগসুবিধা ভোগ করে। কতিপয় কর্মচারী যেমন, অভ্যর্থনাকারী, অনুবাদক, গাড়ীচালক, গার্ড ইতাদি গ্রাহক দেশের নাগরিকদের মধ্য হতে নিয়োগ করা হয় এবং তাদেরকে স্থানীয় স্টাফ বলে। যদিও তারা একই মিশনের স্টাফ তবুও কূটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য হয় না এবং কোনরুপ সুযোগ সুবিধা ভোগ করে না।
কুটনীতিকগন কর্তৃক এ সুবিধা অপব্যবহারের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়:
পারসোনা নন গ্রেটা রোমান আইন উদ্ভত ল্যাটিন ভাষায় অর্থ হচ্ছে অবাঞ্চিত কূটনৈতিক। আন্তজার্তিক প্রথা ও রীতিনীতি এবং ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী এটা প্রকাশিত যে, কোন কূটনৈতিক প্রতিনিধি এমন কোন কাজে লিপ্ত হবেন না যা বৈধ ও নিয়মিত কর্তব্য কর্মের প্রকৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অনিয়ম তান্ত্রিক পন্থায় কোন কুটনৈতিক যদি গ্রাহক রাষ্ট্রের অভ্রন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে তবে সে দেশের কাছে তা অগ্রহনযোগ্য হবে। কোন কূটনৈতিক প্রতিনিধির এহেন আপত্তিজনক কার্যকলাপে গ্রাহক দেশের সরকার তাকে পারসোনা নন গ্রাটা বা অবাঞ্চিত ব্যক্তি ঘোষনা করতে পারে এবং তাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তার সরকারকে অনুরোধ জানাতে পারে। সাধারনত একটা সময় নির্ধারন করে সে সমযের মধ্যে তাকে ঐ দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়। একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রের এটা বিশেষ অধিকার এবং এজন্য তাকে কোন ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। সমসাময়িক বিশ্বে পারসোনা নন গ্রাটা ঘোষনা করে কূটনীতিকদের বহিস্কার করার অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।
ইরান মামলা (১৯৮০)
ইরানের তেহরানে স্তাপিত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনে শ খানেক উত্তেজিত ছাত্র এবং প্রায় ৫০ জন জঙ্গি ঢ়ুকে পড়ে। ইরানের কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন অনুমতি দেয়নি এবং বাধাও দেয়নি। তারা মিশনের অঙ্গনে প্রবেশ করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিম্মি করে রাখে এবং কাগজপত্র জব্দ করে। যুক্তরাষ্ট্র আন্তজার্তিক আদালতে মামলা দায়ের করে।
 বিচার্য বিষয়
১) যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন অঙ্গন রক্ষ করার কোন বাধ্যবাধকতা ইরান কর্তৃপক্ষের ছিল কিনা?
২) ইরান যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী কিনা?
রায়:আদালতের সিন্ধান্ত হচ্ছে যে, মিশনটির অঙ্গন রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা ইরানের রয়েছে। যেহেতু ইরান কর্তৃপক্ষ তা করেনি তাই তারা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য।
এর পেছনে যুক্তি হচ্ছে যে,১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের  অনুচ্ছেদ ২২(১) ও(২) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

কূটনৈতিকদেরকে প্রদত্ত বিশেষ সুবিধা ও দাযমুক্তি প্রত্যাহার করা যায় কিনা:
কূটনৈতিকদেরকে তাদের কর্মের প্রকৃতি ও গুরুত্ব বিবেচনা করে বিশেষ সুবিধা ও দায়মুক্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। কাজেই অযথা কোন রাষ্ট্র বিদেশী কূটনৈতিকদের প্রদত্ত সুযোগসুবিধা ও দায়মুক্তি প্রত্যাহার করতে পারে না। তবে অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় কোন কূটনৈতিক যদি গ্রাহক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে তবে সে দেশের কাছে তা অগ্রহনযোগ্য হতে পারে। এরুপ আপত্তিজনক কার্যকলাপের জন্য গ্রাহক দেশের সরকার তাকে পারসোনা নন গ্রাটা বা অবাঞ্চিত ব্যক্তি ঘোষনা করতে পারে এবং তাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তার সরকারকে কোন ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। ভিয়েনা কনভেনশনের ৩২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে যে, প্রেরক রাষ্ট্র ইচ্ছা করলে লিখিতভাবে তার প্রতিণিধিদের প্রাপ্য ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা ও দায়-মুক্তি শিথিল করতে পারে।
প্রশ্ন-৫ একটি রাষ্ট্র অন্য একটি রাষ্ট্রের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে কি? কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ শক্তি ব্যবহার করতে পারে কি? যদি পারে তাহলে কি অবস্থার প্রেক্ষিতে?
আন্তজার্তিক আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রন করে, শান্তি,নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সভ্যজাতি হিসেবে বসবাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা।এ লক্ষ্যে সাধারণ রাষ্ট্র সমূহের সম্পত্তির ভিত্তিতে কতিপয় সাধারণ বিধান গড়ে ওঠেছে। এগুলোর মধ্যে কতিপয বিধান সর্বজন স্বীকৃত মৌলিক বিধান যাকে আইনের পরিভাষায় ঔঁং পড়মবহং বলা হয়। কতিপয় মৌলিক বিধান জাতি সংঘ সনদেও ২ নম্বও অনুচ্ছেদে লিপিবদ্ধ রয়েছে যেমন –রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌম সমতা,শক্তি প্রয়োগের নিষিদ্ধতা,আন্তজাতিৃক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা ইত্যাদি।
জাতিসংঘসনদেও ২(৪) ও ২(৭) অনুচ্ছেদে এক রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহবান জানানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এরুপ হস্তক্ষেপ সে দেশের সার্বভৌমত্বেও প্রতি অশ্রদ্ধাজ্ঞাপন যা আন্তজার্তিক আইনে সমর্থনযোগ্য নয়।
আন্তজার্তক আইন লঙ্ঘন কওে বিশ্বশান্তিভঙ্গ করলে লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার বিধান রয়েছে জাতিসংঘসনদেও ৭ম অধ্যায়ে। এই অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ৩৯তে বলা হয়েছে যে, শান্তিভঙ্গ বা শান্তিভঙ্গেও অঅশঙ্কা কিংবা আগ্রাসনের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদ নির্ধারণ করবেন এবং কি ব্রবস্থা নেওয়া যায় তাও নির্ধারণ করবেন। ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, বলপ্রয়োগ ব্রততি যে সকল পন্থা অবলম্বন করা যায় সেগুলোর মধ্রে রযেছে অথৃনৈতিক সম্পকৃ ছিন্ন, রেলপথ,সমূদ্রপথ, আকাশ পথ, ডাক, টেলিগ্রাফ, বেতার ও অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ এবং ক’টনৈতিক সম্পকৃ ছিন্ন। এ ব্যবস্থায় যথার্থ প্রতীয়মান মনে না হলে অনুচ্ছেদ ৪২ অনুযায় জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের দ্বারা অবরোধ,আকাশ,নৌ বা স্থলপথ সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। অনচ্ছেদ ৪৩ অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিসদ জাতিসংঘের সম্মিলিত সেনাবাহিনীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে আহবান জানাবেন। একটি মিলিটারী স্টাফ কমিটি গঠন করা হবে এবং এই কমিটি নিরাপত্তা পরিষদকে পরামর্শ দিবেন।
’খ’বিভাগ
প্রশ্ন-১ আন্তর্জাতিক নদী বলতে কি বুঝ? ইহার উৎসসমূহ ব্যাখ্যা কর। গঙ্গা কি একটি আন্তজার্তিক নদী? ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গঙ্গা চুক্তি ব্যাখ্যা কর। আন্তজার্তিক আইনে নদী চুক্তি কার্যকর করার প্রধান বাধা কি?
আন্তজাতিক নদীর সংজ্ঞা:
দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে প্রভাহিত সকল নদনদীকেই আন্তজার্তিক নদী বলে।
যে সকল নদনদী জলরাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রকে পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন করে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ এসকল নদী সমূহ অনেকগুলো দেশের উপর দিযে প্রবাহিত হয়ে সরাসরি সমূদ্রে পতিত হয়। যেমন গঙ্গানদী, দানিযুব নদী (ইউরোপ),দক্ষিন আমেরিকার আমাজান নদী,রাইন ,শেল্ট ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, ঐ সকল নদীসমূহ কোন রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সমূদ্র কিংবা আভ্যন্তরীণ জলরাশির অন্তভূক্ত নয়। আন্তজার্তিক নদী সকল রাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত। তাই কোন রাষ্ট্র এ নদীর কোন অংশ কে আইনত, নিজ সার্বভৌত্বের অধীনে নিতে পারে না।
আন্তজার্তিক নদীতে উপকূলীয় এবং অনউপকূলীয় সকল রাষ্ট্রেরই নি¤œলিখিত স্বাধীনতাগুলো ভোগ করার অধিকার রয়েছে-
১) নৌ চলাচলের স্বাধীনতা
২) মংস্য শিকারের স্বাধীনতা
৩) আন্তজার্তিক নদীর উপর দিয়ে বিমান চলাচলের স্বাধীনতা
গঙ্গা কি একটি আন্তজার্তিক নদী:
গঙ্গা হল একটি আন্তজার্তিক নদী। এ নদীটি ভারত ও বাংলাদেশের ভূ-খন্ড অতিবাহিত করে প্রবাহিত হয়েছে। তাই,ইহা আন্তজার্তিক নদীর অন্তভূক্ত। সুতরাং, গঙ্গার ক্ষেত্রে জাতীয় নদী সংক্রান্ত বিধান প্রযোজ্য হবে না।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গঙ্গা চুক্তি ব্যাখ্যা:
গঙ্গার পানিবণ্টন: 
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম বদ্বীপ অঞ্চল। ৫৮টি আন্তর্জাতিক নদীসহ কমপক্ষে ২৩০টি নদ-নদী বিধৌত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীগুলির মধ্যে ৫৫টির উৎপত্তি ভারত থেকে এবং তিনটি মায়ানমার থেকে। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার উপনদী ও শাখানদী বিধৌত মোট এলাকার পরিমাণ ১৭,২০,০০০ বর্গকিলোমিটার। এ এলাকার শতকরা সাত ভাগ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত।
বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির ফলে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ স্থলভাগ জলমগ্ন হয়, আবার শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ নদীতে প্রবাহ হ্রাস পাওয়ার ফলে জলাভাব দেখা দেয়। উভয় পরিস্থিতিই জনজীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। এসব নদীর ভাটি অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান হেতু নদীগুলির জলপ্রবাহের ওপর এদেশের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সাত হাজার মিটার উচ্চতায় হিমালয়ের হিমবাহে উৎপন্ন গঙ্গা নদী ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্য দিয়ে ২,৫৫০ কিলোমিটার পথে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের গোয়ালন্দের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বাংলাদেশে গঙ্গার (বাংলাদেশে যা পদ্মা নামে অভিহিত) দৈর্ঘ্য ২৬০ কিলোমিটার। গঙ্গা বিধৌত মোট অঞ্চলের আয়তন ১০,৮৭,০০১ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৮,৬০,০০০ বর্গকিলোমিটার ভারতে, ১,৪৭,১৮১ বর্গকিলোমিটার নেপালে, ৩৩,৫২০ বর্গকিলোমিটার চীনে এবং ৪৬,৩০০ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশে।
 ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রথম পরিকল্পনা করে ১৯৫১ সালে। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে এর সম্ভাব্য বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তখন থেকেই পাকিস্তান সরকার প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার নতুন পথ উন্মুক্ত হয় এবং বাংলাদেশ সরকার গঙ্গার পানি বণ্টনের সমস্যা সমাধানে মোটেও বিলম্ব করে নি। এ অঞ্চলের পানি সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একটি স্থায়ী  যৌথ নদী কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে এক যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন। এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের নভেম্বরে একটি যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়। নদী কমিশনের লক্ষ্য ছিল উভয় দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি থেকে সর্বাধিক সুবিধা লাভের লক্ষ্যে যৌথ প্রয়াাস চালানো, বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও যৌথভাবে তা বাস্তবায়ন করা, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস নির্ণয়ের বিশদ পদক্ষেপ সুপারিশ করা এবং পানিসম্পদের সুষম বণ্টনের ভিত্তিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পগুলোর জন্য সমীক্ষা ও জরিপ চালানো। ১৯৭৪ সালের মে মাসে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে একমত প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও কলকাতা বন্দরের পূর্ণ চাহিদা মেটানোর জন্য শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কার কাছে গঙ্গা নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন এবং এ লক্ষ্যে ফারাক্কা বাঁধ চালু করার আগেই উভয় দেশের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তি সম্পাদন সম্ভব। ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিকে একটি অন্তবর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যাতে ভারতকে ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৪১ দিনের জন্য বাঁধের সংযোগ খালগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার অনুমতি দেয়া হয়।
১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও ভারত একতরফা গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বরে আলোচনার উদ্যোগ ভেঙে যায় এবং বাংলাদেশ বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপনের সিদ্ধান্তনেয়। সমস্যাটি প্রথম উত্থাপিত হয় ১৯৭৬ সালের মে মাসে ইস্তামবুলে অনুষ্ঠিত ইসলামি দেশসমূহের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সম্মেলনে এবং এরপর ওই বছর আগস্টে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে।
১৯৭৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১তম অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপনের সিদ্ধান্তের ফলে দু’দেশের কূটনৈতিক কর্মকান্ড জোরদার হয়ে ওঠে। সেনেগাল, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার অনুরোধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রাজনৈতিক কমিটি ভারত ও বাংলাদেশকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আহবান জানায়। সিরিয়া, মিশর, শ্রীলঙ্কা, আলজেরিয়া ও গায়ানার মধ্যস্থতায় সাড়া দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ ঢাকায় আলোচনায় বসতে সম্মত হয়। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
ভারতে জনতা দল সরকার গঠনের পর আলোচনার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং ১৯৭৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের  জিয়াউর রহমান সরকারের সঙ্গে পানি বণ্টন বিষয়ে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৮২ সালে সে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ১৯৮২ সালের ৪ অক্টোবর জেনারেল এরশাদ সরকার ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন বিষয়ে দু বছর মেয়াদী একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ১৯৮৫ সালের ২২ নভেম্বর তিন বছরের জন্য আরেকটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু যেহেতু তখনও পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো চুক্তি ছিল না, তাই ভারত পানি বণ্টন বিষয়ক সমঝোতা চুক্তির মেয়াদ আর বৃদ্ধি করতে সম্মত হয় নি। সর্বশেষ চুক্তিতে বাংলাদেশের ৩৪,৫০০ কিউসেক পানি পাওয়ার কথা থাকলেও ভারত ১৯৯৩ সালের শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে ১০ হাজার কিউসেকেরও কম পানির প্রবাহ রাখে। কোনো চুক্তি কার্যকর না থাকায় ভারত বাংলাদেশকে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে অব্যাহতভাবে বঞ্চিত করে চলে। ভারতের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি না হওয়ায় বিএনপি সরকার বিষয়টি আবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করে। ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনেও তা উত্থাপিত হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর গঙ্গার পানি বন্টন সম্পর্কে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় এবং ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে নির্ধারিত হয় যে, উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে গৃহীত ফর্মুলা মোতাবেক ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে দু’দেশের মধ্যে গঙ্গার পানি ভাগাভাগি হবে, এবং ভারত নদীটির জলপ্রবাহের মাত্রা গত ৪০ বছরের গড় মাত্রায় বজায় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। যেকোন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানির নিশ্চয়তা পাবে। দীর্ঘ মেয়াদে গঙ্গার পানি প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনে এবং দুদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রেও অনুরূপ চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে একমত হয়।
এ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির ফলে বাংলাদেশে গঙ্গার পানিপ্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারতের পূর্বশর্ত প্রথমবারের মতো তুলে নেওয়া হয়, এবং ভাটি অঞ্চলের অংশীদার হিসাবে গঙ্গার বিদ্যমান পানিপ্রবাহে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ চুক্তির ফলে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কের তিক্ত একটি ইস্যুর অবসান ঘটে এবং সমগ্রঅঞ্চলের পানিসম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হয়।

প্রশ্ন-২ রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের সংজ্ঞা দাও?” দক্ষিণ তালপট্টি রাষ্ট্রীয় সমূদ্র সীমায় অবস্থিত। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমূদ্র বিজয়/ বাংলাদেশ ও মায়ানমার এর সমূদ্রসীমা বিজয় তুমি কিভাবে মূল্যাযন করবে বা রচনামূলক আলোচনা কর।
রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের সংজ্ঞা:
রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ড হল রাষ্ট্র গঠনের একটি প্রধান উপাদান। ভূ-খন্ড ব্যতীত রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। আন্তজার্তিক আইনে রাষ্ট্রীয়  ভূ-খন্ড বলতে ভূ-সীমানায় সে অংশকে বুঝায়, যার উপর ঐ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বজায রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের জনসমষ্টি ও সম্পত্তির উপর রাষ্ট্রের প্রাধান্য রয়েছে।
মন্টিভিডিও কনভেনশন ১৯৩৩ এর অনুচ্ছেদ ১ অনুসারে ভূ-খন্ড ব্যতীত কোন আইনগত সত্তাই রাষ্ট্র নয়। রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের একটি যথাযথ সংজ্ঞা প্রদান করেন অধ্যাপক কেলসেন ( চৎড়ভ.কবষংড়হ) তার মতে,চ্ঞযব ঃবৎৎরঃড়ৎু ড়ভ ঃযব ংঃধঃব রং ধ ংঢ়ধপব রিঃয রহ যিরপয ধপঃং ড়ভ ঃযব ংঃধঃব ধহফ ংঢ়বপরধষষু রঃং পড়ড়ৎরাপব ধপঃং ,ধৎব ধষষড়বিফ নু এবহবৎধষ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ খধ.ি”
অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ড বলতে সেই আঞ্চলিক সীমানাকে বোঝায় যে অঞ্চলের মধ্যে রাষ্ট্রের কার্যক্রম বিশেষত: শাসন কার্যক্রম আন্তজার্তিক আইনানুসারে অনুমোদিত।
রাাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ড দুই প্রকার হতে পারে। যথা-
১) একটি মাত্র ভূ-খন্ড  অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোন রাষ্ট্র একটি অবিচ্ছেদ্য ভূ-খন্ড নিয়ে গঠিত।
২) বিভাজিত ভূ-খন্ড অর্থাৎ যে রাষ্ট্র পৃথক পৃথক ভূ-খন্ড নিয়ে গঠিত।
দক্ষিণ তালপট্টি রাষ্ট্রীয় সমূদ্র সীমায় অবস্থিত:
দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ (বাংলাদেশে পরিচিত) বা নিউ মুর আইল্যান্ড (ভারতে পরিচিত) বঙ্গোপসাগরের ছোটো জনবসতিহীন সাগরমুখী দ্বীপ। এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ অঞ্চলের উপকূলে অবস্থিত।এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী দ্বীপ। ১৯৭০ সালে ভোলা সাইক্লোনের পরবর্তীকালে বঙ্গোপসাগরে এর আবির্ভাব ঘটে, এবং কিছুকাল পরে এর অস্তিত্ব বিলীন হয়। স্থায়ী জনবসতিহীন এই অঞ্চলে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের অস্তিত্বের আশংকা থাকায় ভারত এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে এর সার্বভৌমত্ব দাবি করে।এই এলাকার বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা বিভাজক হাড়িয়া ভাংগা নদীর মূল¯্রােত যেহেতু দ্বীপের পশ্চিম ভাগ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে,সেহেতু "নদীর মূল স্রোতধারার মধ্যরেখা নীতি" বা ঞযধষবিম ফড়পঃৎরহব অনুযায়ী বাংলাদেশ দ্বীপটিকে নিজ দেশের অন্তভুর্ক্ত মনে করছে। অপরদিকে ভারতীয় দাবি হচ্ছে, নদীর মূলস্রোত পরিবর্তনশীল। সার্বভৌমত্ব প্রদানের এই বিষয় এবং দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক সীমা প্রতিষ্ঠাপন র‌্যাডক্লিফ লাইন পদ্ধতি অনুযায়ী বড় আকারের বিতর্কের অংশ হয়ে ওঠে।
নদীর মোহনা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। ১৯৭৪ সালে একটি আমেরিকান স্যাটেলাইটে আড়াাই হাজার বর্গমিটার এ দ্বীপটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। পরে রিমোট সেন্সিং সার্ভে চালিয়ে দেখা গিয়েছিল, দ্বীপটির আয়তন ক্রমেই বাড়ছে এবং একপর্যায়ে এর আয়তন ১০ হাজার বর্গমিটারে দাঁড়ায়। তবে অনেকে দাবি করেন, ১৯৫৪ সালে প্রথম দ্বীপটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। দ্বীপটির মালিকানা বাংলাদেশ দাবি করলেও ভারত ১৯৮১ সালে সেখানে সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে তাদের পতাকা ওড়ায়। ভারতের যুক্তি, ১৯৮১ সালের আন্তর্জাতিক জরিপ অনুযায়ী দক্ষিণ তালপট্টির পূর্ব অংশটির অবস্থান ভারতের দিকে, যা ১৯৯০ সালের ব্রিটিশ অ্যাডমিরালটি চার্টেও স্বীকৃত।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমূদ্র বিজয়:
বাংলাদেশ ভারত সমূদ্রসীমা বিরোধের মামলায় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। গত ৭ জুলাই দ্য হেগ এর সালিশী ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষনা করে। রায় ঘোষনার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা প্রকাশ না করার বাধ্যবাধকতা থাকায় একদিন পর ৮ জুলাই প্রকাশ করা হয়।
বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইনের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহিসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশের রিংকুশ ও সার্বভৌমত্ব অধিকার সুনিশ্চিত করে বাংলাদেশ ভারত সমূদ্রসীমা নির্ধারণী এই মামলার রায় ঘোষনা করা হয়।
সুনির্দিষ্ট সমূদ্র সীমানা না থাকায় বঙ্গোপসাগরের সমূদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলন, গভীর সমূদ্রে মৎস্য আহরণ সহ সামদ্রিক কর্মকান্ড যেমন বাধাগ্রস্থ হচ্ছিল তেমনি বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাদের পালনে এবং বিদেশী ট্রলার কর্তৃক অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ প্রতিরোধে সমস্যার সম্মূখনি হচ্ছিল। তাই এই অঞ্চলের বিরোধ নিস্পত্তির তাগিদ অনুভূত হয। যার ফলশ্রুতিতে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর আন্তজার্তিক আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রধীন অঞ্চলে একচ্ছত্র অর্তনৈতিক অঞ্চল এবং মহেিসাপানের সমূদ্রসীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সমূদ্র আইন কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশ আন্তজার্তিক সালিশী ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমার ও ভারতের অনুকূলে সালিশী নোটিশ প্রদান করে। ২০১২ সালে মিয়ানমার এর সাথে একই ধরণের মামলা নিসম্পত্তি হয়। বাকি থাকে ভারতের সাথে মামলার নিস্পত্তি হওয়া, অবশেষ ২০১৪ সালের ৭ জুলাই তিন দশকের বেশী সময ধরে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমানসমস্যা যা উভয রাষ্ট্রের অর্তনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে শান্তি পূর্নভাবে অবশেষে নিস্পত্তি হয়।
রায়ের ফলে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১১৮৮১৩ বর্গ কিলোমিটারের বেশী টেরিটোরিয়াল সমূদ্র ,২০০ নটিক্যাল মাইন একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্রগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহিসোপান তলদেশে অবস্থিত সকল প্রাণীজ ও অপ্রানীজ সম্পদের উপর সার্বভৌমত্ব অধিকার প্রতিষ্ঠি করতে পেরেছে।
ন্যার্যতা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাইব্যুনাল বিরোধ পূর্ণ আনুমানিক ২৫৬০২ বর্গ কিমি সমুদ্র  এলাকা বাংলাদেশকে প্রদান করেছে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে ভারতের দাবি করে আসা ১০টি ব্লকেও বাংলাদেশের মালিকানা দেয়া হয।
বাংলাদেশের পক্ষে বৈদেশিক কৌশলী হিসেবে নিয়োজিত চিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পল বাইখলার এবং লরেন্স মার্টিন।

প্রশ্ন-৩ একচেটিয়া অর্থনৈতিক এলাকা বলতে কি বুঝায়? এই প্রসঙ্গে বর্তমান আইনের বিধানাবলী বর্ণনা কর। এই বিধানাবলী কি অগ্রতুল? সমুদ্র আইন সংক্রান্ত ওহহড়পবহঃ চধংংধমব ঐড়ঃ চঁৎংঁরঃ, ঈড়হঃরহবহঃধষ ঝযবষভ ব্যাখ্যাকর। ঋৎববফড়স ড়ভ ঃযব ঐরময ংবধ ব্যাখ্যাকর।
একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল:
প্রাচীন রীতিনীতি ও সমুদ্র সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী সমুদ্র তীরবর্তী রাষ্ট্রসমূহের কতিপয় অধিকার স্বীকৃত রয়েছে। সমুদ্র তীর হতে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র সমূহের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ সহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার একচ্চত্র অধিকারী। এই সীমা কোন কোন দেশ ৩৫০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। বাংলাদেশ ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষনা করেছে। ১২ মাইল আঞ্চলিক সমূদ্রসীমার পর ১৮৮ মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল। এই অঞ্চলে তীরবর্তী রাষ্ট্রে জীবন্ত ও জড় সম্পদ অনুসন্ধান,ব্যবহার, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার এখতিয়ার থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব থাকবে না। তাই অন্যান্য রাষ্ট্রের এ এলাকায় নৌচলাচল এবং আকাশে বিমান চালানোর অধিকার থাকবে। তবে অন্যান্য রাষ্ট্র কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা বা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পরিবেশ রক্ষার্থে কোন তৎপরতা চালাতে পারবে না । এ সকল অধিকার শুধুমাত্র তীরবর্তী রাষ্ট্রের রয়েছে। তাই এ এলাকাকে একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল বলা হয়। তবে যে সকল রাষ্ট্রের সমুদ্র তীর নেই সেগুলো সংশ্লিষ্ট মৎস্য আহরণের পর  সংশ্লিষ্ট মৎস্য আহরণ করতে পারবে।
প্রশ্ন-৪ সমূদ্র আইন বলতে কি বুঝ? রাষ্ট্রীয় সমুদ্রে উপকূলীয় রাষ্ট্রের অধিকার ও দায় দায়িত্ব বর্ণনা কর। নির্দোষ অতিক্রম ব্যাখ্যা কর। নির্দোষ অতিক্রম এর শর্তাবলী আলোচনা কর।
পৃথিবীর ৭১ শতাংশ হচ্ছে জলভাগ অর্থাৎ সমুদ্র। সমূদ্র এখন শুধু নৌ চলাচলের পথই নয় এর নানাবিধ ব্যবহার ও এর সম্পদ আহরণের জন্য মানুষ এখন সদা সচেষ্ট রয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে স্বার্থের সংঘাত অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। এরুপ সংঘাত পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে পারস্পরিক লেনদেন সম্পন্ন করতে সহায়তা করার জন্য মূলত সমূদ্র আইনের সৃষ্টি। তাই বলা যায় যে,যে সকল রীতিনীতি, বিধি বিধান, প্রথা ও কনভেনশন নৌ চলাচল, সমূদ্র সম্পদ আহরণ ও সমূদ্রের অন্যান্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের সৃষ্টি করে তাই হচ্ছে সমুদ্র আইন।
১৯৫৮ সালরে জনেভোয় অনুষ্ঠতি সমূদ্র আইন সর্ম্পকতি জাতসিংঘ সম্মলেনরে ১ নং অনুচ্ছদেে উন্মুক্ত সমূদ্ররে বা অবারতি সমূদ্ররেসংজ্ঞা প্রদান করা হয়।
আঞ্চলকি নদী,প্রনালী বা উপসাগর ব্যতীত যে সকল বশিাল লবণাক্ত জররাশি পৃথবিীর অধকিাংশ জায়গায় বষ্টেন করয়িাছে উহাই হল উন্মুক্ত সাগর।

সমূদ্ররে স্বাধীনতা:
১)নৌ চলাচল
২)মংস্য শকিার
৩)বমিান চলাচল
৪)আন্ত সাগরীয় যোগাযোগ
৫)সমূদ্রে যোগাযোগ তার ও পাইপ লাইন স্থাপনরে স্বাধীনতা
৬)কৃত্তমি দীপ অন্যান্য স্থাপনা নর্মিানরে স্বাধীনতা
৭)বজ্ঞৈানকি গবষেণান স্বাধীনতা
আন্তর্জাতকি নদী যে সকল রাষ্ট্ররে উপর দয়িে প্রবাহতি হয় ঐ সকল রাষ্ট্ররে অধকিার ও দায় দায়ত্বি:
১)জাহাজরে নর্দিোষ অতক্রিমরে অধকিার:আন্তর্জাতকি নদী যে সকল রাষ্ট্ররে উপর দয়িে প্রবাহতি হয় ,সে সকল রাষ্ট্ররে জাহাজরে নর্দিোষ অতক্রিমরে অধকিার থাকব।ে
২)নর্দিোষ অতক্রিমে বাধা না দওেয়া:এছাড়া অন্য কোন উপকূলীয় রাষ্ট্র এরুপ নর্দিোষ অতক্রিমকে বাধা প্রদান করবনে না।
৩)প্রবশেরে র্শতাবলী লংঘন বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন:অভ্যন্তরীন জলরাশরি দকিে অগ্রসরমান কোন জাহাজ র্কতৃক উক্ত জলরাশতিে জাহাজ প্রবশেরে র্শতাবলী লংঘন বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অধকিার- এরুপ সকল রাষ্ট্রই ভোগ করব।ে
৪)বদিশেী জাহাজরে নর্দিোষ অতক্রিম স্থগতি না করা:একইভাব,ে আন্তর্জাতকি নদী যে সকল রাষ্ট্ররে উপর দয়িে প্রবাহতি ঐ সকল রাষ্ট্র কোন বদিশেী জাহাজরে নর্দিোষ অতক্রিমকে স্থগতি করে রাখতে পারে না।
৫)নৌ চলাচল সংক্রান্ত বধিি বধিান:এছাড়া,এ সকল রাষ্ট্ররে নদনদীর উপর দয়িে যে সকল জাহাজ চলাচল করব,ে তাদরেকে অবশ্যই এসকল রাষ্ট্ররে নৌ চলাচল সংক্রান্ত আইন এবং আন্তর্জাতকি আইনরে অন্যান্য বধিি অনুসারে সকল নয়িমকানুন মনেে চলতে হব।ে
৬)নজিস্ব পতাকাধীনে নৌ চলাচলরে অধকিার:এছাড়া, প্রত্যকে রাষ্ট্ররে নজিস্ব পতাকাধীনে এসকল নদনদীদত নৌ চলাচলরে অধকিার থাকব।ে
৭)জাতীয়তা দাবী না করা :র্সবোপর,ি এরুপ আন্তর্জাতকি নদীতে কোন নৌযান দুই বা ততোধকি রাষ্ট্ররে পতাকা বহন করলে এবং নজিরে সুবধিামত সগেুলো ব্যবহার করলে অপর কোন রাষ্ট্ররে প্রসঙ্গে সংশ্লষ্টি কোন রাষ্ট্রই জাতীয়তা দাবী করতে পারবে না এবং জাতীয়তা বহিীন জাহাজ বা নৌযান বলে গণ্য হব।ে
১৯৫৮ সালরে জনেভো কনভনেশনরে অধীনে উন্মক্ত সমূদ্র রাষ্ট্র সমূহরে ৪ টি স্বাধীনতা:
১৯৫৮ সালরে আগ র্পযন্ত সমুদ্র সংক্রান্ত কোনো আইন ছলি না। ১৯৫৮ সালে সুইজারল্যান্ডরে জনেভোয় প্রথমবাররে মতো চারটি কনভনেশন বা সনদ গ্রহণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে
১)রাষ্ট্রীয় সমুদ্র ও নকিটস্থ অঞ্চলবষিয়ক কনভনেশন,
২)উন্মুক্ত সমুদ্রবষিয়ক কনভনেশন,
৩)মহীসোপান বষিয়ক কনভনেশন ও
৫)মৎস্য শকিার ও প্রাণজিসম্পদ রক্ষণাবক্ষেণ বষিয়ক কনভনেশন।
এসব কনভনেশন পরে অনকে রাষ্ট্ররে অনুমোদন পয়েে আর্ন্তজাতকি আইনে পরণিত হয়। র্জামানরি হামর্বুগভত্তিকি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ল অব দ্য সরি (আইটএিলওএস) বচিারক হোসে লুই জসোস এর দয়ো রায় এসব আর্ন্তজাতকি আইনরে আলোকইে হয়ছে।ে


আর্ন্তজাতকি সমুদ্র আইন
১) ভত্তিি রখো (ইধংব খরহব)- উপকূলীয় যে রখো হতে সমুদ্ররে দকিে একটি রাষ্ট্ররে সমুদ্র অঞ্চল মাপা হয় তাই ভত্তিি রখো বা খড়ি ধিঃবৎ ষরহব। সাধারণত ভাটার সময় উপকূলরে নম্নিতম জলরখো কে ভত্তিি রখো ধরা হয়। সন্নকিটে দ্বীপমালা থাকলে বা উপকূলীয় রখো গভীর খাতযুক্ত থাকলে সমুদ্র সীমা পরমিাপে উপযুক্ত বন্দিুসমূহ সংযোগরে মাধ্যমে একাধকি সরল রখো অংকন করে ভত্তিি রখো নর্ধিারন করতে হয়। বাংলাদশে ১৯৭৪ সালে সরকারীভাবে বজ্ঞিপ্তি প্রদান করে উপকূলীয় সমুদ্ররে ১০ ফ্যাদম (৬০ ফুট) গভীরতা র্পযন্ত ভত্তিরিখো হসিাবে গ্রহণ কর।ে
২) আভ্যন্তরীণ জল (ওহষধহফ ধিঃবৎ)- আঞ্চলকি সমুদ্ররে ভত্তিরিখো হতে স্থলভাগ র্পযন্ত যে জলরাশি তা রাষ্ট্ররে আভ্যন্তরীণ জল।
৩) রাষ্ট্রীয় সমুদ্র (ঞবৎৎরঃড়ৎরধষ ংবধ)- ভত্তিরিখো হতে ১২ নটক্যিাল মাইল র্পযন্ত একটি রাষ্ট্ররে আঞ্চলকি সমুদ্র বা ঞবৎৎরঃড়ৎরধষ ংবধ।
৪) সংলগ্ন অঞ্চল (ঈড়হঃরমঁড়ঁং তড়হব)- ১৯৮২ সালরে সমুদ্র আইন বষিয়ক কনভনেশনরে ৩৩(২) অনুচ্ছদে অনুযায়ী ভত্তিরিখো হতে ২৪ নটক্যিাল মাইল র্পযন্ত একটি রাষ্ট্ররে সংলগ্ন অঞ্চল।
৫) একচ্ছত্র র্অথনতৈকি অঞ্চল (ঊীপষঁংরাব ঊপড়হড়সরপ তড়হব)- ভত্তিরিখো হতে ২০০ নটক্যিাল মাইল র্পযন্ত একটি রাষ্ট্ররে একচ্ছত্র র্অথনতৈকি অঞ্চল প্রতষ্টিতি। এই অঞ্চলে একটি রাষ্ট্ররে র্সাভভৌম অধকিার থাকে (অনুচ্ছদে ৫৬(১) কনভনেশন ১৯৮২)।
৬) উন্মুক্ত সমুদ্র (ঐরময ংবধ)- একচ্ছত্র র্অথনতৈকি অঞ্চলরে পর থকেে সাগর সবার জন্য উন্মুক্ত। মৎস আহরণ, জাহাজ চলাচল, সামুদ্রকি গবষেণা ইত্যাদরি জন্য একরাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্ররে প্রতি সহনশীল থাকব।ে
নির্দোষ অতিক্রমের শর্তাবলী:
কোন বিদেশী জাহাজ কোন দেশের রাষ্ট্রীয় সমুদ্রের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে যদি তা নির্দোষ অতিক্রম হয। নির্দোষ অতিক্রম হবে তখনই যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট তীরবর্তী দেশের শান্তি,শৃঙ্খরা বা নিরাপত্তার প্রতি কোন হুমকিস্বরুপ বা আপত্তি কর না হয়।এছাড়া সমুদ্রসংক্রান্ত কনভেনশন ও আন্তজার্তিক আইনের অন্যান্য বিধির সাথে তা সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।
নি¤েœাক্ত ক্ষেত্রে একটি জাহাজের অতিক্রম নির্দোষ হিসেবে বিবেচিত হয় না-
ক) এমনকোন কাজ যা তীরবর্তী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আঞ্চলিক সংহতি বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি বা বলপ্রয়োগ হিসেবে গন্য বা অন্যভাবে জাতিসংঘ সনদের আওতায় আন্তর্জাতিক নীতি সমূহের লংঘন।
খ) কোন অস্ত্রশস্ত্র বা কোন যন্ত্রাদির অনুশীলন বা মহড়া প্রদর্শন
গ) কোন তথ্য সংগ্রহের জন্য কার্যাবলী যা তীরবর্তী রাষ্ট্রের নিরপত্তা বা প্রতিরক্ষার জন্য ক্ষতিকর
ঘ) প্রচারণামূলক কোন কাজ বা তীরবর্তী রাষ্ট্রের নিরপত্তা বা প্রতিরক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
ঙ) কোন বিমান অবতারন করা বা উড্ডয়ন করা বা চালনা করা।
চ) কোন সামরিক যন্ত্রাদি চালনা করা,উড্ডয়ন করা বা অবতারণ করা।
ছ) তীরবর্তী রাষ্ট্রের শুল্ক রাজস্ব, বহিগমন বা পয়:প্রণালী বিধির পরিপন্থি কোন দ্রব্যসামগ্রী বা কোন ব্যক্তিকে নামানো
জ) প্রচলিত কনভেনশনের পরিপন্থি ইচ্ছাকৃত কোন কাজ বা দূষণ।
ঝ) মাছ ধরা
ঞ) গবেষণামূলক কাজ করা বা সার্ভে করা
ট) এমন কাজ যা তীরবর্তী রাষ্ট্রের যোগাযোগ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে। এবং
ঠ) অন্য কোন কাজ যা শুধু অতিক্রমের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট নয়।
এগুলি ১৯৮২ সালের সমূদ্র কনভেনশনে গৃহীত হয়েছে।

গ- বিভাগ

প্রশ্ন-১ মানবাধিকার বলতে কি বুঝ? মানবাধিকার আইনের বিকাশ মূল্যায়ন কর। মানবাধকার সংরক্ষনে আন্তজার্তিক ব্যবস্থার বিবরণ দাও।

'মানবাধিকার' শব্দটি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। এটি মূলত ফরাসি শব্দ উৎড়রঃং ফব খ’যড়সব থেকে উৎসারিত, যার অর্থ হলো মানুষের অধিকার। ঞযড়সধং চধরহব সর্বপ্রথম ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ কর্তৃক ১৭৮৯ সালে গৃহীত জরমযঃং ড়ভ গধহ ঘোষণার জন্য উৎড়রঃং ফব খ’যড়সব শব্দটি ব্যবহার করেন, যা গৎং. ঊষবধহড়ৎ জড়ড়ংবাবষঃ-এর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর গৃহীত ঞযব টহরাবৎংধষ উবপষধৎধঃরড়হ ড়ভ ঐঁসধহ জরমযঃং-ঐঁসধহ জরমযঃং  তথা মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহৃত হয়। মানবাধিকার বলতে মানুষের সেই সব স্বার্থকে বোঝায়, যা অধিকারের নৈতিক বা আইনগত নিয়মনীতি দ্বারা সংরক্ষিত হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, রাষ্ট্র কর্তৃক এর নাগরিকদের জন্য স্বীকৃত ও প্রদত্ত কিছু সুযোগ-সুবিধাকে মানবাধিকার বলে, যেগুলো ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব- এ কারণে তার পক্ষে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন সম্ভব নয়। তাই সামাজিক জীবনের সুস্থতা, সৌন্দর্য, উন্নতি, অগ্রগতি ও বলিষ্ঠতার জন্য সমাজের এক সদস্যের প্রতি অন্য সদস্যের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে। যেখানে অধিকার সেখানে দায়িত্ব-কর্তব্য থাকবে, তাই মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোই হলো মানবাধিকার।
সহজ ভাষায় মানবাধিকার হচ্ছে মানুষের সহজাত অধিকার যা যে কোন মানব সন্তান জন্মলাভের সাথে সাথে অর্জন করে। মূলত যে অধিকার মানুষের জীবন ধারনের জন্য,মানুষের যাবতীয় বিকাশের জন্য ও সর্বপরি মানুষের অন্তরনিহিত প্রতিভা বিকাশের জন্য আবশ্যক তাকে সাধারনভাবে মানবাধিকার বলা হয়। জীবনধারণ ও বেঁচে থাকার অধিকার এবং মতামত প্রকাশের অধিকার,অন্ন বস্ত্র ও শিক্ষা গ্রহণের অধিকার,ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অংশগ্রহণের অধিকার প্রভৃতি সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারকে মানবাধিকার বলতে পারি।
'মানব' এবং 'অধিকার' শব্দ দ্বয়ের সমস্টি হল "মানবাধিকার" ।
'মানব' শব্দটা অবশ্যই সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ কে বোঝায়।
'অধিকার' হল,কিছু স্বার্থ কে যখন আইনগত বা নৈতিক নিয়ম নীতি দ্বারা সংরক্ষিত করা হয়।
"মানবাধিকার" হল, বস্তুত মানব পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য সার্বজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য এবং অলংঘনীয় অধিকার হলো মানবাধিকার ।
অন্য ভাবে বলতে গেলে, মানবাধিকার হল মানুষের সেই সব অপরিহার্য চাহিদা, যেগুলো মানুষের সার্বিক উন্নয়ন তথা বুদ্ধি বৃত্তিকতা,সৃজনশীলতা,মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে সমাজে বাসযোগ্য করে তোলে । এবং যেগুলো ছাড়া জীবন পরিচালনা প্রায় অসম্ভব ।
যদিও সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে ।
মানবাধিকার আইনের বিকাশ মূল্যায়ন:
১৭ এবং ১৮ শতকে মানবাধিকারের দাবি উচ্চারিত হয় ফ্রান্সের লেখক বোঁদিন এবং ইংল্যান্ডের দার্শনিক জনলক ও ফ্রান্সের দার্শনিক রুশোর লেখায়। ১২১৫ সালে ব্রিটেনের ম্যাগনাকার্টা, ১৬৮৯ সালে অধিকার বিল, ১৭৭৬ সালে ভার্জিনিয়া অধিকার বিল মানবাধিকারের ক্ষেত্রে মাইলফলক। তাছাড়া ফরাসি বিপ্লবের ঘোষণা ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে এক নবদিগন্ত। এসব ঘোষণা প্রতি দেশে সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সীমাহীন নৃশংসতা বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী ইতালি সরকার এবং নাৎসি জার্মান সরকার কর্তৃক মানবতার বিরুদ্ধে অপরিসীম নির্মমতার পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধোত্তর বিশ্বে গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর নেতাদের সদিচ্ছায় সর্বজনীন মানবাধিকারের সনদ রচিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলে মানবাধিকার সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রথমে তিন সদস্যের এবং পরে আট সদস্যের একটি কমিশন গঠিত হয়। এ কমিশনের সভানেত্রী ছিলেন সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্টের স্ত্রী মিসেস এলিনর রুজভেল্ট, যা ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে গৃহীত হয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সভায় ৩০টি অনুচ্ছেদ সংবলিত যে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত প্রায় সব রাষ্ট্রের সংবিধানে ওই ঘোষণাপত্রে বর্ণিত মানবাধিকারগুলো মর্যাদা সহকারে স্থান পেয়েছে।
মানবাধিকার সংরক্ষণে আন্তর্জার্তিক ব্যবস্থার মূল্যায়ণ:
বিগত বছরগুলোতে জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সে-সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনা ও চাপপ্রয়োগের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে।
রিপোর্টিয়ার অথবা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত বিশেষজ্ঞরা মানবাধিকার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যপঞ্জি সংগ্রহ, কারাগার পরিদর্শন, নির্যাতনের শিকারদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং মানবাধিকারের প্রতি কীভাবে শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তোলা যেতে পারে, সে-সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করতে পারেন।
তারা বিশেষ বিশেষ দেশের বিদ্যমান অবস্থা সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনা করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ওয়ারি প্রসঙ্গ যথা : নির্যাতন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, বর্ণবৈষম্যবাদ, ছেলেমেয়ে বিক্রি করে দেয়া এবং মহিলাদের প্রতি নৃশংসতা সম্পর্কে সমীক্ষা পরিচালনা করেন। প্রতিবছর তাঁরা বন্দিমুক্তির দাবি, মৃত্যুদন্ডাদেশ লাঘব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারসমূহকে অনুরোধ জানিয়ে সরকারসমূহের কাছে হাজার হাজার বার্তা পাঠিয়ে থাকেন।
অনিচ্ছাকৃতভাবে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া, বিনাবিচারে আটক রাখার মতো বিষয়গুলো তদন্তের জন্যে ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত তাদের এই সকল প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়ক হয়ে থাকে।
সারা বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে ‘লজ্জাজনক এবং অকার্যকর' বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ মানবাধিকার সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়৷
২০১৪ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে ইউক্রেন, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লংঘনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সেসব এলাকার সংকট নিরসন করে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোর উদ্যোগের সমালোচনাও করা হয়৷
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে পাঁচ কোটি মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আর কখনো এক বছরে এত মানুষ গৃহহারা হয়নি৷
ইউক্রেনে মানবাধিকার লংঘনের জন্য ইউক্রেন সরকার এবং রুশপন্থি বিদ্রোহী দু'পক্ষকেই দায়ী মনে করে অ্যামনেস্টি৷
অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গির কঠোর সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি
মানবাধিকার সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের পরিচালক আনা নেইস্টাট বলেছেন, ‘‘সাধারণ মানুষদের জীবন রক্ষায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে দু'পক্ষই ব্যর্থ হয়েছে, ফলে যুদ্ধকালীন আইন লংঘিত হয়েছে৷''
অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল সলীল শেঠি এর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ যতটা নৃশংস আক্রমন এবং দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ সেই তুলনায় অপ্রতুল৷''
এছাড়া অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেটের ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কার্যকলাপেও তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ সংস্থাটি মনে করে, বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) হত্যা, ধর্ষণ এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাস্তচ্যুত করার মাধ্যমে ব্যাপক হারে মানবাধিকার লংঘন করছে৷
হত্যা, আতঙ্ক আর ঘৃণায় আইএস
তাদের কাছে নারী যেন বাজারের পণ্য
অনেক সময় আটক নারী ও শিশুদের আইএস জঙ্গিরা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করে৷ সম্প্রতি আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আইএস-এর এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছেন সবাই৷
অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গিরও কঠোর সমালোচনা রয়েছে প্রতিবেদনে৷ সিরিয়া, লিবিয়া এবং নাইজেরিয়া ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষদের প্রতি ইইউ যথেষ্ট সহানুভূতিশীল আচরণ করছে না - এমন মত প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি বলেছে, ‘‘ইইউ বাঁচানোর চেষ্টা না করে মানুষকে ভূমধ্যসাগরে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করছে৷'' অ্যামনেস্টির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে ৩,৪০০-র মতো মানুষ ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছে৷
জাতি সংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের কেউ কেউ ‘ভেটো' ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে - এমন ইঙ্গিত দিয়ে এর সমালোচনাতেও মুখর হয়েছে অ্যামনেস্টি৷ বিশেষ করে সিরিয়া প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাটি মনে করে, সেখানে ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যবস্থা নিতে পারেনি মূলত চীন এবং রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে।
মানবাধিকারের গঠন,ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ১৫ মাচ ২০০৬ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
গঠন: মানবাধিকার প্রসার কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়াই এই পরিষদের একমাত্র লক্ষ্য। এশিয়া থেকে ৩ টি দেশ,আফ্রিকা থেকে ১৩ টি,পূর্ব ইউরোপ থেকে ৬ জন ,দক্ষিন ও উত্তর আমেরিকা থেকে ৮ জন পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য থেকে ৭ জন এই সবগুলো জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশ দুই তৃতীয়াংশ ভোটে কোন জাতিসংঘের সদস্য পদ বাতিল হবে।
উদ্দেশ্য:
১) সকল প্রকার মানবাধিকারের বিকাশ ও সংরক্ষণ।
২) জাতিসংঘ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক সহযোগীতা বৃদ্ধিকরণ এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কাযক্রমের সমন্বয় সাধন।
৩) বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি মোকাবেলা।
৪) বিকাশমান প্রয়োজন মোকাবেলায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা সমূহ যুগোপযোগী ও সুদৃঢ় করে তাদের সক্ষমতা ও কাযক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ।
৫) বিশ্ব ব্যাপী মানবাধিকার লংঘন মনিটন ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিবগ এবং তাদের অধিকার ও পুনবাসন করার ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন কনভেনশনকে সমর্থন ও সহযোগীতা প্রদান।
৬) অনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ জাতি সংঘের সাধারণ পরিষদে পেশ করবে।
৪৭ টি দেশ সাধারণত ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হয় এবং বছরে কমপক্ষে ৩ টি নিয়মিত অধিবেশন বসবে আবার একতৃতীয়াংশ সদস্যের অনুরোধে বিশেষ অধিবেশনের আহব্বান করা যাবে । মানবাধিকারের প্রধান কার্যালয় হলো জেনেভা।
প্রশ্ন-২ আন্তজার্তিক মানবাধিকার বিল আলোচনা কর। অথনৈতিক ,সামাজিক এবং সাংকৃতিক বিষয়ক আন্তজার্তিক চুক্তিতে কি কি বিষয় লিপিবদ্ধ আছে, কমিটি কিরুপে গঠিত হয় এবং ইহা কিরুপে কাজ করে?
আন্তজার্তিক মানবাধিকার বিল:
মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে ,মানুষ সকল সময়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইংল্যান্ডে ১২১৫ সালের মেঘনা কাটা,
১৬২৮ সালের পিটিশন অব রাইটস,
১৬৮৮ সালের বিল লব রাইটস,
১৭৭৬ সারের আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষনা,
১৭৯১ সালের আমেরিকান বিল অব রাইটস,
১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব ইত্যাদি এসকল উদ্বেগেরই পরিচয় বহন করে। কিন্তু এগুলি রাষ্ট্রীয় এখতিয়ারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দ্বিতীয বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই এইগুলি ক্রমশ: আন্তজার্তিক রুপ নেয় এবং আন্তজার্তিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জাতিসংঘই হচ্ছে প্রথম আন্তজার্তিক দলিল যা মানবাধিকার সমূন্নত রাখার ব্যাপারে অঙ্গিকার বদ্ধ। এর প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে,” আমরা জাতিসংঘের জনগন  মৌলিক মানবাধিকারের আস্থাপুনস্থাপন করেছি,যা নারী ,পুরুষ সকল মানুষ, ছোট-বড় সকল জাতি সমান অধিকার ভোগ করবে”।
প্রস্তাবনা ছাড়াও  সনদের ৮টি অনুচ্ছেদে প্রত্যক্ষভাবে মানবাধিকারের উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ পরিষদ এবং এর প্রদত্ত কর্তৃত্বাধীনে অর্থনৈতিক ও অছি পরিষদ মূলত: মানবাধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। এই পরিষদ কর্তৃক প্রণীত সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয় ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর। বিখ্যাত এই ঘোষনার উপর ভিত্তি কওে ১৯৬৬ সালে তিনটি দলিল প্রণীত হয় যেগুলি ১৯৭৬ সালে কার্যকরী হয়। এগুলি হচ্ছে,
১) সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের উপর আন্তহজার্তিক চুক্তিপত্র।
২) অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের উপর আন্তজার্তিক চুক্তিপত্র
৩)সিভির ও রাজনৈতিক অধিকারের উপর আন্তজার্তিক চুক্তিপত্র সংক্রান্ত ঐচ্ছিক প্রটোকল।
মানবাধিকারের আন্তজার্তিক বিল মূলত: সার্বজনীন ঘোষনা ও উক্ত তিনটি দলিলে সমন্বয়ে গঠিত। এগুলি ছাড়াও জাতিসংঘ প্রায় ৬০টির অধিক দলির প্রনীত ও গ্রহীত হয়েছে যেগুলি মানবাধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট। এগুলি হচ্ছে-গনহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তির ব্যবস্থা যুদ্ধকালীন সময়ে বে-সামরিক ব্যক্তিদের ও সামরিক ব্যক্তিদের প্রতি আচরণ,উদ্বাস্তুদের অবস্থা,বর্ণবৈষম্য রোধ,নারী-পূরুষ বৈষম্য ইত্যাদি সংক্রান্ত।
অথনৈতিক ,সামাজিক এবং সাংকৃতিক বিষয়ক আন্তজার্তিক চুক্তিতে কি কি বিষয় লিপিবদ্ধ আছে:
১৯৪৮ সালে মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষনার উপর ভিত্তি করে ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দুটি চুক্তির প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রথমটি হচ্ছে-ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়াবহধহঃ ড়হ পরারষ ধহফ ঢ়ড়ষরঃরপধষ ৎরমযঃং
 দ্বিতীয়টি হচ্ছে-ওহঃবৎহধঃরড়হধষ পড়াবহধহঃ ড়হ ঊপড়হড়সরপ, ঝড়পরধষ ধহফ ঈঁষঃঁৎধষ জঁমযঃ.
স্বাক্ষর দান,অনুসমর্থন ও যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হবার পর ১৯৭৬ সালের ৩ জানুয়ারী থেকে কার্যকর হয়।
১০ টি অধিকারের কথা বলা আছে-
১) আতœ নিয়ন্ত্রনের অধিকার
২) কর্মের অধিকার
৩) কর্মের ন্যায় সংগত সুবিধাজনক শর্ত উপভোগের অধিকার।
৪) ট্রেডইউনিয়ন ও ধমঘট করার অধিকার।
৫) বীমাসহ সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার।
৬) মা ও শিশুর জন্য বিশেষ সুবিধা সমূহ
৭) পর্যাপ্ত মৌলিক দাহিদা রাখার অধিকার।
৮) শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার মান বজায় রাখার অধিকার।
৯) ২ বছরের মধ্যে অবৈতনিক শিক্ষার অধিকার।
১০) সাংস্কৃতিক জীবনের অংশগ্রহন এবং বৈজ্ঞানিক সুফল ভোগ করার অধিকার।

কমিটি:
ঊঈঙঝঙঈ বা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ প্রথম ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি ওয়াকিং কমিটি গঠন করে।১৯৮৫ সালে এই কমিটি ১৮ সদস্য বিশিষ্ট হয়। সদস্য রাষ্ট্র হতে পেশকৃত তালিকা হতে ৪ বছর মেয়াদের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকে। ২ বছর অন্তর অর্ধেক সদস্যে জন্য নির্বাচন হয় এবং পুরাতন সদস্যেরা পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন। অর্থনৈতিক ,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক বার্ষিক রিপোর্ট প্রদান করবেন জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে এবং সাধারণ পরিষদ এটা মূল্যায়ন করবেন। ন্যায় পরতার ভিত্তিতে ভৌগোলিক বিবেচনায় কমিটিতে প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রশ্ন-৩ নারীর প্রতিবৈষম্য দুরীকরণ বিষয়ক কনভেনশন-১৯৭৯,১৯৮৯ সনের শিশু সনদ,শিশু অধিকার সংরক্ষণ। ১৯৪৮ সালের নারী নির্যাতন উন্নয়নে পক্ষ রাষ্ট্র সমুহ কি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে? এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন-৪ এন,জি,ও বলতে কি বুঝ? কিভাবে এন.জি.ও গুলো মানবাধিকার রক্ষায় অবদান রাখে? বাংলাদেশের এন.জি.ও অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
এন.জি.ও(ঘড়হ –এড়াবৎহসবহঃধষ ঙৎমধহরুধঃরড়হ) হচ্ছে একটা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগনকে বিভিন্নমূখী সেবা প্রদান করা। এনসাইক্লোপেডিয়া অব পাবলিক ইন্টার ন্যাশনাল ল’ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, এন.জি.ও হল সে ধরনের বেসরকারী সংস্থা যা সরকার বা আন্ত:সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয়, কিন্তু তাদের কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং তাদের সদস্যরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকে।
বিশ্ব ব্যাংক এনজিওর একটা গ্রহনযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন। সেটা হচ্ছে, এনজিও হচ্ছে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যারা মানুষের দঃখকষ্ট লাঘব,দরিদ্র পীড়িত জনগণের স্বার্থন্নোয়ন, পরিবেশ রক্ষার উদ্দেশ্যে কর্মকান্ড পরিচালিত করে এবং মৌলিক সামাজিক সেবা প্রদান করে কিংবা সামাজিক উন্নয়নমুলক কর্মসূচী গ্রহন করে।
সদাপরিবর্তনশীল সামাজিক মূল্যবোধের প্রেক্ষিতে এনজি একটি নতুন ধারনা। তাই এর সংজ্ঞায়ন করে একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে এর পরিধি সীমাবদ্ধ না রেখে এর নির্দিষ্ট সংজ্ঞার পরিবর্তে এদের কার্যপদ্ধতি,প্রকৃতি ও পরিধি নিয়ে পর্যালোচনা করাই শ্রেয়। সরকারী সংস্থা ব্যতীত যে কোন সংস্থা এর অন্তভূক্ত হতে পারে। এগুলির উদ্দেশ্য ও কর্মকান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন-
ক) আর্থিক স্বার্থ সংক্রান্ত
খ) ইস্যুভিত্তিক যেমন পরিবেশ বিষয়ক
গ) জাতিগ্রহ যেমন-নারীপুরুষ আদিবাসী সংক্রান্ত
ঘ) প্রবীণ বা যুবসমাজ বা শিশু অধিকার সংক্রান্ত
ঙ) জনস্বার্থ ষিয়ক যেমন-দুর্নীতি বিরোধী বা প্রতিবন্ধী বিষয়ক সংস্থা অধিকার ইত্যাদি।
এগুলি আবার জাতীয় হতে পারে কিংবা আন্তর্জাতিক হতে পারে। জাতীয় এনজিওর মধ্যে ব্র্যাক,আশা,প্রশিকা, কারিতাস,ব্যুরো বাংলাদেশ,এসো মিলে কাজ করি, ডাকদিযে যায়, গণ সাহায্য সংস্থা, স্বনির্ভর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য।
আন্তজার্তিক এনজিওগুলোর মধ্যে কেয়ার বাংলাদেশ, সেভদি চিলড্রেন ফান্ড, দি পাথ ফাইন্ডার, এ্যাসনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যাান রাইটস ওয়াচ উল্লেখযোগ্য।
এনজিওগুলি জাতিসংঘকর্তৃক স্বীকৃত কেননা এর অন্যতম অঙ্গ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদকে এনজিওদের সাথে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে(অনু:৭১)। মানবাধিকার সংক্রান্ত এনজিওগুলি মানবাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ ব্যবস্থার অভুতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। এনজিওগুলি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমুল পর্যায়ে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহনে কর্মকান্ড পরিচালিত করে। মানবাধিকার সংক্রান্ত জাতীয় পর্যায়ে এজিও হচ্ছে অধিকার এবং আন্তজার্তিক পর্যায়ে মানবাধিকার এনজিও হচ্ছে এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল,ইন্টারন্যাশনাল লীগ ফর হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার কমিটি ফর হিউম্যানরাইটস,ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রমূখ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন কনভেনশনে যে রিপোটিং ব্যবস্থা রযেছে তাতে সাম্প্রতিককালে এনজিওগুলি বাস্তবায়নে বিভিন্ন কমিটি রয়েছে, সেই কমিটির সভায় এনজিওগুলিঅংশগ্রহন করে থাকে। ফলে, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র যে প্রতিবেদন পাঠায় সেগুলি সত্যতা যাচাই করতে পারে এসকল কমিটি। এ কমিটির মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে।
বস্তুত এভাবে এনজিওরা সংশিষ্ট রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রনে রেখে মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বাংলাদেশে এনজিও এর অবস্থান:
বাংলাদেশে এনজিও গুলির খুবই শক্ত অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশের এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,স্বাস্থ্য, বৈজ্ঞানিক,কারিগরী,মানবাধিকার প্রভৃতি বিষয় অবদান রাখিয়া চলিতেছে। সরকার এই সকল প্রতিষ্ঠানের কাজে কোন প্রকার হস্তক্ষেপকরিতে পাওে না। যেমন- ব্র্যাক,ডানিডা,আশা ইত্যাদি।


ঘ-বিভাগ
প্রশ্ন-১:তুমি কি মনে কর জাতিসংঘ এর উদ্দেশ্য অর্জন সফল হয়েছে? জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও সিন্ধান্ত সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করুন? ভেটো প্রদান কি?
জাতিসংঘের উদ্দেশ্য:
১) জাতি সংঘের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা
২) পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আতœ নিয়ন্ত্রনের অধিকার
৩) জাতিতে জাতিতে সৌহাদ্দপূর্ণ সম্পর্কের প্রসার
৪) অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার আন্তজার্তিক সহযোগীতা ও সমাধান
জাতিসংঘের ইতিহাসে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা বা পুন:স্থাপনের উদ্দেশ্যে বহুবার বিভিন্ন ঘটনা,পরিস্থিতি বা সমস্যার উপর নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হযেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হয়েছে তবে তার সফলতার তালিকা শূণ্য নয়। বিভিন্ন সংঘর্ষ ও সহিংসতায় নিরাপত্তা পরিষদের শান্তি ও যুদ্ধ সমূহের শান্তির অন্বেষার উদাহরণ কম নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ পরিষদ বিষ্ময়কর সাফাল্য পেয়েছে।
জাতি সংঘের অঙ্গ:
১) সাধারণ পরিষদ
২) নিরাপত্তা পরিষদ
৩) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
৪) ওছি পরিষদ
৫) আন্তজার্তিক আদালত
৬) সচিবালয়
সাধারণ পরিষদ: সাধারণ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন। বছরে একবার নিয়মিত অধিবেশন বসে। প্রতি অধিবেশনে একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্তে ২/৩ অংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। নিরাপত্তা পরিষদে ও সাথে যৌথভাবে মহাসচিব এবং বিচারক নিয়োগ করেন।এর অধীনে কিছু কমিশন আছে- আন্তজার্তিক মানবাধিকার কমিশন
আইন কমিশন
অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ কমিশন
নিরাপত্তাপরিষদ:
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ: ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কাউনসিল। বছরে ২ বার অধিবেশন হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠের ভোটে সিন্ধান্ত গৃহিত হয়।
ইউনিসেফ,ইউএনডিপি,
অছি পরিষদ: আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর রক্ষনাবেক্ষন ও শাসনভার পরিচালনা। বছরে ২ বার অধিবেশন বসে।
কমনওয়েলথ
ন্যাটো
সার্ক
জি ৮
জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও সিন্ধান্ত সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ:
জাতিসংঘের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল নিরাপত্তা পরিষদ। এটিকে জাতিসংঘের ¯œায়ুকেন্দ্র বলা হয। এটি জাতিসংঘের মুখ্য কর্ণধার। নিরাপত্ত পরিষদের প্রথম কাজ আন্তজার্তিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের মূল দাযিত্ব অর্পণ করা হয়েছে জাতিসংঘের অন্যতম প্রধান অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের উপর। একে কেন্দ্র করেই জাতিসংঘের উদ্যোগ,কর্মতৎপরতা,সাফল্য ও ব্যর্থতা প্রবর্তিত।
গঠন:
জাাতসংঘ সনদের ২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৫ জন সদস্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হবে। ৫ জন স্থাায়ী সদস্য ও  ১০ জন অস্থায়ী সদস্য নিয়ে এই পরিষদ গঠিত।
স্থায়ী সদস্যগুলি হল-যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স,চীন ও রাশিয়া।
প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগন পালাক্রমে ১ মাসের জন্য সভাপতি নিযুক্ত হন। ভোটের মাধ্যমে সকল সিন্ধান্ত গ্রহীত হয়। পদ্ধতিগত প্রশ্নে ৯ জন সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়। সাধারণভাবে স্থায়ী ৫ জন সহ ৯ জন। আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ থেকে ৫ জন, লেটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল হতে ২ জন,পশ্চিম ইউরোপ এবং অন্যান্য রাষ্ট্র কানাডা অষ্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড থেকে ২ জন, পূর্ব ইউরোপ থেকে ১ জন। প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর সভা হবে।
সফলতা:
১) ১৯৬০ সালে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত কঙ্গোতে ভয়াবহ অরাজকতা রোধ এবং শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে।
২) ষাটের দশকে তদানীন্তর রোডেশিয়া এবং দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত অর্থনৈতিক ও অস্ত্র সরবরাহ নিষেধাজ্ঞা এই দুটি দেশে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যা লঘু শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত গনতন্ত্র উত্তরণের মাধ্যমে আফ্রিকার একটি বিশাল অশান্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রেখেছে।
৩) ইরাক ইরান যুদ্ধের সময় নিরাপত্তা পরিষদের সনদ অনুসরনের ফলেই যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল ৪) সম্প্রতি পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা ও শান্তি পূর্ণ অবস্থার জন্য নিরাপত্তা পরিষদ প্রশংসার দাবিদার।
৪) এর সবচেয়ে বড় সাফল্য হল এটা গঠনের পর হতে এখন পর্যন্ত কোন বিশ্বযুদ্ধ বাধেনি।
ব্যর্থতা: এত সফলতার পরও নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হওয়া যায় না-যখন মধ্য প্রাচ্যে শান্তি অগ্রযাত্রা ইত্যাদি বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসে। বর্তমানে ফিলিস্তিনের ব্যাপারটি শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং এখানে নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা প্রশ্নের সম্মূখীন। ইরাক প্রশ্নেও একই ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়।
১৩ আগষ্ট ১৯৯২ সালে সবনিয়াতে যে হত্যাযজ্ঞ হল নিরাপত্তা পরিষদ তা থামাতে ব্যর্থ হযেছে। অতি সম্প্রতি ফিলিস্তিনের জেনিন নগরেিত যে গনহত্যা চালানো হয়েছে তারও উপযুক্ত প্রতিকার এখ ন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এটা জাতিসংঘের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। আফগানিস্তান, সোমালিয়া বসনিয়া রুয়ান্ডা, বুরুন্ডিসহ পৃথিবীর উত্তেজনাপূর্ন স্থানগুলি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের শক্তিশালী হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
তবে একচোখাভাবে নিরাপত্তা পরিষদের সমালাচনা করা ঠিক হবে না। এই ব্যর্থতার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা। সাফল্যের সাথে নিরাপত্তা পরিষদের প্রভাব বিস্তারের জন্য এ পরিষদের আরো বেশী প্রতিনিধিত্বমূলক ও কর্তৃত্ব সম্পন্ন হতে হবে। আন্তজার্তিক শান্তি রক্ষায় নিরাপত্তা পরিষদের বলিষ্ট ভূমিকা প্রসঙ্গে গরষষবহহরঁস ঝঁসসরঃ এ সব সম্মতিক্রমে নিরাপত্তা পরিষদ বরমযঃ ঢ়ড়রহঃ সনদ ঘোষনা করেছে।

ভেটো প্রদান কি:
জাতিসংঘ সনদের ২৭ ধারায় নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো দান পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।এ ধারাটি বিদেশও ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
সনদের ২৭(১) অনুসারে
নিরাপত্তা পরিষদের প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটি করে ভোট আছে। কিন্তু পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের গুরুত্ব অধিক, সনদে নিরাপত্তা পষিদের আলোচ্য বিষয়কে দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং দু’ধরনের বিষয়ের জন্য দু’রকম ভোট পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। যথা
১) পদ্ধতিগত বিষয
২) অপদ্ধতিগত বিষয়
সনদের ২৭(২) ধারা মতে,
পদ্ধতিগত বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদে ৯ সদস্যের ইতিবাচক ভোটে সিন্ধন্ত গৃহীত হবে।
পদ্ধতিগত বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কোন স্থায়ী সদস্যের নেতিবাচক ভোটকে প্রচলিত ভাষায় ভেটো বলে।
ভেটো ক্ষমতা: ভেটো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের একটি বিশেষ ক্ষমতা, যা প্রয়োগ করে নিরাপত্তা পরিষদের কোন প্রস্তাবকে নাকচ বা অকার্যকর করে দেয়া হয়। ভেটো ক্ষমতার পক্ষে ও বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি প্রদর্শন করা হলেও এটা জাতি সংঘ পরিমন্ডলে একটা রুঢ়বাস্তবতা যা বিগত জাতিপুঞ্জের আমলে ছিল।
ভেটো হচ্ছে একটা নাসূচকভোট। ভোটদান করা হতে বিরত থাকা কিংবা অনুপস্থিত থাকাকে ভেটোপ্রয়োগ বলে না। ভেটো প্রয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করে তা স্পষ্টভাবে প্রযোগ করতে হবে। অর্থাৎ নাসূচক মতামত ব্যক্ত করতে হবে।
এটি ল্যাটিন শব্দ।এর অর্থ → আমি মানি না।জাতিসংঘের নিরাপত্তাপরিষদের স্থায়ী সদস্যরা ভেটো প্রদান করতে পারেন। জাতিসংঘ গঠনের উদ্যোক্তা না হয়েও ভেটো প্রদানেরর ক্ষমতা রয়েছে ফ্রান্সের। সর্বোচ্চ ভেটো প্রদানকারী দেশ- রাশিয়া।বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভেটো প্রদানকারী দেশ- রাশিয়া।বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ভেটো প্রদানকারী দেশ- চীন ভেটো ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সম্প্রতি জাপান, জার্মানি, ভারত, ব্রাজিল দাবি জানিয়েছে।
অবশ্যম্ভাবী শব্দ হিসেবে ভেটো শব্দটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও এটি বৈশ্বিকভাবে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে।যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স - এই পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। তারা প্রত্যেকেই ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী। ভেটো ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে যে-কোন একটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যে-কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আইন প্রণয়ন অনুমোদনে বাধা প্রদান করতে পারে।




প্রশ্ন-২ আন্তর্জাতিক আদালত বলতে কি বুঝ? আন্তজার্তিক আদালতে বিচারকদের নিয়োগ পদ্ধতি আলোচনা কর। আন্তজার্তিক আদালতের রায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আলোচনা কর।
আন্তর্জাতিক আদালত :
আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত (ইংরেজি: ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ঁৎঃ ড়ভ ঔঁংঃরপব; ফরাসি: ঈড়ঁৎ রহঃবৎহধঃরড়হধষব ফব ঔঁংঃরপব; মূলত আন্তর্জাতিক আদালত নামে পরিচিত। এটির সদর দপ্তর হেগ, নেদারল্যান্ডে। এটির প্রধান কাজ স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আইনী বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আইন বিষয়ে পরামর্শ মতামত দেয়া। আন্তজাতিক আদালতে বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম পিটার টমকা স্লোভাকিয়া ২০০৩-২০২১
কার্যক্রম
জাতিসংঘ দ্বারা ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আদালত ১৯৪৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে, আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচারের স্থায়ী আদালতের উত্তরসুরি হিসাবে। পূর্বসূরির মতই এটিও সাংবিধানিক নথিপত্র দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত। আদালত বৈচিত্র্যময় বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত করে থাকে। আজ পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক আদালতে অল্প কিছু মামলা পরিচালিত হয়েছে। যাই হোক, ১৯৮০ সালের পর থেকে দৃশ্যত আদালতের ব্যবহার বেড়েছে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে।
বিচারক নির্বাচন
আন্তর্জাতিক আদালত ৯ বছর মেয়াদি ১৫ জন বিচারক দ্বারা পরিচালিত। বিচারকগন স্থায়ী সালিস আদালতের মনোনীত তালিকা থেকে জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক আদালতের অনুচ্ছেদ ৪-১৯ এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আদালতের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি ৩ বছর পর পর ৫ জন বিচারক নির্বাচন করা হয়। কোন বিচারক মারা গেলে, সাধারনত বাকি সময়ের জন্য বিশেষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিচারক নির্বাচন করা হয়। একই দেশ থেকে দুই জন বিচারক থাকে না। অনুচ্ছেদ ৯ অনুসারে আদালতের সদস্যপদ ‘ মৌলিক সমাজ ব্যাবস্থা ও শীর্ষস্থানীয় আইন ব্যাবস্থা’ কে প্রতিনিধিত্ব করে। মূলত, সকল ধরনের বিদ্যমান আইন। জন্মলগ্ন থেকে, নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্যের (ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) মধ্যে ৮ জনের বিচারক সবসময় এই আদালতে থাকে। শুধুমাত্র চীন কোনো নাম না দেওয়ার কারনে, এই আদালতে কোন ) বিচারক (১৯৬৭ থেকে ১৯৮৫ ছিল না।

অনুচ্ছেদ ৬ অনুসারে সকল বিচারক দেশ - জাতি নির্বিশেষে উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারি নির্বাচিত হবেন যারা নিজ দেশে সরবোচ্চ বিচার কার্যালয়ে উপযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা রাখেন। বিচার ব্যাবস্থার স্বাধীনতা অনুচ্ছেদ ১৬-১৮ দ্বারা নিশ্চিত করা হয় এবং আদালতের বিচারকেরা অন্য কোন পদে বা পরামর্শক হিসাবে কাজ করতে পারবেন না। সাধারনত এই আদালতের বিচারকেরা নিজস্ব নৈতিকতা দিয়ে এই আইন মেনে চলেন। কোন বিচারককে বরখাস্ত করা যাবে যদি বাকি বিচারকেরা সর্বসম্মত হন।  বিচারকেরা সম্মিলিত বাঁ পৃথক মতামত দিতে পারেন। সিদ্ধান্ত এবং পরামর্শ মতামত সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে হয়। সমসংখ্যা মতামতের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত চূডান্ত। .[৪] বিচারকেরা কোন বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন।
 বিশ্ব মানবতাকে রক্ষা করা, মানব সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্ব মানবতার ঐক্য ও সংহতি এবং বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালত গঠন করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডের হেগ নগরীতে আন্তর্জাতিক আদালত অবস্থিত। এ আদালতের বিচারক উঁচু নৈতিক চরিত্রের অধিকারী, নিজ নিজ দেশে সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানে বিচারক হওয়ায় যোগ্যতার অধিকারী বা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন আইনজ্ঞ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে স্বাধীন বিচারকদের নিয়ে এই আদালত গঠিত। এই আদালতের বিচারক সংখ্যা ১৫ জন। এশিয়া থেকে তিনজন, আফ্রিকা থেকে তিনজন, পশ্চিম ইউরোপ থেকে পাঁচজন, পূর্ব ইউরোপ থেকে দুইজন এবং লাতিন আমেরিকা থেকে দুইজন বিচারক নিয়োগ করা হয়। তবে এক রাষ্ট্র থেকে একজনের বেশি বিচারক নিয়োগ করা যায় না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে বিচারপতি নিয়োগ হয়ে থাকে।আন্তর্জাতিক আদালতের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বিচারকাজ চালাতে পারেন। তবে বিবদমান রাষ্ট্রগুলো অনুরোধ জানালে ক্ষুদ্র অংশ চেম্বার বসতে পারে। চেম্বারের রায়কে সমগ্র আদালতের রায় হিসেবে গণ্য করা হয়। কমপক্ষে ৯ জন বিচারপতিকে একটি বিচারকাজ চালাতে হয়।বিশ্বের মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিরসনের বিষয়ে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে সরে এসে দ্বিপক্ষীয়ভাবে নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতে নালিশ জানায়। পরে মিয়ানমার রাষ্ট্র বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমানায় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।তবে আন্তর্জাতিক আদালতে কোনো দেশের নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে নালিশ জানাতে পারেন না। দুইটি দেশের মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে কেবল সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র নালিশ জানাতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধি ৩৪ অনুচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্র কোনো বিচারের বিষয়ে আদালতে পক্ষ হয়ে মোকদ্দমা করতে পারে। ব্যক্তি বা আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠনও আন্তর্জাতিক আদালতে দায়ের করা কোনো মামলায় পক্ষ হতে পারে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের পরিধি বেড়েছে অনেকগুণ বেশি। ব্যক্তি নয়, অন্তত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক আদালতে নালিশ করার সুযোগ দেওয়া হলে বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি তথা এক রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করার সুযোগ কম থাকে।

আন্তজার্তিক আদালত:বিচারক ১৫ জন ৯  বছরের জন্য নিযুক্ত হয় একজন সভপতি,একজন সহসভাপতি ও রেজি: সাধারণ পরিষদের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে নিয়োগ হবে। প্রতি তিন বছর অন্তর ২/৩ অংশ বিচারক অবসর নিবেন। অবকাশকালীন সময় ছাড়া সারা বছরই আন্তজার্তিক আদালত চলবে।
সচিবালয়: দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনা করাই সচিবালয়ের প্রধান কাজ। সচিবালয়ের প্রধান মহাসচিব ৫ বছরের জন্য সাধারণ পরিষদের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে নিয়োগ পান।
আন্তজার্তিক আদালতের রায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া:
রাষ্ট্রীয় আদালতের ন্যায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কার্যকর করার সুষ্ট বিধান নাই। প্রশান্ত মহাসাগরে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষামূলকভাবে বিস্ফোরণের উদ্যোগ নিলে অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এতে আপত্তি উত্থাপন করে এবং আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হলে আদালত ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু ফ্রান্স তা অগ্রাহ্য করে। ফ্রান্সের মতে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে কোন কার্য বন্ধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আদালতের কোন এখতিয়ার নাই।
আদালত সংবিধিতে রায় কার্যকরী করণের কোন বিধান নেই। তবে জাতিসংঘসনদের ৯৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতি সংঘের সদস্যভূক্ত কোন রাষ্ট্র অন্তর্জাতিক আদালতের রায় পালনে ব্যর্থ হলে বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে অপরপক্ষ নিরাপত্তা পরিষদের,প্রযোজনবোধে জাতিসংঘের সদ¯্ররাষ্ট্রগুলো সহায়তা শরানাপন্ন হতে পারবে। সেমতাবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদ নি¤œরুপ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে-
প্রয়োজনবোধে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সহায়তায় সামরিক বাহিনী গঠন করে সংশ্লিস্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে। অথবা
সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বয়কট আরোপ করতে পারে। অথবা সুপারিশমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অভিমত ব্যক্ত করে সুপারিশ করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে আন্তজার্তিক আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারক নারেন্দ্রনাথ সিং এর মন্তব্য বেশ মনোমুগ্ধকর। তিনি বলেন-
“খধি রিঃযড়ঁঃ ভড়ৎপব রং রসঢ়ড়ৎঃধহঃ ধহফ ভড়ৎপব রিঃযড়ঁঃ ষধি রং ধহধৎপযু. ওহ ঃযব ড়িৎষফ ঈড়ঁৎঃ, ঞযবৎব রং ষধি নঁঃ রিঃযড়ঁঃ ভড়ৎপব”
প্রশ্ন-৩ নরেমবার্গ .যুগোশ্লভিয়ার,রুয়ান্ডা আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে আলোচনা কর।
আর্ন্তজাতকি অপরাধ
আর্ন্তজাতকি অপরাধ বলতে সসেকল অপরাধ বুঝায় যা আর্ন্তজাতকি সমাজরে ভত্তিমিূল ধরে নাড়া দয়ে এবং আর্ন্তজাতকি সম্প্রদায়রে সহানুভূতি ও ন্যায়পরতার বোধকে মারাত্মকভাবে আহত কর।ে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতা ও শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধকে আর্ন্তজাতকি অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। নুরমের্বাগ ট্রায়ালে আর্ন্তজাতকি আইনরে নীতমিালাকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়ছেে যে তা যুদ্ধ আইন ও যুদ্ধাপরাধীদরে সংজ্ঞায়ন ও শাস্তরি ক্ষত্রেে বপ্লৈবকি পরর্বিতন এনছে।ে আর্ন্তজাতকি আইন কমশিন ১৯৫০ সালে এর দ্বতিীয় অধবিশেনে আর্ন্তজাতকি আইনরে যসেকল নীতমিালা নুরমের্বাগ ট্রায়ালরে রায়ে ববিৃত হয়ছেলি তার একটি সংক্ষপ্তি ভাষ্য প্রদান কর।ে নুরমের্বাগ ট্রাইব্যুনাল তনি ধরণরে অপরাধকে আর্ন্তজাতকি আইনরে অধীন শাস্তযিোগ্য বলে চহ্নিতি কর,ে সগেুলো হচ্ছ:ে
১) শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ;
২) যুদ্ধাপরাধ;
৩) মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ।
নুরমের্বাগ র্চাটাররে ৬ অনুচ্ছদে ও আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় বলা হয়ছেে য,ে আর্ন্তজাতকি চুক্তি ও প্রতশ্রিুতি লংঘন করে যুদ্ধ বা আগ্রাসনরে জন্য যুদ্ধরে পরকিল্পনা, প্রস্তুতি বা উদ্যোগ গ্রহণ করলে তাকে শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ বলে গণ্য করা হব।ে নুরমের্বাগ র্চাটার ও আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এ মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধকে সংজ্ঞায়তি করতে গয়িে বলা হয়ছেে য,ে রাজনতৈকি, র্ধমীয়, র্বণ বা গোত্রগত কারণে বসোমরকি জনগোষ্ঠীর কোন সদস্যকে যুদ্ধরে আগে বা যুদ্ধ কালীন সময়ে হত্যা, নর্যিাতন, বন্দী, অপহরণ, র্ধষণ বা অন্য কোন অমানবকি উপায়ে নর্যিাতন করা হলে তাকে মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ বলে গণ্য করা হব।ে আর্ন্তজাতকি আইন কমশিনরে রপর্িোটরে ৪ নম্বর নীতি ও আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন এর ৩ নম্বর ধারায় যুদ্ধাপরাধকে সংজ্ঞায়তি করা হয়ছে।ে যুদ্ধাপরাধ বলতে যুদ্ধরে আইন ও রীতনিীতি লংঘন করে বসোমরকি জনসাধারণকে হত্যা, নর্যিাতন বা বাধ্যতামূলক শ্রমরে জন্য নর্বিাসনকে বুঝাব।ে এছাড়া অধকিৃত ভুখন্ডে অথবা সমুদ্রপথে যুদ্ধবন্দি অথবা বসোমরকি লোকজনকে হত্যা বা নর্যিাতন, জম্মিি হত্যা, সরকারি বা ব্যক্তগিত সম্পত্তি লুন্ঠন, নগর বা গ্রামরে মারাত্মক ক্ষতসিাধনকে যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য করা হব।ে
১৯৪৮ সালে জাতসিংঘ সাধারণ পরষিদ র্কতৃক গৃহীত জনেোসাইড কনভনেশনরে ২ নম্বর অনুচ্ছদে এবং আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় গণহত্যাকে সংজ্ঞায়তি করা হয়ছে।ে জাতগিত, নৃতাত্ত্বকি, র্বণগত, র্ধমীয় অথবা রাজনতৈকি কোন সম্প্রদায়কে সর্ম্পূণ বা আংশকি ভাবে নর্মিূল করার জন্য ঐ সম্প্রদায়রে সদস্যদরে হত্যা অথবা মারাত্মক শারীরকি বা মানসকি ক্ষতসিাধন, অথবা ঐ সম্প্রদায়রে মধ্যে জোরর্পূবক জন্মনরিোধক ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা ঐ সম্প্রদায়রে শশিুদরেকে অন্য সম্প্রদায়রে কাছে হস্তান্তরকে গণহত্যা বলে ববিচেনা করা হব।ে
দ্বতিীয় বশ্বিযুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটতি অপরাধ ও নুরমের্বাগ ট্রায়াল
দ্বতিীয় বশ্বিযুদ্ধরে সময় যে মাত্রায় যুদ্ধাপরাধ, শান্তি ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ হয়ছেে তা ছলি মানজাতরি ইতহিাসে নজরিবহিীন। র্জামানীর সনোবাহনিী হাজার হাজার মানুষকে হত্যা ও নর্যিাতন করছেে যা ছলি মানবাধকিররে চরম লংঘন। দোষী ব্যক্তদিরে শাস্তি দয়োর জন্য মত্রিবাহনিীর সদস্যদরে প্রতশ্রিুতি অনুযায়ী পরর্বতীতে নুরমের্বাগ ট্রায়াল ও টোকওি ট্রায়াল অনুষ্ঠতি হয়। ১৯৪৩ সালরে ৩০ অক্টোবর মস্কো সম্মলেনে গৃহীত ঘোষণায় বলা হয় য,ে মত্রিশক্তভিুক্ত সরকারগুলোর যৌথ সদ্ধিান্ত অনুযায়ী প্রধান প্রধান যুদ্দাপরাধী, যাদরে অপরাধ কোন ভৌগলকি সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, তাদরে দণ্ড দয়ো হব।ে ১৯৪৫ সালরে ২৬ জুন লন্ডনে ফ্রান্স, সোভয়িটে ইউনয়িন, বৃটনে ও আমরেকিা সরকাররে প্রতনিধিরিা মলিতি হন ইউরোপরে প্রধান প্রধান যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে ব্যাপারে সাধারণ করণীয় নর্ধিারণ করার জন্য। ১৯৪৫ সালরে ৮ আগস্ট তারা অক্ষশক্তরি যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার ও শাস্তরি জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করনে, যটেরি সঙ্গঁে ইন্টারন্যাশনাল মলিটিারি ট্রাইব্যুনালরে র্চাটায় সহগামী হয়ছেলি। ট্রাইব্যুনাল গঠতি হয়ছেলি ৪ জন সদস্যকে নয়িে যাদরে প্রত্যকেরেই একজন করে বকিল্প ছলিনে। উল্লখেতি চুক্ততিে স্বাক্ষরকারী প্রত্যকেটি রাষ্ট্রকে ট্রাইব্যুনালে একজন বচিারক ও একজন বকিল্প বচিারক নয়িোগ করার ক্ষমতা দয়ো হয়ছেলি। ইন্টারন্যাশনাল মলিটিারি ট্রাইব্যুনালরে র্চাটার নুরমের্বাগ ট্রায়ালরে এখতয়িার সংজ্ঞায়তি করে দয়িছেলি। বলা হয়ছেলি ট্রাইব্যুনাল সইে সকল ব্যক্তি যারা ব্যক্তগিতভাবে অথবা কোন সংগঠনরে সদস্য হসিবেে ইউরোপীয় অক্ষশক্তরি র্স্বাথে কাজ করতে গয়িে যুদ্ধাপরাধ ও শান্তি ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ করছেে তাদরে বচিার করতে পারব।ে
দ্বতিীয় বশ্বিযুদ্ধরে যুদ্ধাপরাধী, মূলতঃ র্জামান সনোবাহনিীর সদস্যদরে বচিার হয়ছেলি নুরমের্বাগ,ে সজেন্যে যুদ্ধাপরাধীদরে এ বচিারটি নুরমের্বাগ ট্রায়াল বলে ইতহিাসে স্থান পয়েছে।ে বচিার চলার সময় অভযিুক্তদরে পক্ষে অনকে যুক্তর্তিক উপস্থাপন করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে য,ে অপরাধরে সময়ে র্কাযকর ছলি না এমন কোন আইনরে অধীনে অভযিুক্তদরে শাস্তি দয়ো যাবে না। এ যুক্তরি ভত্তিি হচ্ছে সইে নীতটিি যটেি পরে প্রণীত কোন আইন দয়িে র্পূবে কৃত কাজকে অপরাধ বলে গণ্য করে কোন ব্যক্তকিে শাস্তি প্রদানকে বারণ কর।ে অভযিুক্তরা আত্মপক্ষ সর্মথনে সরকার ও উর্ধ্বতন র্কতৃপক্ষরে আদশেরে কথা বলনে যটেকিে ট্রাইব্যুনালরে বচিারকরা গ্রহণ করনেন।ি ট্রাইব্যুনালরে সাক্ষ্যগ্রহণ, শুনানী ও আইনজীবীদরে যুক্তর্তিক শষে হয় ১৯৪৬ সালরে ৩১ আগস্ট।
২২ জন ব্যক্তকিে নুরমের্বাগ ট্রায়ালে বচিাররে মুখোমুখি করা হয়। বচিারকি র্কায শষে হওয়ার পর রায় দয়ো হয় ১৯৪৬ সালরে ১ অক্টোবর। ২২ জনরে মধ্যে ১ জনকে শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ এবং ২জনকে মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ করার দায়ে শাস্তি প্রদান করা হয়। বাকীদরে শাস্তি দয়ো হয় যুদ্ধাপরাধ ও র্চাটার র্বণতি অন্যান্য অপরাধ করার জন্য। নুরমের্বাগ ট্রাইব্যুনাল এর রায়ে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে বভিন্নি ময়োদরে কারাদণ্ড প্রদান কর।ে ৩ জনকে মুক্তি প্রদান করা হয়। রায়ে নুরমের্বাগ ট্রায়ালরে বচিারকগণ অভযিুক্তদরে পক্ষরে যুক্তর্তিক প্রত্যাখ্যান করে বলনে, নরিপরাধ ব্যক্তদিরে হত্যা, নর্যিাতন, অঙ্গঁহান,ি অপমান ইত্যাদি সকল সভ্য জাতরি মূল্যবোধ দ্বারা নন্দিতি এবং জাতীয় আইন ব্যবস্থা দ্বারা শাস্তযিোগ্য অপরাধ। বচিারকগণ বলনে, যারা উল্লখেতি র্কমকান্ডগুলা করছেে তাদরে জানা উচতি ছলি য,ে তারা যা করছেে তা অন্যায় যা কখনোই শাস্তি কাঠামোর বাইরে থাকতে পারে না। মানব ইতহিাসরে ভয়ংকরতম অপরাধ যারা করছেে তাদরে যদি শাস্তি দয়ো না হয় তবে সটেি হবে অন্যায় ও ন্যায় বচিাররে পরপিন্থী। নুরমের্বাগ ট্রাইব্যুনালরে রায়ে বচিারকগণ বলনে, ট্রাইব্যুনাল যে বধিি বধিানগুলো প্রয়োগ করছেে সগেুলি এর র্পুবে র্কাযকর আর্ন্তজাতকি আইন না হলওে, সগেুলো সকল জাতরি কাছে গ্রহণযোগ্য র্কাযকর নতৈকিতা বলে স্বীকৃত। ট্রাইব্যুনাল এর রায়ে বলে য,ে ১৯২৮ সালরে প্যারসি চুক্তি ভঙ্গঁ করে অন্যান্য রাষ্ট্ররে বরিুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধ পরচিালনার জন্য র্জামানী দায়ী। এজন্য দায়ী ব্যক্তদিরে ট্রাইব্যুনাল শাস্তি প্রদান কর।ে র্ঊধŸতন ব্যক্তি বা র্কতৃপক্ষরে আদশে সর্ম্পকে বলা হয় য,ে সরকার বা র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষরে আদশে একজন ব্যক্তকিে আর্ন্তজাতকি আইনরে অধীনে দায়মুক্ত করে না।
সাবকে যুগোশ্লাভয়িার যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে জন্য ট্রাইব্যুনাল
১৯৯২ সালে জাতসিংঘরে নরিাপত্তা পরষিদ সাবকে যুগোশ্লাভয়িা ভুখন্ডে সংঘটতি যুদ্ধাপরাধরে বষিয়ে বশিষেজ্ঞ কমশিন গঠন কর।ে কমশিন এর রপর্িোটে ১৯৯১ সাল থকেে সাবকে যুগোশ্লাভয়িাতে যারা আর্ন্তজাতকি মানবকি আইন লংঘন করছেে তাদরে বচিাররে জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে বল।ে কমশিন উল্লখে করে যে তাদরে কাছে হাজার হাজার পাতার তথ্য প্রমাণ রয়ছেে কভিাবে জনেভো কনভনেশন ও আর্ন্তজাতকি মানবকি আইন লংঘতি হয়ছে।ে বশিষেজ্ঞ কমশিনরে সুপারশি বাস্তবায়নরে জন্য নরিাপত্তা পরষিদ ১৯৯৩ সালরে ২২ ফর্রেুয়ারী একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করার সদ্ধিান্ত নয়ে। এ প্রস্তাবে নরিাপত্তা পরষিদ জাতসিংঘরে মহাসচবিকে পরষিদরে সদ্ধিান্ত দ্রুত বাস্তবায়নরে জন্য তার মতামত প্রদানরে অনুরোধ জানায়। পরর্বতীতে নরিাপত্তা পরষিদ ১৯৯৩ সালরে ২৫ মে আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনাল গঠন করার র্সবসম্মত সদ্ধিান্ত গ্রহণ কর।ে এ সদ্ধিান্তে ট্রাইব্যুনালরে ৩৪টি অনুচ্ছদে সম্বলতি সংবধিটিি অনুমোদতি হয়। সংবধিতিে বলা হয় য,ে ট্রাইব্যুনাল নরিাপত্তা পরষিদরে একটি সহায়ক সংস্থা হসিবেে কাজ করব।ে কোন রাজনতৈকি ববিচেনা ছাড়াই ট্রাইব্যুনাল তার র্কমকান্ড পরচিালনা করবে এবং নরিাপত্তা পরষিদ কোনভাবইে ট্রাইব্যুনালরে বচিারকি কাজ নয়িন্ত্রণ করতে পারবে না। উল্লখ্যে য,ে জাতসিংঘ র্কতৃক “ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল” গঠন এটাই প্রথম। এ ট্রাইব্যুনালকে সাবকে যুগোশ্লাভয়িা ভু-খন্ডে যারা যুদ্ধাপরাধ করছেলি তাদরেকে বচিাররে এখতয়িার দয়ো হয়। গণহত্যা ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধরে দায়ে ট্রাইব্যুনাল বসনয়িার র্সাব নতেৃবৃন্দ ও সামরকি কমান্ডারদরে অভযিুক্ত কর।ে বদ্রিোহী র্সাবদরে নতেৃবৃন্দ যারা যাগনাব ও ক্রোয়শেয়িায় ক্লাস্টার বোমা নক্ষিপে করছেলি তাদরেও অভযিুক্ত করা হয়। বসনয়িা ও বোসানস্কি সানাকরে বন্দী ক্যাম্পগুলোতে যারা অপরাধ করছেলি তাদরে বরিুদ্ধওে অভযিোগ উত্থাপন করা হয়।
১১ সদস্য বশিষ্টি সাবকে যুগোশ্লাভয়িার যুদ্ধাপরাধ বষিয়ক আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনাল ১৯৯৩ সালরে ১৭ নবম্বের নদোরল্যান্ডরে হগে শহরে উদ্বোধন করা হয়। উল্লখ্যে, এ ট্রাইব্যুনালটি দুটি ট্রায়াল চম্বোর, একটি আপীল চম্বোর, প্রসকিউিটর ও রজেস্ট্রিি নয়িে গঠতি হয়ছেলি। ইতালীর বচিারক এ্যান্টোনয়িা ক্যাসসেি (অহঃড়হরধ ঈধংংবংব) আর্ন্তজাতকি এ ট্রাইব্যুনালরে প্রসেডিন্টে নর্বিাচতি হন এবং ভনেজেুয়লোর রোমান এস্কভার সালাম (জড়সধহ ঊংপাধৎ ঝধষধস) ট্রাইব্যুনালরে প্রসকিউিটর নযিুক্ত হন। ১৯৯৩ সালরে ১৭ থকেে ৩০ নবম্বের র্পযন্ত দু’সপ্তাহ ধরে এ ট্রাইব্যুনালরে প্রথম অধবিশেন চল।ে ১৯৯৫ সালরে ১২ ফব্রে“য়ারী সাবকে যুগোশ্লাভয়িার সন্দহেভাজন যুদ্ধাপরাধীদরে প্রথম বহঃি সর্মপণ করা হয়। ১৩ ফব্রে“য়ারী বসনয়িার একজন র্সাব জনোরলে ও র্কণলেকে নদোরল্যান্ডসরে কারাগারে নয়িে আসা হয়।
সাবকে যুগোশ্লাভয়িার প্রসেডিন্টে মলিোসভেচিরে যুদ্ধাপরাধরে বচিার
সাবকে যুগোশ্লাভয়িার প্রসেডিন্টে স্ল¬োবোদান মলিোসভেচি তার শাসনামলে মুসলমানদরে ওপর যে গণহত্যা র্ধষণ, নর্যিাতন চালয়িছেনে সটেি একদকিে যমেন লোমর্হষক, অন্যদকিে মানবজাতরি ইতহিাসে তার নজরি খুব কমই রয়ছে।ে ২০০১ সালরে ৩ জুলাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রমিন্যিাল ট্রাইব্যুনাল মলিোসভেচিরে বরিুদ্ধে আনীত অভযিোগগুলো পড়ে শোনায়। ১৯৮৮-৮৯ সালে তার শাসনকালে জনেভো কনভনেশন লংঘন করে কসোভোর জাতগিত আলবানয়িানদরে যভোবে মলিোসভেচি হত্যা, নর্যিাতন ও নর্বিাসন করছেলিনে সজেন্যই ৫৯ বছর বয়স্ক এ সাবকে প্রসেডিন্টে অভযিুক্ত হন। স্লোবোদান মলিোসভেচিকে ৩০ দনি সময় দয়ো হয়ছেলি তার আত্মপক্ষ সর্মথনরে জন্য, কন্তিু তনিি ১২ মনিটিরে মধ্যইে তার বরিুদ্ধে আনীত সকল অভযিোগ অস্বীকার করনে। তনিি বলনে ন্যাটোর সদস্যরা যুগোশ্লভয়িাতে যে যুদ্ধাপরাধ করছেলি তাকে বধৈতা দয়োই হচ্ছে এ ট্রাইব্যুনাল গঠনরে উদ্দশ্যে। ট্রাইব্যুনাল গঠনকে অবধৈ উল্লখে করে তনিি তার পক্ষে এমনকি আইনজীবী নয়িোগ করতওে অস্বীকার করনে। ২০০২ সালরে ১২ ফব্রেুয়ারি মূল বচিার র্কাযক্রমটি আরম্ভ হয়। ঐদনি জাতসিংঘরে যুদ্ধাপরাধ বষিয়ক অভযিোক্তা (প্রসকিউিটর) কারলা ডলে পন্টে (ঈধৎষধ উবষ চবহঃব) বলনে য,ে বসনয়িা, ক্রোয়শেয়িা ও কসোভোতে গণহত্যা ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ করার দায়ে মলিোসভেচি অপরাধী। উল্লখ্যে য,ে ২০০৬ সালরে ১১ র্মাচ মলিোসভেচিকে তার সলেে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ফলে রায় প্রদানরে আগইে তার যুদ্ধাপরাধ বচিাররে জন্য গঠতি ট্রাইব্যুনালরে র্কাযক্রম শষে হয়ে যায়।
রুয়ান্ডা ও কম্বোডয়িার যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার:
১৯৮০ এর দশকরে শষেদকিে রুয়ান্ডাতে হুতুদরে সঙ্গঁে তুতসদিরে জাতগিত বরিোধে তুতসরিা প্রায় ১ লক্ষ হুতুকে হত্যা কর।ে ১৯৯৪ সালরে ৮ নবম্বের নরিাপত্তা পরষিদ একটি আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনাল গঠনরে সদ্ধিান্ত নয়ে, যার উদ্দশ্যে ছলি রুয়ান্ডা ও আশপাশরে রাষ্ট্রে যারা জনেভো কনভনেশন ও অন্যান্য অপরাধরে সঙ্গঁে জড়তি ছলি তাদরে শাস্তি প্রদান করা। নরিাপত্তা পরষিদ ট্রাইব্যুনালরে জন্য জাতসিংঘ সনদরে সপ্তম অধ্যায়রে অধীনে একটি সংবধিি অনুমোদন কর।ে সাবকে যুগোশ্লাভয়িার যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে জন্য আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনাল গঠনরে পর রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে জন্য যে আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনাল জাতসিংঘরে তত্ত্বাবধানে গঠতি হয় সটেি ইতহিাসে দ্বতিীয় দৃষ্টান্ত। ১৯৯৮ সালে ট্রাইব্যুনাল তার রায় প্রদান করে যাতে রুয়ান্ডার সাবকে প্রধানমন্ত্রি জ্যা কামবানন্দ (ঔবধহ কধসনধহধহফধ) ও টাবার সাবকে ময়ের জ্যা পল আকায়শেুকে (ঔবধহ চধঁষ অশধুবংঁ) গণহত্যা ও মানতার বরিুদ্ধে অপরাধ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দয়ো হয়।
কম্ভোডয়িাতে সাবকে খমোররুজ সরকার ১৯৭৫ থকেে ১৯৭৯ সাল র্পযন্ত ব্যাপক গণহত্যা চালায়। গণহত্যার সঙ্গঁে জড়তি ব্যক্তদিরে শাস্তি দয়োর জন্য কম্ভোডয়িা সরকার জাতসিংঘরে পরার্মশ ও সহযোগতিায় একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে।ে ২০০৭ সালরে ২০ নবম্বের ট্রাইব্যুনাল সাবকে খমোরুরজ প্রসেডিন্টে খউি সাম্পানকে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধরে দায়ে অভযিুক্ত কর।ে এছাড়া, স্পনেরে অনুরোধে চলিরি সাবকে প্রসেডিন্টে অগাস্টো পনিোচটেকে লন্ডনে মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ করার দায়ে গ্রপ্তোর করা হয়ছেলি। কন্তিু পরে তাকে স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি দয়ো হয়।

প্রশ্ন-৪ বাংলাদেশের যুদ্দঅপরাধের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক পটভূমি আলোচনা কর।
ভূমকিা
একাত্তর সালে পাকস্তিান রাষ্ট্ররে শাসকরো একটি অন্যায় যুদ্ধ এ ভূখন্ডরে বাঙ্গালীদরে ওপর চাপয়িে দনে। অপারশেন র্সাচ লাইটরে নামে ১৯৭১ সালরে ২৫ র্মাচ রাতে পাকস্তিান সনোবাহনিী যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ আরম্ভ করে তা ক্রমশ বস্তিৃত হয়ে সমগ্র ভূখন্ডে ছড়য়িে পড়।ে সুনর্দিষ্টি পরকিল্পনা অনুযায়ী বাঙ্গাঁলী জনগোষ্ঠীকে নর্মিূল করার জন্য হানাদার বাহনিী হত্যা, র্ধষণ, লুটতরাজ, অগ্নসিংযোগসহ সমগ্র বাংলাদশেে এক অরাজক পরস্থিতিি তরৈি কর।ে সনোবাহনিীর সকল র্কমকান্ড,ে যা কনিা ছলি মানবতা ও শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ, জামাতে ইসলামীর নতোর্কমীরা র্পূণ সর্মথন প্রদান করনে। হত্যা, র্ধষণ ও লুটতরাজরে মত র্কমকান্ডে সর্মথন দয়িইে তারা বসে থাকনে,ি মুক্তযিুদ্ধরে এক র্পযায়ে জামাতে ইসলামীর নতোর্কমীরা শান্তি কমটি,ি রাজাকার, আল বদর, আলশামস ইত্যাদি বাহনিী গঠন করে মুক্তযিোদ্ধাদরে বরিুদ্ধে অস্ত্রধারণ কর।ে এসব সহযোগী বাহনিীর সদস্যরা হত্যা, র্ধষণ, লুটতরাজ, অগ্নসিংযোগসহ কোন অপরাধমূলক র্কমকান্ডে পাকস্তিানরে সনো সদস্যদরে চয়েে পছিয়িে ছলি না।
পাকস্তিান সনোবাহনিীর সদস্যরা বাঙ্গাঁলী জনগোষ্ঠীর ওপর যে হংিস্রতা ও র্ববরতা করছেে সটেি ছলি জাতীয় ও আর্ন্তজাতকি আইনরে সুস্পষ্ট লংঘন। যুদ্ধাপরাধ, মানবতা ও শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ করার দায়ে পাক সনোদরে বচিার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দয়ো উচতি ছলি। মুক্তযিুদ্ধ পরর্বতী বঙ্গঁবন্ধু সরকার এব্যাপারে নানা উদ্যোগ নলিওে আর্ন্তজাতকি বাস্তবতা, কুটনতৈকি চাপ ও র্সবােপরি পাকস্তিানে আটকে পড়া বাঙ্গাঁলীদরে কথা চন্তিা করে পাকস্তিানি সনো সদস্যদরে বচিার সম্ভব হয়ন।ি তবুও যে ১৯৫ জন সনো সদস্যকে শষে র্পযন্ত যুদ্ধাপরাধরে দায়ে অভযিুক্ত করা হয়ছেলি, তাদরে বচিার করে শাস্তি দয়ো গলেে সটেি বাংলাদশেরে মুক্তযিুদ্ধরে জন্য একটি প্রতীকী আবদেন তরৈি করত এবং আর্ন্তজাতকি অঙ্গঁনে যুদ্ধাপরাধীদরে শাস্তরি ব্যাপারে আরও একটি উত্তম দৃষ্টান্ত হত।
মুক্তযিুদ্ধ পরর্বতী সরকার পাকস্তিান সনোবাহনিীর এদশেীয় সহযোগীদরে বচিাররে জন্য ১৯৭২ সালরে ২৪ জানুয়ারি বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে, ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালরে ২০ জুলাই আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ জারি কর।ে ১৯৭২ সালরে ২৯ আগষ্ট র্পযন্ত বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে-এ তনিটি সংশোধনী আনা হয়। ১৯৭৩ সালরে ৩০ নবম্বের র্পযন্ত সারা বাংলাদশে থকেে এ আদশেরে অধীনে ৩৭ হাজার ৪ শ ৯১ জন ব্যক্তকিে গ্রফেতার করা হয় যাদরে বরিুদ্ধে সুনর্দিষ্টি অভযিোগ ছলি। গ্রফেতারকৃত ব্যক্তদিরে দ্রুত বচিাররে লক্ষ্যে বঙ্গঁবন্ধু সরকার ৭৩টি বশিষে ট্রাইব্যুনাল গঠন কর।ে যসেকল মামলা দায়রে করা হয়ছেলি তার মধ্যে ১৯৭৩ সালরে অক্টোবর র্পযন্ত ২ হাজার ৮শ ৪৮ টি মামলা নষ্পিত্তি হয়ছেলি। অভযিুক্তদরে মধ্যে ৭৫২ জন দোষী প্রমাণতি হয়ছেলিনে, ২০৯৬ জন ছাড়া পয়েছেলিনে।
১৯৭৩ সালরে ৩০ নবম্বের দালাল আইনে আটক যে সকল ব্যক্তরি বরিুদ্ধে যুদ্ধাপরাধরে সুনর্দিষ্টি অভযিোগ নইে তাদরে জন্য সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা কর।ে তবে সাধারণ ক্ষমার প্রসেনোটে স্পষ্টভাবে বলা হয়ছেে – ‘র্ধষণ, খুন, খুনরে চষ্টো, ঘরবাড়ি অথবা জাহাজ-অগ্নসিংযোগরে দায়ে দন্ডতি ও অভযিুক্তদরে ক্ষত্রেে ক্ষমাপ্রর্দশন প্রযোজ্য হইবে না।’ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক ১১ হাজাররেও বশেি ব্যক্তি এসকল অপরাধরে দায়ে কারাগারে আটক ছলি এবং তাদরে বচিার র্কাযক্রম অব্যাহত ছলি। সপরবিারে বঙ্গঁবন্ধু হত্যাকান্ডরে পর জনোরলে জয়িাউর রহমান ক্ষমতায় এসে ১৯৭৫ সালরে ৩১ ডসিম্বের দালাল আইন বাতলি করে য্দ্ধুাপরাধীদরে বচিার র্কাযক্রম বন্ধ করে দনে। দালাল আইন বাতলি হলওে আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী গণহত্যার সাথে জড়তি পাকস্তিানদিরে সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আলশামস-এর সদস্যদরে বচিার এখনও করা সম্ভব।
এ প্রবন্ধে আমি গণহত্যা, মানবতা ও শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ ক,ি কোন্ কোন্ আর্ন্তজাতকি আইনে এ বষিয়ে বলা হয়ছেে তা আলোচনা করছে।ি এরপর আমি নুরমের্বাগ ট্রায়াল, টোকওি ট্রায়াল, আইকম্যান কইেস, কম্বোডয়িা, সাবকে যুগোশ্লাভয়িা এবং রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার এবং মলিোসভেচি-ট্রায়াল বষিয়ে সংক্ষপ্তি ধারণা দয়োর চষ্টো করছে।ি সবশষেে আমি বলতে চয়েছেি য,ে পাকস্তিান সনোবাহনিীর যসেকল সহযোগী এখনও বচেে আছে যারা ৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা ও শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ করছেলি এখনও আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ এর অধীনে অথবা আর্ন্তজাতকি আইনরে অধীনে তাদরে বচিার সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সরকারি র্কাযকর উদ্যোগ।
আর্ন্তজাতকি আইন ও বাংলাদশেরে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার
বাংলাদশেরে মুক্তযিোদ্ধারা মরণপণ লড়াই করে পাকস্তিানী হানাদার বাহনিী ও তাদরে এদশেরে সহযোগীদরে পরাজতি কর।ে র্পযুদস্ত ও বধ্বিস্ত পাকস্তিানী বাহনিী ১৯৭১ সালরে ১৬ ডসিম্বের সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে বাংলাদশে ও ভারতরে যৌথ বাহনিীর কাছে আত্মসর্মপণ কর।ে কন্তিু ৯০ হাজাররে অধকি পাকস্তিান সনোবাাহনীর র্কমর্কতা ও সপোইদরে তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা যুদ্ধবধিস্ত বাংলাদশে র্কতৃপক্ষরে না থাকায়, তাদরেকে ভারতীয় সনোবাহনিীর হাতে তুলে দয়ো হয়। ১৯৭২ সালরে ১০ জানুয়ারি বাংলাদশেে ফরিে আসার পর থকেইে বঙ্গঁবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান পাকস্তিান হানাদার বাহনিী ও তাদরে এদশেীয় দোসরদরে যারা যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, শান্তি ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধরে সঙ্গঁে জড়তি ছলি তাদরে বচিাররে ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করনে। সময়ে সময়ে যে তালকিা করা হয়ছেলি তাকে কাটছাট করে চূড়ান্তভাবে পাকস্তিান সনোবাহনিীর ১৯৫ জনরে একটি তালকিা করা হয় যাদরে যুদ্ধাপরাধরে দায়ে বচিাররে সদ্ধিান্ত নয়ো হয়ছেলি। পাকস্তিান ইন্টারন্যাশনাল র্কোট অব জাস্টসি-এর (ওঈঔ) কাছে এব্যাপারে অভযিোগ দায়রে কর।ে পরর্বতীতে ১৯৭৪ সালরে ফব্রে“য়ারি মাসে পাকস্তিান বাংলাদশেকে স্বীকৃতি প্রদান কর।ে ১৯৭৪ সালরে ৯ এপ্রলি বাংলাদশে, পাকস্তিান ও ভারতরে প্রতনিধিদিরে মধ্যে একটি সভা হয় যখোনে সদ্ধিান্ত হয় বাংলাদশে উল্লখেতি ১৯৫ জন পাকস্তিানি যুদ্ধাপরাধীর বচিার করবে না যাদরেকে পরে পাকস্তিানে পাঠয়িে দয়ো হয়। বাংরাদশেরে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রি ও বশিষ্টি আইনজ্ঞ ডঃ কামাল হোসনে সম্প্রতি এব্যাপারে বলছেনে, ঐ ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে ব্যাপারে পাকস্তিান উদ্যোগ নবেে এ প্রতশ্রি“তরি প্রক্ষেতিে তাদরেকে তখন পাকস্তিানে যতেে দয়ো হয়ছেলি। কন্তিু পরে পাকস্তিান তাদরে বচিার করনে।ি
পাকস্তিান সনোবাহনিীর যসেকল সদস্য ১৯৭১ সালে গণহত্যা, র্ধষণ, অগ্নসিংযোগ ও লুটতরাজরে সঙ্গঁে জড়তি ছলি, তাদরে বচিাররে ব্যাপারে বার বার দৃঢ় প্রতশ্রি“তি ব্যক্ত করার পরও বঙ্গঁবন্ধু সরকার নানারকম জাতীয় ও আর্ন্তজাতকি চাপ ও বাস্তবতার কারণে তাদরে বচিার করতে পারনে।ি তবে বঙ্গঁবন্ধু সরকার পাকস্তিানী বাহনিীর এদশেীয় দোসরদরে বচিাররে ব্যাপারে র্কাযকর উদ্যোগ নয়িছেলিনে। ১৯৭১ সালে মুক্তযিুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার, আল বদর, ও আল শামস বাহনিীর যসেকল সদস্য পাকস্তিানী সনোবাহনিীর সহযোগী হসিবেে হত্যা, র্ধষণ, লুটতরাজ ও বভিন্নি ধরণরে অপরাধরে সঙ্গঁে জড়তি ছলি, তাদরে বচিার করার জন্য ১৯৭২ সালরে ২৪ জানুয়ারি বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে, ১৯৭২ জারি করা হয়। ১৯৭৩ সালরে ৩০ নবম্বের র্পযন্ত সুনর্দিষ্টি অভযিোগে ৩৭ হাজার ৪শ’৭১ জন ব্যক্তকিে গ্রফেতার করা হয়। বশিষে ট্রাইব্যুনালে বচিাররে পর ৭৫২ জন দালালকে শাস্তি দয়ো হয়ছেলি। ১৯৭৫ সালরে ৩১ ডসিম্বের বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে, ১৯৭২ বাতলি করে দয়ো হয়।
স্বাধীন বাংলাদশে রাষ্ট্র প্রতষ্ঠিতি হওয়ার পর শান্তি কমটি,ি রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহনিীর নতেৃত্বদানকারী গোলাম আযম, মতউির রহমান নজিামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহদিরে মত যুদ্ধাপরাধীরা পলাতক থাকায় মুক্তযিুদ্ধ পরর্বতী সরকার তাদরে বচিার করতে পারনে।ি ১৯৭৫ সালরে পট পরর্বিতনরে পর র্ধমভত্তিকি রাজনতৈকি দলগুলো রাজনীতি করার অধকিার ফরিে পাওয়ার সাথে সাথে এসকল যুদ্ধাপরাধীরা আবার রাজনীতরি মাঠে ফরিে আস।ে বশিষে করে জামাতে ইসলামী ও এর অঙ্গঁ সংগঠনরে নতেৃবৃন্দ মুক্তযিুদ্ধ ও বাংলাদশে বরিোধী বক্তব্য দতিে থাক।ে ক্রমাগত এদরে বাংলাদশে বরিোধী বক্তব্য, হংিস্র ও র্ববর র্কমকান্ড সাধারণ মানুষকে এদরে বরিুদ্ধে সোচ্চার করে তোল।ে ১৯৯১ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামরে নতেৃত্বে সারাদশেরে মানুষ যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার এবং র্ধমভত্তিকি সকল রাজনতৈকি দল নষিদ্ধি করার দাবি জানায়। শহীদ জননীর নতেৃত্বে জনতার আদালতে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার হয়। কন্তিু র্দুভাগ্যজনক হলওে সত্য য,ে কোন সরকারই গণ আদালতরে রায় র্কাযকর করনে।ি সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধীদরে নর্বিাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে প্রধান উপদষ্টো ডঃ ফখরুদ্দনি আহমদ ও প্রধান নর্বিাচন কমশিনার ডঃ এটি এম শামসুল হকরে ইতবিাচক মন্তব্য এবং সক্টেরস কমান্ডারদরে সম্মলিতি উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে ব্যাপারে ব্যাপক জনমত গঠতি হয়ছে।ে
একাত্তররে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে দাবি উত্থাপতি হওয়ায় জামাতে ইসলামী ও তাদরে প্রতি যাদরে সহানুভূতি রয়ছেে তাদরে পক্ষ থকেে কয়কেটি প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়ছে।ে এছাড়া সুশীল সমাজরে মধ্যে অবস্থান নয়িে একশ্রণেীর র্বণচোরা বুদ্ধজিীবী জনগণকে বভ্রিান্ত করছনে। তারা বলছনে; ১। বাংলাদশেে কোন যুদ্ধাপরাধী নইে; ২। বঙ্গঁবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না; ৩। মুক্তযিুদ্ধরে ৩৬ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে কথা বলে জাতকিে বভিক্ত করার চষ্টো করা হচ্ছ।ে শুধুমাত্র পাকস্তিানী সনোবাহনিীর যসেকল সদস্য গণহত্যা, র্ধষণ ও লুটতরাজরে সঙ্গঁে জড়তি ছলি তারাই শুধু যুদ্ধাপরাধী বষিয়টি কন্তিু এমন নয়। বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে, ১৯৭২ এর ২ নম্বর ধারায় পাকস্তিানী সনোবাহনিীর সহযোগী কারা তা সংজ্ঞায়তি করা হয়ছে।ে আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, শান্তি ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধকে সংজ্ঞায়তি করা হয়ছে।ে এ দুটো আইনকে এক সঙ্গঁে পড়লে এবং শান্তি কমটি,ি রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহনিীর সদস্য কারা ছলিনে তার সরকারি নথি দখেলইে এটা পরস্কিার হয়ে যায় য,ে জামাতে ইসলামীর এখনকার নতেৃত্বরে অনকেইে যুদ্ধাপরাধরে সঙ্গঁে জড়তি ছলিনে।
দ্বতিীয় যে কথাটি জামাতী নতেৃবৃন্দ ও বুদ্ধজীবীরা বঙ্গঁবন্ধুর উদ্বৃতি দয়িে বলতে চান সটেি হচ্ছ,ে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদরে ক্ষমা করে দয়িছেনে। আগইে উল্লখে করা হয়ছেে বঙ্গঁবন্ধুর সরকার পাকস্তিানী বাহনিীর এদশেীয় দোসরদরে বচিাররে জন্য বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে, ১৯৭২ জারি করছেলিনে। এব্যাপারে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলওে, যাদরে বরিুদ্ধে সুনর্দিষ্টি অভযিোগ ছলি তাদরে ক্ষমা করা হয়ন।ি র্দুভাগ্যজনক হলওে সত্য সাবকে সনোশাসক জয়িাউর রহমান ক্ষমতায় এসে ১৯৭৫ সালরে ৩১ ডসিম্বের বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে, ১৯৭২ বাতলি করে দনে।
তৃতীয় যে কথাটি জামাতীরা বলতে চান সটেি হচ্ছ,ে আর্দশকিভাবে মুক্তযিুদ্ধরে বরিুদ্ধে অবস্থান নয়িে তারা কোন ভুল করনেন।ি মুক্তযিুদ্ধরে ৩৬ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদরে বরিুদ্ধে বচিাররে কথা বলে জাতকিে বভিক্ত করার চষ্টো হচ্ছ।ে আমরা এমন এক র্দুভাগা জাতি য,ে যে মুক্তযিুদ্ধ ও বাংলাদশে রাষ্ট্র প্রতষ্ঠিার বরিোধতিা জামাতে ইসলামী নতেৃবৃন্দ করছেলিনে, সইে বাংলাদশে রাষ্ট্রে বসইে তারা মুক্তযিুদ্ধ, মুক্তযিোদ্ধা ও বাংলাদশে রাষ্ট্ররে বরিুদ্ধে বক্তব্য দচ্ছিনে। তবে মূল বষিয় হচ্ছে ৩৬ বছররে দোহাই দয়িে তারা বচিাররে দায় এড়াতে চান, যদওি এ বষিয়ে আইন তাদরে সহযোগতিা করবে না। কনেনা দণ্ড আইনরে সাধারণ নীতি হচ্ছে কোন ব্যক্তি অপরাধ করলে তার বচিার সময় দ্বারা তামাদি হয়ে যায় না। উপরন্তু যুদ্ধাপরাধরে বচিার ও শাস্তরি ব্যাপারে জাতীয় ও আর্ন্তজাতকি আইন আরও কঠোর। ৩৬ বছর কনে, ১০০ বছর পরওে বাংলাদশে বা বশ্বিরে যে কোন দশেরে আদালত অথবা ইন্টারন্যাশনাল ক্রমিনিাল র্কোট একাত্তররে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার করতে পারব।ে
বাংলাদশে দালাল (বশিষে ট্রাইব্যুনালস) আদশে, ১৯৭২ বাতলি হয়ে গলেওে, আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ এখনও বলবৎ রয়ছে।ে এ আইনরে অধীনে র্বতমান সরকার অফসিয়িাল গজেটেে বজ্ঞিপ্তি দয়িে একাধকি বশিষে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অনতবিলিম্বে একাত্তররে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিারকাজ আরম্ভ করতে পারনে।
আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ১৯৭৩ ( বাংলাদেশ)
২০ জুলাই বাংলাদেশ সরকার এই আইন জারি করে।
এই আইনের উদ্দেশ্য:
১) গন হত্যা
২) মানবতাবিরোধী অপরাধ
৩) যুদ্ধাপরাধ
৪) আন্তজার্তিক আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য
ক) অভিযুক্তদের অভ্যান্তরীন রাখা
খ) মামলা রুজু করা
গ) শাস্তি প্রদান
বিচার পদ্ধতি:
অপরাধের তদন্ত করার জন্য একটি এজেন্সি নিয়োগ করা হবে। ২৫ মার্চ ২০১০ থেকে কার্যকর করা হয়। ট্রাইব্যুনাল ২ টি গঠন করা হয়। ট্র্যইব্যুনালের অন্তভূক্ত সকল অপরাধ জামিন অযোগ্য। তদন্ত করার জন্য একটি এজেন্সি নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারীদল প্রধান প্রসিকিউটর এর নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রধান প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালের চার্জশীট দাখিল করবেন। চার্জশীট গঠনের পূর্বেই আসামীকে আটক করা যাবে। আসামীকে পাওয়া না গেলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার করা যাবে।
ট্রাইব্যুনালের বিচারপতির যোগ্যতা:বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে ১০ বছরের আইন পেশায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ বিচার বিভাগের কাজে নিয়োজিতএরুপ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি।
ট্রাইব্যুনালের তাৎপর্যপূর্ণ:
আন্তজার্তিক ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের যে বিচারক নিয়োগ দেযা এবং যে আইনে বিচার করা হচ্ছে তা সবই বাংলাদেশের। নূরেমবার্গ ট্রায়াল,টোকিও ট্রায়াল, যেগোশ্লাভ ট্রায়াল,রুয়ান্ড ট্রায়াল,সিয়েরা লিয়েন ট্রায়াল ও কম্বোডিয়া ট্রায়ালে বিচারক ছিলেন বিভিন্ন দেশের এবং আন্তজাতিৃক অপরাধ আদালতের জন্য সঙশ্রিষ্ট রোম সংবিদি অনুযায়ী বিচারকার্য হয়েছে। কিন্ত এ ক্ষেত্রে বিচারক ও আইনজীবী বিদেশ থেকে নেয়া হযনি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে বার কাউন্সিল আইন তা সমথৃন কওে না। এছাড়া সাক্ষ্য আইনের নীতিগুলোও প্রয়োগ করা হয়নি। এছাড়া ভারত সহ আন্তজার্তিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে উৎসাহজনক সাড়া প্রদাস থেকে বিরত থেকে ছে।
উপসংহার
আর্ন্তজাতকি আইনে এবং সকল সভ্য গণতান্ত্রকি দশেরে জাতীয় আইনে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, শান্তি ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধকে র্ববরতম অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। দ্বতিীয় বশ্বিযুদ্ধরে পরে জাতসিংঘ প্রতষ্ঠিতি হওয়ার সময় থকেে এ র্পযন্ত গণহত্যা, র্ধষণ, লুটতরাজ ও যুদ্ধাপরাধরে সঙ্গঁে জড়তি ব্যক্তদিরে বচিাররে জন্য জাতীয় ও আর্ন্তজাতকি অনকে ট্রাইব্যুনাল গঠতি হয়ছে।ে অনকে দশেরে আদালত জাতীয় বা আর্ন্তজাতকি অথবা উভয় আইন প্রয়োগ করে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার করে শাস্তি দয়িছে।ে
গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, শান্তি ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধকে আর্ন্তজাতকি ও জাতীয় বভিন্নি আইন, চুক্তি ও সংবধিতিে সংজ্ঞায়তি করা হয়ছে।ে এদরে মধ্যে উল্লখেযোগ্য হচ্ছঃে গণহত্যা প্রতরিোধ ও শাস্তরি জন্য ১৯৪৮ সালরে কনভনেশন, ১৯৪৬ সালরে নুরমের্বাগও টোকওি ট্রাইব্যুনালরে সংবধি,ি যুদ্ধরে আইন ও প্রথা বষিয়ক ১৯৪৯ সনরে জনেভো কনভনেশন, বৃটনে র্কতৃক গৃহীত জনেভো কনভনেশন এ্যাক্ট, ১৯৫৭, সাবকে যুগোশ্লাভয়িা ও রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে জন্য গঠতি আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনালরে সংবধি,ি আর্ন্তজাতকি অপরাধ আদালতরে (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈৎরসরহধষ ঈড়ঁৎঃ) সংবধিি ও বাংলাদশেরে আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩।
উপররে আইনগুলোতে সুস্পষ্টভাবে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, শান্তি ও মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ বলতে কি বোঝায় তা বলা হয়ছে।ে এসকল অপরাধরে সঙ্গে জড়তি ব্যক্তদিরে বচিাররে ব্যাপারে স্থান ও কালরে কোন প্রতবিন্ধকতা নইে। এবষিয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্ন্তজাতকি বা জাতীয় যে কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল যে কোন সময়ে ঐসকল ব্যক্তরি বচিার করতে পার।ে রক্তক্ষয়ী একটি যুদ্ধরে মাধ্যমে বাংলাদশে রাষ্ট্র প্রতষ্ঠিতি হয়ছে,ে যে যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ প্রাণ দয়িছেনে, ২ লক্ষ বাঙ্গালী নারী তাদরে সম্ভ্রম হারয়িছেনে। মুক্তযিুদ্ধরে বরিোধতিা করইে জামাতে ইসলামীর তৎকালীন নতোরা বসে ছলিনে না, শান্তি কমটি,ি রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহনিী গঠন করে তারা গণহত্যা, র্ধষণ ও লুটতরাজে অংশ নয়িছেলিনে। এখনও তারা বাংলাদশেরে মাটতিে বসে সদম্ভে বাংলাদশে বরিোধী কথার্বাতা বলে যাচ্ছনে।
এ যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দয়োর লক্ষ্যে কয়কেটি প্রস্তাব আমি উত্থাপন করছি :
১। কম্বোডয়িা সরকার যভোবে গণহত্যার সঙ্গঁে জড়তি খমোররুজ নতোদরে বচিাররে জন্য জাতসিংঘরে পরার্মশ ও সহযোগতিায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে,ে বাংলাদশে সরকারও তমেনি করে জাতসিংঘের পরার্মশ ও সহযোগতিা নয়িে একাত্তররে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারনে। অথবা;
২। নুরমের্বাগ বা টোকওি ট্রাইব্যুনাল অথবা অন্য কোন আর্ন্তজাতকি ট্রাইব্যুনালরে মত কোন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে পাকস্তিান ও বাংলাদশে উভয় দশেরে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে ব্যাপারে র্বতমান সরকার উদ্যোগ নতিে পারনে। এব্যাপারে জাতসিংঘরে সহযোগতিায় প্রাথমকিভাবে একটি বশিষেজ্ঞ কমশিন গঠন করা যতেে পারে যারা পুরো বষিয়টি তত্ত্বাবধান করবনে। অথবা;
৩। সরকার জাতসিংঘরে পরার্মশ ও সহযোগতিায় আর্ন্তজাতকি আইন বশিষেজ্ঞ, ইন্টারপোল ও সাংবাদকিদরে সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমশিন গঠন করবনে। এরপর আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে উদ্যোগ নবেনে।

প্রশ্ন-৫ কোন কোন কার্যগুলি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ? মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কোন রাষ্ট্র প্রধান কি অন্য রাষ্ট্রে দায়মুক্তি দাবী করতে পারে?
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ:
 অনুচ্ছেদ-৭:
সাধারণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ব্যাপক বা পরিকল্পনামাফিক আক্রমন করা; যার উদ্দেশ্য নি¤œরুপ-
ক) খুন করা;
খ) জাতিগত বা গোষ্ঠীগত নির্মূলকরণ;
গ) দাসত্বে পরিনত করা;
ঘ) নির্বাসিত করা বা বলপূর্বক জনগোষ্ঠীর স্থানান্তর করা;
ঙ) কারাবন্ধী করা বা আন্তজার্তিক আইনের মৌলিক বিধি লংঘন করে চলাফেরার স্বাধীনতা চরমভাবে লংঘন করা;
চ) নির্যাতন করা;
ছ) ধর্ষন, যৌন দাসত্ববেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্যকরণ,গর্ভধারণে বাধ্য করা,বন্ধ্যাত্ব্যকরণে বাধ্য করা বা তুলনামূলক যৌন নির্যাতন করা;
জ) কোন চিহ্নিতগোষ্ঠিকে নির্যাতন করা অথবা রাজনৈতিক,জাতিগত,গোত্রীয়,সাস্কুতিক,ধর্মীয় লিঙ্গগত পার্থক্য বা অন্য কোন কারণে অর্থ আদায় করা, অথবা আদালতের এখতিয়ারভুক্ত কোন অপরাধ করা;
ঝ) গুম করা;
ঞ) বর্ণ বৈষম্যমূলক অপরাধ করা;
ট) অনুরুপ প্রকৃতির অন্য কোন অমানবিক কর্ম করা এই অভিপ্রায়ে যে, এতে দু;খ-কষ্ট হবে কিংবা শরীরে বা মনে গুরুতর ক্ষতি হবে।
উপওে বর্ণিত অপরাধগুলিকে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ হিসেবে গন্য করা হয়।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে  অভিযুক্ত কোন রাষ্ট্র প্রধান কী অন্য রাষ্ট্রে দায়মুক্ত করতে পারে কী না:
সাধারণ অপরাধের দায়ে কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্য দেশে আশ্রয় নিলে আশ্রয় দাতা তাকে তার নিজ দেশে বহি:সমর্পণ করতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক অপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এর আওতাবূক্ত নয়। প্রকৃতপক্ষে অপরাধের সংজ্ঞা এবং এর মানদন্ড সকল দেশে এক নয় যেহেতু সামাজিক মূল্যবোধ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন। তাই রাজনৈতিক এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নির্ণয় করা সহজসাধ্য নয়। কোন রাষ্ট্র প্রধান অন্য রাষ্ট্রে দায় মুক্তি পাবে কি পাবে না সে সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট আইন গড়ে ওঠেনি। তবে আন্তজার্তিক শান্তি ও সৌজন্যের খাতিরে অন্য দেশের রাষ্ট্র প্রধানকে আশ্রয় প্রদান ও দায়মুক্তি করে থাকে। এটা সম্পূর্ণ সে দেশের নিজস্ব এখতিয়ার এবং আশ্রয়প্রার্থী এটা অধিকার হিসেবে দাবীকরতে পারে না। তবে আশ্রয়দাতা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এটা নিয়ে কোন সমস্যা দেখা দেওয়ার আশংকা থাকলে সাধারণত:আশ্রয় ও দায়মুক্তি অস্বীকার করা হয় যেমন- ইরানের বাদশাহ রেজাশাহ গাহনভীকে সিরিয়া আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে কিন্তু মিশর আশ্রয় দেয় এবং মানবতার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে দায়মুক্তি দেয়।






’খ’বিভাগ
প্রশ্ন-১ আন্তর্জাতিক নদী বলতে কি বুঝ? ইহার উৎসসমূহ ব্যাখ্যা কর। গঙ্গা কি একটি আন্তজার্তিক নদী? ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গঙ্গা চুক্তি ব্যাখ্যা কর। আন্তজার্তিক আইনে নদী চুক্তি কার্যকর করার প্রধান বাধা কি?
আন্তজাতিক নদীর সংজ্ঞা:
দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে প্রভাহিত সকল নদনদীকেই আন্তজার্তিক নদী বলে।
যে সকল নদনদী জলরাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রকে পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন করে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ এসকল নদী সমূহ অনেকগুলো দেশের উপর দিযে প্রবাহিত হয়ে সরাসরি সমূদ্রে পতিত হয়। যেমন গঙ্গানদী, দানিযুব নদী(ইউরোপ),দক্ষিন আমেরিকার আমাজান নদী,রাইন ,শেল্ট ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, ঐ সকল নদীসমূহ কোন রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সমূদ্র কিংবা আভ্যন্তরীণ জলরাশির অন্তভূক্ত নয়। আন্তজার্তিক নদী সকল রাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত। তাই কোন রাষ্ট্র এ নদীর কোন অংশ কে আইনত, নিজ সার্বভৌত্বের অধীনে নিতে পারে না।
আন্তজার্তিক নদীতে উপকূলীয় এবং অনউপকূলীয় সকল রাষ্ট্রেরই নি¤œলিখিত স্বাধীনতাগুলো ভোগ করার অধিকার রয়েছে-
১) নৌ চলাচলের স্বাধীনতা
২) মংস্য শিকারের স্বাধীনতা
৩)আন্তজার্তিক নদীর উপর দিয়ে বিমান চলাচলের স্বাধীনতা
গঙ্গা কি একটি আন্তজার্তিক নদী:
গঙ্গা হল একটি আন্তজার্তিক নদী। এ নদীটি ভারত ও বাংলাদেশের ভূ-খন্ড অতিবাহিত করে প্রবাহিত হয়েছে। তাই,ইহা আন্তজার্তিক নদীর অন্তভূক্ত। সুতরাং, গঙ্গার ক্ষেত্রে জাতীয় নদী সংক্রান্ত বিধান প্রযোজ্য হবে না।

প্রশ্ন-২ রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের সংজ্ঞা দাও?” দক্ষিণ তালপট্টি রাষ্ট্রীয় সমূদ্র সীমায় অবস্থিত। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমূদ্র বিজয়/ বাংলাদেশ ও মায়ানমার এর সমূদ্রসীমা বিজয় তুমি কিভাবে মূল্যাযন করবে বা রচনামূলক আলোচনা কর।
রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের সংজ্ঞা:
রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ড হল রাষ্ট্র গঠনের একটি প্রধান উপাদান। ভূ-খন্ড ব্যতীত রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।আন্তজার্তিক আইনে রাষ্ট্রীয়  ভূ-খন্ড বলতে ভূ-সীমানায় সে অংশকে বুঝায়, যার উপর ঐ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বজায রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের জনসমষ্টি ও সম্পত্তির উপর রাষ্ট্রের প্রাধান্য রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ডের একটি যথাযথ সংজ্ঞা প্রদান করেন অধ্যাপক কেলসেন ( চৎড়ভ.কবষংড়হ) তার মতে,চ্ঞযব ঃবৎৎরঃড়ৎু ড়ভ ঃযব ংঃধঃব রং ধ ংঢ়ধপব রিঃয রহ যিরপয ধপঃং ড়ভ ঃযব ংঃধঃব ধহফ ংঢ়বপরধষষু রঃং পড়ড়ৎরাপব ধপঃং ,ধৎব ধষষড়বিফ নু এবহবৎধষ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ খধ.ি”
রাাষ্ট্রীয় ভূ-খন্ড দুই প্রকার হতে পারে। যথা-
১) একটি মাত্র ভূ-খন্ড  অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোন রাষ্ট্র একটি অবিচ্ছেদ্য ভূ-খন্ড নিয়ে গঠিত।
২) বিভাজিত ভূ-খন্ড অর্থাৎ যে রাষ্ট্র পৃথক পৃথক ভূ-খন্ড নিয়ে গঠিত।

গ- বভিাগ
প্রশ্ন-১ মানবাধকিার বলতে কি বুঝ? মানবাধকিার আইনরে বকিাশ মূল্যায়ন কর।মানবাধকার সংরক্ষনে আন্তর্জাতকি ব্যবস্থার ববিরণ দাও।
মানবাধকিার :
মানবাধকিার প্রতটিি মানুষরে এক ধরনরে অধকিার যটো তার জন্মগত ও অবচ্ছিদ্যে। মানুষ এ অধকিার ভোগ করবে এবং র্চচা করব।ে তবে এ র্চচা অন্যরে ক্ষতসিাধন ও প্রশান্তি বনিষ্টরে কারণ হতে পারবে না। মানবাধকিার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এ অধকিার একই সাথে সহজাত ও আইনগত অধকিার। স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলকি ও আর্ন্তজাতকি আইনরে অন্যতম দায়ত্বি হল এসব অধকিার রক্ষণাবক্ষেণ করা।[১] যদওি অধকিার বলতে প্রকৃতপক্ষে কি বোঝানো হয় তা এখন র্পযন্ত একটি র্দশনগত বর্তিকরে বষিয়।[২]
মানবাধকিার ক?ি
সহজ ভাষায় মানবাধকিার হচ্ছে মানুষরে সহজাত অধকিার যা যে কোন মানব সন্তান জন্মলাভরে সাথে সাথে র্অজন কর।ে মূলত যে অধকিার মানুষরে জীবন ধারনরে জন্য,মানুষরে যাবতীয় বকিাশরে জন্য ও র্সবপরি মানুষরে অন্তরনহিতি প্রতভিা বকিাশরে জন্য আবশ্যক তাকে সাধারনভাবে মানবাধকিার বলা হয়। জীবনধারণ ও বঁেচে থাকার অধকিার এবং মতামত প্রকাশরে অধকিার,অন্ন বস্ত্র ও শক্ষিা গ্রহণরে অধকিার,র্ধমীয়-সাংস্কৃতকি র্কমকান্ডরে অংশগ্রহণরে অধকিার প্রভৃতি সামাজকি,সাংস্কৃতকি ও র্অথনতৈকি অধকিারকে মানবাধকিার বলতে পার।ি

'মানব' এবং 'অধকিার' শব্দ দ্বয়রে সমস্টি হল "মানবাধকিার" ।
'মানব' শব্দটা অবশ্যই সৃষ্টরি সরো জীব মানুষ কে বোঝায়।
'অধকিার' হল,কছিু র্স্বাথ কে যখন আইনগত বা নতৈকি নয়িম নীতি দ্বারা সংরক্ষতি করা হয়।
"মানবাধকিার" হল, বস্তুত মানব পরবিাররে সকল সদস্যদরে জন্য র্সাবজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য এবং অলংঘনীয় অধকিার হলো মানবাধকিার ।
অন্য ভাবে বলতে গলে,ে মানবাধকিার হল মানুষরে সইে সব অপরহর্িায চাহদিা, যগেুলো মানুষরে র্সাবকি উন্নয়ন তথা বুদ্ধি বৃত্তকিতা,সৃজনশীলতা,র্মযাদা ও ব্যক্তত্বিকে বকিশতি করে পরপর্িূণ মানুষ হসিবেে সমাজে বাসযোগ্য করে তোলে । এবং যগেুলো ছাড়া জীবন পরচিালনা প্রায় অসম্ভব ।
বাংলাদশেে র্দীঘ দনিরে বহু ত্যাগ আর শত সংগ্রামরে পটভূমরি মধ্যে দয়িে অবশষেে স্বশস্ত্র মুক্তযিুদ্ধে লাখ প্রাণরে বনিমিয়ে আজ থকেে প্রায় চার দশক আগে দশেটি স্বাধীন হয়ছেলি  ১৯৭১ সালরে ১৬ ডসিম্বের।
কন্তিু অতীব দু:খরে বষিয় তথা র্দূভাগ্য জনক হলওে সত্য স্বাধীনতার ততোল্লশি বছর পার হতে চলছ,ে এখনো এই দশেটতিে মানবাধকিার বাণী নরিবে নভিৃতে কাদঁছে । যে অধকিার আদায়রে জন্য মুক্তযিুদ্ব হয়ছেলি,সে অধকিাররে আজো দখো মলিনেি । বাংলাদশেরে মানুষকে মানবাধকিাররে জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে এখনো । প্রতি নয়িতই ঘটছে মানবাধকিাররে সুস্পষ্ট লংঘন । বাংলাদশেে আজ যনে  মানবাধকিার লংঘনরে চারনভূমতিে পরণিত হয়ছে।ে
যদওি সংবধিানরে ১১ অনুচ্ছদেে গণতন্ত্র ও মানবাধকিারকে রাষ্ট্র পরচিালনার অন্যতম মূলনীতি হসিবেে গ্রহণ করা হয়ছেে ।
সংবধিানরে তৃতীয় ভাগে অনুচ্ছদে ২৬ থকেে ৪৭(ক)  র্পযন্ত মৌলকি মৌলকি অধকিাররে কথা বলা হয়ছেে এবং অধকিাররে প্রকৃতি ও ভোগরে নশ্চিয়তা সর্ম্পকে র্বননা করা হয়ছেে । শুধু তাই নয়, অনুচ্ছদে ২৬ এ বলা হয়ছে,ে মৌলকি অধকিাররে সহতি অসামাঞ্জস্যর্পূণ সকল আইন বাতলি করতে ।
মৌলকি অধকিার গুলো দশেরে র্সবোচ্চ আইন । এছাড়াও জাতসিংঘ মানবাধকিার সনদ  থকেে শুরু করে বভিন্নি আর্ন্তজাতকি ও আঞ্চলকি কনভনেশন এবং প্রচলতি আইনে বভিন্নিভাবে  এই " মানবাধকিার " এর কথা বলা হলওে বাস্তবে তার  দখো মলিছে না ! এবং অদ্যাবধি সসেবরে কছিুই প্রকৃর্তাথে বাস্তবায়তি হয়ন।ি ঐ সমস্ত নীতগিুলোর বাস্তব প্রয়োগ কতটুকু দখো যাচ্ছে তা নম্নিরে ঘটনায় বোঝাই !
র্দুনীত,িহত্যা,গুপ্তহত্যা ,অপহরণ,গুম,খুন,সড়ক র্দুঘটনা, ছনিতাই,ডাকাত,িশ্যোন অ্যারস্টে,রমিান্ড,পুলশি ওর্ যবরে বন্দশিালায় পাশবকি নর্যিাতন ও নানাভাবে হয়রান,িক্রসফায়ার, বচিারবহর্ভিূত হত্যা,আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার পরচিয়ে অপহরণরে পর নখিােঁজ,গুলীবদ্ধি লাশ উদ্ধার, মামলা দয়িে হয়রান,িনারী নর্যিাতন, ইভটজিংি, সংখ্যালঘুদরে নর্যিাতন, সংবাদপত্র ও সাংবাদকিদরে দলন পীড়ন,হামলা – মামলা, রাজনতৈকি নতোদরে হয়রানি ,প্রতপিক্ষকে ঘায়লে,পাশাপাশি চলছে বছরজুড়ে ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। বচিারালয়ে পাচ্ছে না ন্যায় বচিার, পক্ষপাত দুস্ট রায়রে অভযিোগ,মামলার র্দীঘসূত্রতা ও জটলিতা। ককটলে – বোমার বস্ফিোরণ, আতংকতি জীবন যাপন,এক কথায়, সারাদশে যনে এক  মৃত্যুপুরী !
প্রভৃতি হাজারো "মানবাধকিার" লংঘন আমাদরে দশেে নত্যিনমৈত্তিকি ঘটনায় পরণিত হয়ছে।ে শুধু তাই নয় ,যাদরে হাতে মৌলকি মানবাধকিার রক্ষার দায়ত্বি,তাদরে হাতইে মানবাধকিার লঙ্ঘতি হচ্ছে র্বতমানে সবচয়েে বশেী । সব মলিয়িে বলতে গলে,ে  "মানবাধকিার" লংঘনরে এক চরম র্স্বগরাজ্যে পরণিত হয়ছেে বাংলাদশে।
মানবাধকিাররে গঠন,ক্ষমতা ও র্কাযাবলী আলোচনা কর।
জাতসিংঘরে মানবাধকিার কাউন্সলি ১৫ মাচ ২০০৬ জাতসিংঘরে সাধারণ পরষিদে নরিঙ্কশ সংখ্যাগরষ্ঠি ভোটে সন্ধিান্ত গৃহীত হয়।
গঠন: মানবাধকিার প্রসার কাযক্রম ও বাস্তবাযন বশ্বিব্যাপী পৌঁছে দওেয়াই এই পরষিদরে একমাত্র লক্ষ্য। এশয়িা থকেে ৩ টদিশে,আফ্রকিা থকে১ে৩ ট,ির্পূব ইউরোফ থকেে ৬ জন ,দক্ষনি ও উত্তর আমরেকিা থকেে ৮ জন পশ্চমি ইউরোপ ও অন্যান্য থকেে ৭ জন এই সবগুলো জাতসিংঘরে সদস্রভুক্ত দশে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে কোন জাতসিংঘরে সদস্য পদ বাতলি হব।ে
উদ্দশ্যে:১)সকল প্রকার মানবাধকিাররে বকিাশ ও সংরক্ষণ।
২)জাতসিংঘ ব্যবস্থার মাধ্যমে বভিন্নি রাষ্ট্ররে মধ্যে মানবাধকিার বষিয়ক সহযোগীতা বৃদ্ধকিরণ এবং এ লক্ষ্যে বভিন্নি কাযক্রমরে সমন্বয় সাধন।
৩)বশ্বি মানবাধকিার পরস্থিতিি মোকাবলো।
৪)বকিাশমান প্রয়োজন মোকাবলোয় জাতসিংঘ মানবাধকিার সংস্থা সমূহ যুগউপযোগী ও সুদৃঢ় করে তাদরে সক্ষমতা ও কাযক্ষমতা বৃদ্ধকিরণ।
৫) বশ্বিব্যাপী মানবাধকিার লংঘন মনটিন ও ক্ষতগ্রিস্থ ব্যক্তবিগ এবং তাদরে অধকিার ও পুনবাসন করার ক্ষত্রেে যে বভিন্নি কনভনেশনকে সমথন ও সহযোগীতা প্রদান।
৬)অনতৈকি ও সামাজকি পরষিদ জাতি সংঘরে সাধারণ পরষিদে পশে করব।ে
৪৭ টি দশে সাধারণত ৩ বছররে জন্য নর্বিাচতি হয় এবং বছরে কমপক্ষে ৩ টি নয়িমতি অধবিশেন বসবে আবার একতৃতীয়াংশ সদস্ররে অনুরোধে বশিষে অধবিশেনরে আহব্বান করা যাবে । মানবাধকিাররে প্রধান র্কাযালয় হলো জনেভো।
প্রশ্ন-২ আন্তর্জাতকি মানবাধকিার বলি আলোচনা কর। অথনতৈকি ,সামাজকি এবং সাংকৃতকি বষিয়ক আন্তর্জাতকি চুক্ততিে কি কি বষিয় লপিবিদ্ধ আছ,ে কমটিি করিুপে গঠতি হয় এবং ইহা করিুপে কাজ কর?ে
জাতসিংঘই হচ্ছে প্রথম আন্তর্জাতকি দললি যা মানবাদকিার সমূন্নত রাখার ব্যাপারে অঙ্গকিার বদ্ধ।
” আমরা জাতসিংঘরে জনগন মৌলকি মানবাধকিাররে আস্থাপুনস্থাপন করছেি যা নারী পুরুষ সকল মানুষ ছোট বড় সকল জাতি সমান অধকিার ভোগ করব”ে।
১২১৫ সালরে মঘেনা কাটা
১৬২৮ সালরে পটিশিন অব রাইটস
১৬৮৮ সালরে বলি লব রাইটস
১৭৭৬ সাররে আমরেকিার স্বাধীনতা ঘোষনা
১৭৯১ সালরে আমরেকিান বলি অব রাইটস
১৭৮৯ সালরে ফরাসি বপ্লিব
দ্বতিীয বশ্বিযুদ্ধরে পর থকেইে এইগুলইি আন্তর্জাতকি বলি হসিাবে রুপান্তরতি হয়ছে।ে
১০ টি অধকিাররে কথা বলা আছ-ে
১) আত্ন নয়িন্ত্রনরে অধকিার
২) র্কমরে অধকিার
৩) র্কমরে ন্যায় সংগত সুবধিাজনক র্শত উপভোগরে অধকিার।
৪) ট্রডেইউনয়িন ও ধমঘট করার অধকিার।
৫) বীমাসহ সামাজকি নরিাপত্তার অধকিার।
৬) মা ও শশিুর জন্য বশিষে সুবধিা সমূহ
৭) র্পযাপ্ত মৌলকি দাহদিা রাখার অধকিার।
৮) শারীরকি ও মানসকি স্বাস্থ্য রক্ষর মান বজায় রাখার অধকিার।
৯) ২ বছররে মধ্যে অবতৈনকি শক্ষিার অধকিার।
১০) সাংস্কৃতকি জীবনরে অংশগ্রহন এবং বজ্ঞৈানকি সুফল ভোগ করার অধকিার।
কমটি:ি১৫ সদস্য বশিষ্টি কমটিি হব।ে সদস্য ৪ বছররে জন্য নযিুক্ত হব।ে ২ বছর অন্তর অন্তর র্অধকে সদস্য পুনরায় নর্বিাচতি হব।েপুরাতন সদস্যরো পুনরায় নর্বিাচতি হতে পারবনে। র্অথনতৈকি ,সামাজকি ও সাংস্কৃতকি বষিয়ক র্বাষকি রপর্িোট প্রদান করবনে জাতসিংঘরে সাধারন পরষিদে এবং সাধারণ পরষিদ এটা মূল্যায়ন করবনে।

ঘ-বিভাগ
প্রশ্ন-১:তুমি কি মনে কর জাতিসংঘ এর উদ্দেশ্য অর্জন সফল হয়েছে? জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও সিন্ধান্ত সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করুন? ভেটো প্রদান কি?
জাতিসংঘের উদ্দেশ্য:
১) জাতি সংঘের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা
২) পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আতœ নিয়ন্ত্রনের অধিকার
৩) জাতিতে জাতিতে সৌহাদ্দপূর্ণ সম্পর্কের প্রসার
৪) অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার আন্তজার্তিক সহযোগীতা ও সমাধান
জাতিসংঘের ইতিহাসে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা বা পুন:স্থাপনের উদ্দেশ্যে বহুবার বিভিন্ন ঘটনা,পরিস্থিতি বা সমস্যার উপর নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হযেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হয়েছে তবে তার সফলতার তালিকা শূণ্য নয়। বিভিন্ন সংঘর্ষ ও সহিংসতায় নিরাপত্তা পরিষদের শান্তি ও যুদ্ধ সমূহের শান্তির অন্বেষার উদাহরণ কম নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ পরিষদ বিষ্ময়কর সাফাল্য পেয়েছে।
জাতি সংঘের অঙ্গ:
১) সাধারণ পরিষদ
২) নিরাপত্তা পরিষদ
৩) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
৪) ওছি পরিষদ
৫) আন্তজার্তিক আদালত
৬) সচিবালয়
সাধারণ পরিষদ: সাধারণ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন। বছরে একবার নিয়মিত অধিবেশন বসে। প্রতি অধিবেশনে একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্তে ২/৩ অংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। নিরাপত্তা পরিষদে ও সাথে যৌথভাবে মহাসচিব এবং বিচারক নিয়োগ করেন।এর অধীনে কিছু কমিশন আছে- আন্তজার্তিক মানবাধিকার কমিশন
আইন কমিশন
অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ কমিশন
নিরাপত্তাপরিষদ:
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ: ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কাউনসিল। বছরে ২ বার অধিবেশন হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠের ভোটে সিন্ধান্ত গৃহিত হয়।
ইউনিসেফ,ইউএনডিপি,
অছি পরিষদ: আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর রক্ষনাবেক্ষন ও শাসনভার পরিচালনা। বছওে ২ বার অধিবেশন বসে।
কমনওয়েলথ
ন্যাটো
সার্ক
জি ৮
জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও সিন্ধান্ত সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ:
জাতিসংঘের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল নিরাপত্তা পরিষদ। এটিকে জাতিসংঘের ¯œায়ুকেন্দ্র বলা হয। এটি জাতিসংঘের মুখ্য কর্ণধার। নিরাপত্ত পরিষদের প্রথম কাজ আন্তজার্তিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের মূল দাযিত্ব অর্পণ করা হয়েছে জাতিসংঘের অন্যতম প্রধান অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের উপর। একে কেন্দ্র করেই জাতিসংঘের উদ্রোগ,কর্মতৎপরতা,সাফল্য ও ব্যর্থতা প্রবর্তিত।
গঠন:
জাাতসংঘ সনদের ২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৫ জন সদস্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হবে। ৫ জন স্থাায়ী সদস্য ও  ১০ জন অস্থায়ী সদস্য নিয়ে এই পরিষদ গঠিত।
স্থায়ী সদস্যগুলি হল-যুক্তরাষ্ট্র,যক্তরাজ্য, ফ্রান্স,চীন ও রাশিয়া।
প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগন পালাক্রমে ১ মাসের জন্য সভাপতি নিযুক্ত হন। ভোটের মাধ্যমে সকল সিন্ধান্ত গ্রহীত হয়। পদ্ধতিগত প্রশ্নে ৯ জন সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়। সাধারণভাবে স্থায়ী ৫ জন সহ ৯ জন। আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ থেকে ৫ জন, লেটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল হতে ২ জন,পশ্চিম ইউরোপ এবং অন্যান্য রাষ্ট্র কানাডা অষ্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড থেকে ২ জন, পূর্ব ইউরোপ থেকে ১ জন। প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর সভা হবে।
ভেটো প্রদান কি:
জাতিসংঘ সনদের ২৭ ধারায় নিরাপত্তা পরিষদেও ভেটো দান পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।এ ধারাটি বিদেশও ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
সনদের ২৭(১) অনুসারে
নিরাপত্তা পরিষদের প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটি করে ভোট আছে। কিন্তু পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের গুরুত্ব অধিক, সনদে নিরাপত্তা পষিদের আলোচ্য বিষয়কে দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং দু’ধরনের বিষয়ের জন্য দু’রকম ভোট পদ্ধতির কথা বরা হয়েছে। যথা
১)পদ্ধতিগত বিষয
২) অপদ্ধতিগত বিষয়
সনদের ২৭(২) ধারা মতে,
পদ্দতিগত বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদে ৯ সদ¯্ররে ইতিবাচক ভোটে সিন্ধন্ত গৃহীত হবে।
পদ্ধতিগত বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদেও কোন স্থায়ী সদ¯্ররে নেতিবাচক ভোটকে প্রচলিত ভাষায় ভেটো বলে।
ভেটো ক্ষমতা ভেটো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের একটি বিশেষ ক্ষমতা, যা ঈস্খয়োগ কওে নিরাটত্তা পরিষদেও কোন প্রস্তাবকে নাকচ বা অকার্যকর কওে দেয়া হয়। ভেটো ক্ষমতার পক্ষে ও বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি প্রদর্শন করা হলেও এটা জাতি সংঘ পরিমন্ডলে একটা রুঢ়বাস্তবতা যা বিগত জাতিপুঞ্জের আমলে ছিল ছিল।
ভেটো হ”েছ একটা নাসূচকভোট। ভোটদান করা হতে বিরত থাকা কিংবা অনুপ¯ি’ত থাকাকে ভেটোপ্রয়োগ বলে না। ভেটো প্রয়োগের ই”ছা প্রকাশ কওে তা স্পষ্টভাবে প্রযোগ করতে হবে। অর্থাৎ নাসূচক মতামত ব্যক্ত করতে হবে।
এটি ল্যাটিন শব্দ।এর অর্থ → আমি মানি না।জাতিসংঘের নিরাপত্তাপরিষদের স্থায়ী সদস্যরা ভেটো প্রদান করতে পারেন। জাতিসংঘ গঠনের উদ্যোক্তা না হয়েও ভেটো প্রদানেরর ক্ষমতা রয়েছে ফ্রান্সের।সর্বোচ্চ ভেটো প্রদানকারী দেশ- রাশিয়া।বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভেটো প্রদানকারী দেশ- রাশিয়া।বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ভেটো প্রদানকারী দেশ- চীন ভেটো ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সম্প্রতি জাপান, জার্মানি, ভারত, ব্রাজিল দাবি জানিয়েছে।
অবশ্যম্ভাবী শব্দ হিসেবে ভেটো শব্দটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও এটি বৈশ্বিকভাবে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে।যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স - এই পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। তারা প্রত্যেকেই ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী। ভেটো ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে যে-কোন একটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যে-কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আইন প্রণয়ন অনুমোদনে বাধা প্রদান করতে পারে।

প্রশ্ন-২ আন্তর্জাতিক আদালত বলতে কি বুঝ? আন্তজার্তিক আদালতে বিচারকদের নিয়োগ পদ্ধতি আলোচনা কর। আন্তজার্তিক আদালতের রায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আলোচনা কর।
আন্তর্জাতিক আদালত :
 বিশ্ব মানবতাকে রক্ষা করা, মানব সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্ব মানবতার ঐক্য ও সংহতি এবং বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালত গঠন করা হয়েছে।নেদারল্যান্ডের হেগ নগরীতে আন্তর্জাতিক আদালত অবস্থিত। এ আদালতের বিচারক উঁচু নৈতিক চরিত্রের অধিকারী, নিজ নিজ দেশে সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানে বিচারক হওয়ায় যোগ্যতার অধিকারী বা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন আইনজ্ঞ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে স্বাধীন বিচারকদের নিয়ে এই আদালত গঠিত। এই আদালতের বিচারক সংখ্যা ১৫ জন। এশিয়া থেকে তিনজন, আফ্রিকা থেকে তিনজন, পশ্চিম ইউরোপ থেকে পাঁচজন, পূর্ব ইউরোপ থেকে দুইজন এবং লাতিন আমেরিকা থেকে দুইজন বিচারক নিয়োগ করা হয়। তবে এক রাষ্ট্র থেকে একজনের বেশি বিচারক নিয়োগ করা যায় না। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে বিচারপতি নিয়োগ হয়ে থাকে।আন্তর্জাতিক আদালতের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বিচারকাজ চালাতে পারেন। তবে বিবদমান রাষ্ট্রগুলো অনুরোধ জানালে ক্ষুদ্র অংশ চেম্বার বসতে পারে। চেম্বারের রায়কে সমগ্র আদালতের রায় হিসেবে গণ্য করা হয়। কমপক্ষে ৯ জন বিচারপতিকে একটি বিচারকাজ চালাতে হয়।বিশ্বের মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিরসনের বিষয়ে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে সরে এসে দ্বিপক্ষীয়ভাবে নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতে নালিশ জানায়। পরে মিয়ানমার রাষ্ট্র বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমানায় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।তবে আন্তর্জাতিক আদালতে কোনো দেশের নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে নালিশ জানাতে পারেন না। দুইটি দেশের মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে কেবল সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র নালিশ জানাতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধি ৩৪ অনুচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্র কোনো বিচারের বিষয়ে আদালতে পক্ষ হয়ে মোকদ্দমা করতে পারে। ব্যক্তি বা আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠনও আন্তর্জাতিক আদালতে দায়ের করা কোনো মামলায় পক্ষ হতে পারে না।গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের পরিধি বেড়েছে অনেকগুণ বেশি। ব্যক্তি নয়, অন্তত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক আদালতে নালিশ করার সুযোগ দেওয়া হলে বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি তথা এক রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করার সুযোগ কম থাকে।

আন্তজার্তিক আদালত:বিচারক ১৫ জন ৯  বছরের জন্য নিযুক্ত হয় একজন সভপতি,একজন সহসভাপতি ও রেজি: সাধারণ পরিষদের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে নিয়োগ হবে। প্রতি তিন বছর অন্তর ২/৩ অংশ বিচারক অবসর নিবেন। অবকাশকালীন সময় ছাড়া সারা বছরই আন্তজার্তিক আদালত চলবে।
সচিবালয়: দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনা করাই সচিবালয়ের প্রধান কাজ। সচিবালয়ের প্রধান মহাসচিব ৫ বছরের জন্য সাধারণ পরিষদের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে নিয়োগ পান।

ঘ-বভিাগ
প্রশ্ন-১:তুমি কি মনে কর জাতসিংঘ এর উদ্দশ্যে অজন সফল হয়ছে?ে জাতি সংঘরে নরিাপত্তা পরষিদরে গঠন ও সন্ধিান্ত সমালোচনামূলক বশ্লিষেণ করুন? ভটেো প্রদান ক?ি
ভেটো ক্ষমতা ভেটো নিরাপত্তা পরিষদেও স্থায়ী সদস্যদেও একটি বিশেষ ক্ষমতা, যা ঈস্খয়োগ কওে নিরাটত্তা পরিষদেও কোন প্রস্তাবকে নাকচ বা অকার্যকর কওে দেয়া হয়। ভেটো ক্ষমতার পক্ষে ও বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি প্রদর্শন করা হলেও এটা জাতি সংঘ পরিমন্ডলে একটা রুঢ়বাস্তবতা যা বিগত জাতিপুঞ্জের আমলে ছিল ছিল।
ভেটো হচ্ছে একটা নাসূচকভোট। ভোটদান করা হতে বিরত থাকা কিংবা অনুপস্থিত থাকাকে ভেটোপ্রয়োগ বলে না। ভেটো প্রয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ কওে তা স্পষ্টভাবে প্রযোগ করতে হবে। অর্থাৎ নাসূচক মতামত ব্যক্ত করতে হবে।
এটি ল্যাটনি শব্দ।এর র্অথ → আমি মানি না।জাতসিংঘরে নরিাপত্তাপরষিদরে স্থায়ী সদস্যরা ভটেো প্রদান করতে পারনে। জাতসিংঘ গঠনরে উদ্যোক্তা না হয়ওে ভটেো প্রদানরের ক্ষমতা রয়ছেে ফ্রান্সরে।র্সবোচ্চ ভটেো প্রদানকারী দশে- রাশয়িা।বাংলাদশেরে পক্ষে সবচয়েে বশেি ভটেো প্রদানকারী দশে- রাশয়িা।বাংলাদশেরে বপিক্ষে সবচয়েে বশেি ভটেো প্রদানকারী দশে- চীন ভটেো ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সম্প্রতি জাপান, র্জামান,ি ভারত, ব্রাজলি দাবি জানয়িছে।ে
অবশ্যম্ভাবী শব্দ হসিবেে ভটেো শব্দটি জাতসিংঘরে নরিাপত্তা পরষিদে ব্যাপকভাবে পরচিতি ও এটি বশ্বৈকিভাবে বরিাট প্রভাব বস্তিার কর।েযুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশযি়া এবং ফ্রান্স - এই পাঁচটি দশে নরিাপত্তা পরষিদরে স্থায়ী সদস্য। তারা প্রত্যকেইে ভটেো ক্ষমতা প্রয়োগরে অধকিারী। ভটেো ক্ষমতা ব্যবহাররে মাধ্যমে য-েকোন একটি দশে নরিাপত্তা পরষিদে গৃহীত য-েকোন ধরনরে সদ্ধিান্ত গ্রহণ ও আইন প্রণয়ন অনুমোদনে বাধা প্রদান করতে পার।ে
জাতিসংঘের উদ্দেশ্য:
১) জাতি সংঘের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা
২)পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আতœ নিয়ন্ত্রনের অধিকার
৩) জাতিতে জাতিতে সৌহাদ্দপূর্ণ সম্পর্কের প্রসার
৪) অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার আন্তজার্তিক সহযোগীতা ও সমাধান
জাতি সংঘের অঙ্গ:
১) সাধারণ পরিষদ
২) নিরাপত্তা পরিষদ
৩) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
৪) ওছি পরিষদ
৫) আন্তজার্তিক আদালত
৬) সচিবালয়
সাধারণ পরিষদ:সাধারণ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন। বছরে একবার নিয়মিত অধিবেশন বসে। প্রতি অধিবেশনে একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্তে ২/৩ অংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। নিরাপত্তা পরিষদে ও সাথে যৌথভাবে মহাসচিব এবং বিচারক নিয়োগ করেন।এর অধীনে কিছু কমিশন আছে-
আন্তজার্তিক মানবাধিকার কমিশন
আইন কমিশন
অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ কমিশন
নিরাপত্তাপরিষদ: নিরাপত্ত পরিষদের প্রথম কাজ আন্তজার্তিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। ৫ জন স্থায়ী ১০ অস্তায়ী প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগন পালাক্রমে ১ মাসের জন্য সভাপতি নিযুক্ত হন। ভোটের মাধ্যমে সকল সিন্ধান্ত গ্রহীত হয়। পদ্ধতিগত প্রশ্নে ৯ জন সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়। সাধারণভাবে স্থায়ী ৫ জন সহ ৯ জন। আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ থেকে ৫ জন লেটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল হতে ২ জন পশ্চিম ইউরোপ এবং অন্যান্য রাষ্ট্র কানাডা অষ্ট্রেলিয়া উিজিল্যান্ড থেকে ২ জন। পূর্ব ইউরোপ থেকে ১ জন। প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর সভা হবে।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ: ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কাউনসিল। বছরে ২ বার অধিবেশন হবে। সংখ্যা গরিষ্ঠের ভোটে সিন্ধান্ত গৃহিত হয়।
ইউনিসেফ,ইউএনডিপি,
অছি পরিষদ: আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর রক্ষনাবেক্ষন ও শাসনভার পরিচালনা। বছওে ২ বার অধিবেশন বসে।
কমনওয়েলথ
ন্যাটো
সার্ক
জি ৮

প্রশ্ন-২ আর্ন্তজাতকি আদালত বলতে কি বুঝ? আন্তর্জাতকি আদালতে বচিারকদরে নয়িোগ পদ্ধতি আলোচনা কর। আন্তর্জাতকি আদালতরে রায় বাস্তবায়ন প্রক্রয়িা আলোচনা কর।
আর্ন্তজাতকি আদালত :
 বশ্বি মানবতাকে রক্ষা করা, মানব সমাজে ন্যায় প্রতষ্ঠিা করা, বশ্বি মানবতার ঐক্য ও সংহতি এবং বশ্বি শান্তি বজায় রাখতে আর্ন্তজাতকি বরিোধরে শান্তপর্িূণ মীমাংসার জন্য আর্ন্তজাতকি আদালত গঠন করা হয়ছে।েনদোরল্যান্ডরে হগে নগরীতে আর্ন্তজাতকি আদালত অবস্থতি। এ আদালতরে বচিারক উঁচু নতৈকি চরত্রিরে অধকিারী, নজি নজি দশেে র্সবোচ্চ বচিার বভিাগীয় প্রতষ্ঠিানে বচিারক হওয়ায় যোগ্যতার অধকিারী বা আর্ন্তজাতকি আইনে স্বীকৃত অধকি যোগ্যতাসম্পন্ন আইনজ্ঞ। জাত,ি র্ধম, র্বণ নর্বিশিষেে স্বাধীন বচিারকদরে নয়িে এই আদালত গঠতি। এই আদালতরে বচিারক সংখ্যা ১৫ জন। এশয়িা থকেে তনিজন, আফ্রকিা থকেে তনিজন, পশ্চমি ইউরোপ থকেে পাঁচজন, র্পূব ইউরোপ থকেে দুইজন এবং লাতনি আমরেকিা থকেে দুইজন বচিারক নয়িোগ করা হয়। তবে এক রাষ্ট্র থকেে একজনরে বশেি বচিারক নয়িোগ করা যায় না। জাতসিংঘরে সাধারণ পরষিদ ও নরিাপত্তা পরষিদরে ভোটে বচিারপতি নয়িোগ হয়ে থাক।েআর্ন্তজাতকি আদালতরে র্পূণাঙ্গ বঞ্চে বচিারকাজ চালাতে পারনে। তবে ববিদমান রাষ্ট্রগুলো অনুরোধ জানালে ক্ষুদ্র অংশ চম্বোর বসতে পার।ে চম্বোররে রায়কে সমগ্র আদালতরে রায় হসিবেে গণ্য করা হয়। কমপক্ষে ৯ জন বচিারপতকিে একটি বচিারকাজ চালাতে হয়।বশ্বিরে মানবাধকিার রক্ষায় আর্ন্তজাতকি শান্তি ও নরিাপত্তা রক্ষায় জাতসিংঘরে ভূমকিা অনস্বীর্কায। সমুদ্রসীমা নয়িে প্রতবিশেী রাষ্ট্র ভারতরে সঙ্গে বরিোধ নরিসনরে বষিয়ে বাংলাদশেকে আর্ন্তজাতকি আদালত থকেে সরে এসে দ্বপিক্ষীয়ভাবে নরিসনরে প্রস্তাব দয়িছেে ভারত। ভারত ও ময়িানমাররে সঙ্গে সমুদ্রসীমা নয়িে বরিোধ দখো দওেয়ায় বাংলাদশে আর্ন্তজাতকি আদালতে নালশি জানায়। পরে ময়িানমার রাষ্ট্র বরিোধর্পূণ সমুদ্রসীমানায় খনজি সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলন র্কাযক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।তবে আর্ন্তজাতকি আদালতে কোনো দশেরে নাগরকি ব্যক্তগিতভাবে নালশি জানাতে পারনে না। দুইটি দশেরে মধ্যে কোনো বষিয়ে বরিোধ দখো দলিে কবেল সংশ্লষ্টি রাষ্ট্র নালশি জানাতে পার।ে আর্ন্তজাতকি আদালতরে সংবধিি ৩৪ অনুচ্ছদে মোতাবকে রাষ্ট্র কোনো বচিাররে বষিয়ে আদালতে পক্ষ হয়ে মোকদ্দমা করতে পার।ে ব্যক্তি বা আর্ন্তজাতকি কোনো সংগঠনও আর্ন্তজাতকি আদালতে দায়রে করা কোনো মামলায় পক্ষ হতে পারে না।গণতান্ত্রকি ব্যবস্থায় জাতসিংঘ সদস্য রাষ্ট্ররে পরধিি বড়েছেে অনকেগুণ বশে।ি ব্যক্তি নয়, অন্তত কোনো আর্ন্তজাতকি সংস্থাকে আর্ন্তজাতকি আদালতে নালশি করার সুযোগ দওেয়া হলে বশ্বিরে মানবাধকিার পরস্থিতিি তথা এক রাষ্ট্র র্কতৃক অন্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করার সুযোগ কম থাক।ে

আন্তজার্তিক আদালত:বিচারক ১৫ জন ৯  বছরের জন্য নিযুক্ত হয় একজন সভপতি,একজন সহসভাপতি ও রেজি: সাধারণ পরিষদের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে নিয়োগ হবে। প্রতি তিন বছর অন্তর ২/৩ অংশ বিচারক অবসর নিবেন। অবকাশকালীন সময় ছাড়া সারা বছরই আন্তজার্তিক আদালত চলবে।
সচিবালয়: দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনা করাই সচিবালয়ের প্রদান কাজ। সচিবালয়ের প্রধান মহাসচিব ৫ বছরের জন্য সাধারণ পরিষদের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে নিয়োগ পান।
প্রশ্ন-৩ নরমে বাগ, যুগোস্লাভয়িার, রুয়ান্ডা আন্তর্জাতকি অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সর্ম্পকে আলোচনা কর।

প্রশ্ন-৪ বাংলাদশেে যুদ্দাপরাধরে জন্য গঠতি ট্রাইব্যুনালরে ঐতহিাসকি পটভূমি আলোচনা কর।
আর্ন্তজাতকি অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ইংরজেি ভাষায়: ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈৎরসবং ঞৎরনঁহধষ, সংক্ষপেে ওঈঞ) বাংলাদশেে প্রতষ্ঠিতি একটি অপরাধ ট্রাইবুনাল যার উদ্দশ্যে হচ্ছে ১৯৭১ সালে বাংলাদশেরে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘটতি আর্ন্তজাতকি অপরাধসমূহরে বচিার করা। এর আওতায় পড়ে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ এবং শান্তরি বরিুদ্ধে অপরাধ।[১] বাংলাদশেে ২০০৮ সালরে সাধারণ নর্বিাচনরে সময় আওয়ামী লীগ নামক রাজনতৈকি দলটরি অন্যতম প্রধান রাজনতৈকি ইশতহোর ছলি যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার প্রক্রযি়া শুরু করা। সে নর্বিাচনে তারা নরিঙ্কুশ সংখ্যাগরষ্ঠিতা লাভ করে বজিয়ী হয়। প্রতশ্রিুতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগরে একজন সাংসদ ২০০৯ সালরে ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে প্রস্তাব পশে করলে তা র্সবসম্মতক্রিমে গৃহীত হয়।[২] অবশষেে বাংলাদশেরে স্বাধীনতা লাভরে ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধরে দায়ে অভযিুক্তদরে বচিাররে জন্য ২০১০ সালরে ২৫শে র্মাচ ট্রাইবুনাল, আইনজীবী প্যানলে এবং তট্রাইব্যুনাল গঠন
১৯৭১ সালে তৎকালীন র্পূব পাকস্তিানে সংঘটতি মানবতা বরিোধী অপরাধরে দায়ে অভযিুক্তদরে বচিার বষিয়ে ২০০৮ সালরে সাধারণ নর্বিাচনরে প্রাক্কালে বাংলাদশেে বশিষেত তরুণ প্রজন্মরে মাঝে ব্যাপক সচতেনতার সৃষ্টি হয়।[৪][৫] আওয়ামী লীগ তাদরে নর্বিাচনী ইশতহোরে এই গণদাবী অর্ন্তভুক্ত কর।ে ২০০৮-এর ২৯শে ডসিম্বের অনুষ্ঠতি সাধারণ নর্বিাচনে নরিংকুশভাবে বজিয় লাভ করার পর পরই নর্বিাচতি দল আওয়ামী লীগ র্কতৃক গঠতি সরকার নর্বিাচনী প্রতশ্রিুতি অনুযায়ী বচিাররে উদ্যোগ গ্রহণ কর।ে[৬][৭] এরপর ২০০৯ সালরে ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এই বষিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়।[২]
বচিাররে উদ্যোগ নওেয়ার এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করনে সলিটে-৩ আসনরে সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীসহ সনিযি়র সাংসদরা প্রস্তাবটকিে সর্মথন জানালে স্পকিার তা অনুমোদন দওেয়া হবে কনিা এই প্রশ্ন ভোটে ননে। মৌখকি ভোটে প্রস্তাবটি র্সবসম্মতভাবে গৃহীত হয়।[৮][৯]
সংসদে গৃহীত প্রস্তাবরে বাস্তবায়নে সরকার বদ্যিমান আর্ন্তজাতকি অপরাধ ট্রাইব্যুনালস অ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুযায়ী অভযিুক্তদরে তদন্ত এবং বচিাররে উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সরকাররে পক্ষ থকেে এ সংক্রান্ত ঘোষণাটি আসে ২০০৯ সালরে ২৫শে র্মাচ।[১০] [১১] বাংলাদশেরে নাগরকি সমাজ এবং র্শীষ আইনজীবীদরে মতামত ও পরার্মশরে ভত্তিতিে সরকার ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট সংশোধনরে উদ্যোগ নযে়। এই উদ্যোগরে অংশ হসিবেে সরকার ২০০৯ সালরে ২১শে মে বশিষেজ্ঞদরে মতামত চযে়ে ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টটি আইন কমশিনে পাঠায়।[১১] এরই পরপ্রিক্ষেতিে আইন কমশিন দশেরে বশিষেজ্ঞ আইনজীবী, বচিারপত,ি বভিন্নি বশ্বিবদ্যিালয়রে অধ্যাপক এবং আরও কয়কেজন আইনজ্ঞরে মতামতরে ভত্তিতিে ১৯৭৩ সালে প্রণীত ট্রাইব্যুনালে কছিু নর্দিষ্টি বষিয়ে সংশোধন আনার জন্য সরকারকে পরার্মশ দযে়।[১১][১২] অতঃপর আইন কমশিনরে সুপারশি ববিচেনা করে ১৯৭৩ সালে প্রণীত আইনকে যুগোপযোগী করার জন্য ২০০৯ সালরে ৯ জুলাই আর্ন্তজাতকি অপরাধ ট্রাইব্যুনালরে কছিু সংশোধনী জাতীয় সংসদে মৌখকি ভোটে পাশ করা হয়।[১৩][১৪]
সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকওে বচিাররে আওতায় আনার বধিান যুক্ত করা এবং 'ট্রাইব্যুনাল স্বাধীনভাবে বচিারর্কায পরচিালনা করব'ে এই র্মমে সুস্পষ্ট আইনগত বধিান সন্নবিশে করা সহ আরও কয়কেটি বষিয়ে পরর্বিতন আনা হয়।[১৩] অবশষেে স্বাধীনতা লাভরে ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধরে দায়ে অভযিুক্তদরে বচিাররে জন্য ২০১০ সালরে ২৫ র্মাচ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানলে এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। [৩] এরই ধারাবাহকিতায় যুদ্ধাপরাধে অভযিুক্ত ব্যক্তদিরে গ্রফেতার এবং তাদরে অপরাধরে বষিয়ে তদন্তরে উদ্যোগ নযে় ট্রাইব্যুনাল। নাগরকি সমাজরে দাবি এবং তাদরে সাথে আলোচনার ভত্তিতিে বচিার র্কাযক্রম পরচিালনার জন্য পুরাতন হাইর্কোট ভবনকে আদালত হসিবেে প্রস্তুত করা হয়।
অবকাঠামো
ট্রাইব্যুনাল-১
২০১০ সালরে ২৫শে র্মাচ আর্ন্তজাতকি অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩-এর ৬ ধারার বলে তনি সদস্য বশিষ্টি একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়ছেলি। সইে ট্রাইব্যুনালরে চযে়ারম্যান ছলিনে বচিারপতি মো. নজিামুল হক এবং অন্য দুজন বচিারক ছলিনে বচিারপতি এ টি এম ফজলে কবীর এবং অবসরপ্রাপ্ত জলো জজ এ কে এম জহরি আহমদে। পরর্বতীতে ২০১২ সালরে ২২শে র্মাচ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠতি হওয়ার পর এটএিম ফজলে কবীর প্রথম ট্রাইব্যুনাল থকেে সরে গযি়ে দ্বতিীয়টরি চযে়ারম্যানরে পদ গ্রহণ করনে।[১৫] তার স্থলাভষিক্তি হন হাইর্কোটরে বচিারপতি আনোয়ারুল হক।[১৬] এর মধ্যে নজিামুল হক ও ফজলে কবীর বাংলাদশেরে সুপ্রমি র্কোটরে র্কমরত বচিারপতি এবং জহরি আহমদেরে জলো র্পযায়ে ৩০ বছর বচিারক হসিবেে কাজ করার অভজ্ঞিতা রয়ছে।ে[১৭]
ট্রাইব্যুনাল-২
বচিার প্রক্রযি়া আরও গতশিীল করতে তনি সদস্যবশিষ্টি নতুন আরকেটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় ২০১২ সালরে ২২শে র্মাচ। এর নাম হয় ট্রাইব্যুনাল-২ বা ওঈঞ-২. দ্বতিীয় এই ট্রাইব্যুনালরে চযে়ারম্যান হয়ছেলিনে প্রথম ট্রাইব্যুনালরে সদস্য বচিারপতি এ টি এম ফজলে কবীর। অন্য দুজন সদস্য ছলিনে হাইর্কোটরে বচিারপতি ওবায়দুল হাসান ও প্রথম ট্রাইব্যুনালরে রজেস্ট্রিার শাহনিুর ইসলাম।[১৬]
বাদীপক্ষরে আইনজীবী প্যানলে
২০১০ সালরে ২৫শে র্মাচ প্রথম ট্রাইব্যুনালরে জন্য ১২-সদস্যবশিষ্টি একটি আইনজীবী প্যানলে গঠন করা হয়ছেলি। প্যানলেরে প্রধান তথা চফি প্রসকিউিটর ছলিনে গোলাম আরফি। বাকি ১১ জন আইনজীবী ছলিনে সযৈ়দ রজোউর রহমান, গোলাম হাসনাইন, রানা দাশগুপ্ত, জহরিুল হক, নুরুল ইসলাম, সযৈ়দ হায়দার আলী, খন্দকার আবদুল মান্নান, মোশারফ হোসনে, জযি়াদ-আল-মালুম, সানজদিা খানম ও সুলতান মাহমুদ।[১৫]
তদন্তকারী সংস্থা
ট্রাইব্যুনাল ও আইনজীবী প্যানলে গঠনরে পাশাপাশি প্রাক্তন জলো জজ ও আইন মন্ত্রণালয়রে সাবকে অতরিক্তি সচবি আবদুল মতনিরে সমন্বয়ে ৭ সদস্যরে একটি তদন্তকারী সংস্থা নযি়োগ দযে়া হয়ছেলি একই দনি।ে সংস্থার অন্য সদস্যরা ছলিনে: পুলশিরে সাবকে অতরিক্তি মহাপরর্দিশক আবদুর রহমি, সাবকে উপমহাপরর্দিশক কুতুবুর রহমান, মজের (অব.) এ এস এম সামসুল আরফেনি, পুলশিরে অপরাধ তদন্ত বভিাগরে (সআিইড)ি অতরিক্তি উপমহাপরর্দিশক মীর শহীদুল ইসলাম, একই বভিাগরে পরর্দিশক নুরুল ইসলাম ও আবদুর রাজ্জাক খান।[১৫]
বচিারালয়
বাংলাদশেরে রাজধানী ঢাকায় অবস্থতি পুরাতন হাইর্কোট ভবনকে আদালত হসিবেে প্রস্তুত করে একে ট্রাইব্যুনালরে বচিারালয় হসিবেে ব্যবহার করা হয়।[
দন্ত সংস্থা গঠন করা হয়।[৩]

প্রশ্ন-৫ কোন কোন কাযগুলি মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধ? মানবতার বরিুদ্ধে অপরাধরে দায়ে অভযিুক্ত কোন রাষ্ট্র প্রধান কি অন্য রাষ্ট্রে দায়মুক্তি দাবী করতে পার?
আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ১৯৭৩ ( বাংলাদেশ)
২০ জুলাই বাংলাদেশ সরকার এই আইন জারি করে।
এই আইনের উদ্দেশ্য:
১) গন হত্যা
২) মানবতাবিরোধী অপরাধ
৩) যুদ্ধাপরাধ
৪) আন্তজার্তিক আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য
ক) অভিযুক্তদের অভ্যান্তরীন রাখা
খ) মামলা রুজু করা
গ) শাস্তি প্রদান

4 comments:

  1. একজন আত্মসাৎকারী সরকারী টাকা আত্মসাতের দায়ে ১ম অডিট (২বার), পুনঃ অডিট (২বার) সাব্যস্ত হয়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। সাময়িক বরখাস্ত হবার পূর্বেই তিনি বিভিন্ন খাতের আত্মসাতের ৭,২২,২২৩৪/- টাকা জমা প্রদান করেছেন। এরই মধ্যে আরো ৯লক্ষ্য টাকা দিবেন মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিভিন্ন অডিট তদন্তের কাছে স্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু সে অফিসেস অন্যসকল সৎলোকদের ফাঁসানোর জন্য ভুঁয়া তদন্ত করাচ্ছেন, এসব তদন্তও অন্যদের নামে কোন আত্মসাৎ পাননি। কিন্তু ইদানিং সে ২জন লোক টাকা দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য আনিয়েছেন, তারা অন্যদের নামে কিছুই পায়নি, যো কিছু সব তার নামেই পাচ্ছে, তথাপিও উক্ত ঘোষকারী তদন্ত দল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কোন রিপোর্ট না দিয়েই অন্যান্য সৎ স্টাফদের ফাঁসানোর জন্য রিপোর্টে লিখে দিয়েছে যে, আত্মসাৎ সকলের সহযোগীতায় হয়েছে, আসলে এমন কোন ইভিডেন্স তদন্তকালীন সময়ে তারা পায়নি। উক্ত বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয় ক্ষিপ্ত ও অবগত এবয় তিনি মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন সচিবের কাছে আত্মসাৎকারী একাই দায়ী বিষয়টি র্পূবেই প্রমানীত হয়েছে মর্মে ৪টি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। এখন উক্ত আত্মসাৎকারী ও অনিয়মকারী তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

    ReplyDelete
  2. You have done a very useful and vert good blog . Thank you

    ReplyDelete