Thursday 18 February 2016

The Intellectual Property Act

প্রশ্ন-১ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ( Intellectual Property Law) বলতে কি বুঝায়? বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের বিবরণ দাও।  একটা দেশের অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ( Intellectual Property Law) এর ভূমিকা আলোচনা কর।

Intellectual Property Law এর ধারণা বর্তমান বিশ্বের একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও যুগান্তকারী ধারণা। এ পর্যন্ত বিশ্বের মানুষের কাছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ধারণাই ছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব পরিক্রমায় ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু একটি স্বতন্ত্র প্রকৃতির সম্পত্তি  হিসাবে আত্ন প্রকাশ করেছে। যদি ইহা এক প্রকার চৎড়ঢ়বৎঃু তবুও সম্পত্তির অন্যান্য ধারণা থেকে এই ধারণাটি দিন দিন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গুরুত্ব লাভ করেছে।
মেধা ভিত্তিক সম্পত্তির সংজ্ঞা:
ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু একটি নতুন ধারণা। ইহা এমনই এক প্রকার সম্পত্তি যার উৎপত্তিস্থল হলো মানুষের মন,বুদ্ধিবুত্তি তথা বিচারশক্তি। সুতরাং ,মানুষের মন ও মেধা থেকে যে সম্পত্তির সৃষ্টি হয়েছে, উহাকেই বলে ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু। যেমন-পেটেন্ট,ডিজাইন,ট্রেডমার্কস,কপিরাইট ইত্যাদি। এই সকল সম্পত্তির ধারণা মানুষের মন থেকে বেরিয়ে আসে তথ্য সৃষ্টি হয়ে থাকে বিধায় এর নামকরণ করা হয়েছে ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু।
ঞযব ডড়ৎষফ ওহঃবষষবপঃঁধষ ঢ়ৎড়ঢ়বৎঃু ঙৎমধহরংধঃরড়হ(ডওচঙ) কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থে ইহার সংজ্ঞা অতি সুন্দরভাবে দেওয়া হইয়াছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু এর বিষয়বস্তু হইতেছে মানব মন,মানব সৃষ্ট তাই এই ধরণের সম্পদকে বলা হয় মেধা ভিত্তিক সম্পদ। যে আইন দ্বারা এই সম্পত্তি সংরক্ষণ করা হয় তাহা হইতেছে মেধাভিত্তিক সম্পত্তি আইন।
একটা দেশের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু খধি এর ভূমিকা:
কোন একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি ও অগ্রগতিতে বুদ্ধি বৃত্তিক সম্পত্তি (ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু খধ)ি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। আবিস্কৃত জিনিসটি প্রকাশের একচ্ছত্র অধিকারের সনদ যখন প্রদান করা হয় বা মঞ্জুর করা হয় তখন অন্যান্য প্রতিযোগীরা নকল না করে নতুন উৎপাদন করবে অথবা উৎপাদনের উন্নতি ঘটাবে অথবা প্রক্রিয়াজাত করতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহন না করলে অনেক প্রযুক্তিগত তথ্য গোপন থেকে যাবে যা পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর হবে।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির (ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু ) প্রকার সাধারণত ;ধরা বা ছোয়া যায় না এমন প্রকৃতির হয়ে থাকে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বুদ্ধি বৃত্তিক সম্পত্তি বস্তুগত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত একগুচ্ছ অধিকারের সমষ্ঠি বা আবিস্কারকর্তা কর্তৃক আবিস্কিত বা সৃষ্ট হয়েছে।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রাচুর্যতার জন্য বিশেষ করে আমদানি রপ্তানি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উন্নয়নের জন্য ব্যবসা বানিজ্যের বিশ্বায়নে এক বিরাট প্রভাব ফেলেছে। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের উপরও প্রভাব ফেলেছে এবং যা আজকে আন্তজার্তিকভাবে এর বৈশিষ্ট্য ধারণ করছে।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আইন পাঠের প্রয়োজনীয়তা:
বর্তমান বিশ্বে ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু খধি  পাঠের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী। কারণ বর্তমান যুগটিকে যদি পুরোপুরি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ বলা যায় তবে তাহা ভুল বলা হইবে না। তাহা ছাড়াও ব্যাপক শিল্পায়ন এবং উন্মক্ত বাণিজিকীকরণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অভুতপূর্ব উন্নয়নের ফলে গোটা বিশ্ব বলতে গেলে এখন হাতেমুঠোয়।আর এই কারণেই মানুষের মেধাসৃষ্ট বুত্তিবৃত্তি সম্পত্তিগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের মানুষের দ্বারে পৌঁছাইয়া দেওয়া সহজ হইতে সহজতর হইয়াছে। তবে এ সুফল যতটুকু অন্য মানুষ ভোগ করিয়াছে তাহার চেয়ে অনেক বেশী সুফল ভোগ করিতেছে সম্পত্তিটির মালিককে। কেননা যিনি অনেক পরিশ্রম ও মেধা খাটাইয়া কোন কর্ম সৃষ্টি করিয়াছেন অথচ দেখা যাইতেছে তাহার অধিকার লংঘন করিযা তাহার অনুমতি ছাড়াই অনেক ব্যক্তি অবৈধ উপায়ে কর্মটির পুনউৎপাদন করিয়া বিক্রয়ের মাধ্যমে লাভবান হইতেছে সবচেয়ে বেশী। কারণ ফটোকপি মেশিন,ক্যাসেট রেকর্ডার,ভিডিও রেকর্ডার ইত্যাদির বদৌলতে কোন বই,লেখনি,সংগতি চলচ্চিত্র প্রভৃতি কপি করিয়া পুনরুৎপাদন অত্যান্ত সহজলভ্য এবং ব্যয়হীন বলিলেও চলে। ফলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবেই এই ক্ষেত্রে উৎসাহিত হয় এবং পাইরেসিতে লিপ্ত হয়। কপিরাইট ছাড়াও বর্তমানে অবৈধ ট্রেডমার্ক ও ট্রেডনামের ব্যবহার এখন একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। একজনের পেটেন্ট করা আবিস্কার অন্যের দ্বারা ব্যাপকভাবে উৎপাদন, ডিজাইন নকল করা যেন মানুষের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বস্তুত এই কারণেই ইনটালেকচুয়াল প্রপার্টি ল এর অধ্যাযন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
মেধাভিত্তিক সম্পত্তির শ্রেণী বিভাগ:


Intellectual Property
‡h AvBbØviv wbqwš¿Z nq
Patent
The Patent & Design Act,1911
Design
The Patent & Design Act,1911
Trade Marks
The Trade marks Act,2009
Copyright
The Copyright Act,2000


বাংলাদেশ উপরোক্ত আইনগুলির মাধ্যমে মেধাস্বত্ব সম্পদের প্রটেকশন দিয়ে থাকে।
বুদ্ধি বৃত্তিক সম্পত্তি আইনের উদ্দেশ্য:
ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু খধি এর উদ্দেশ্যসমূহ নি¤œরুপ:
১) পণ্যের নকল প্রতিরোধ করা।
২) বুদ্ধিবৃত্তিক স্বত্বাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা।
৩) মানুষের মেধা ও শ্রমকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া।
৪) তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নে গতিশীলতা আনয়ণ করা।

প্রশ্ন-২ ট্রেডমার্কস কী? এর কাজ কী? একটি উত্তম ট্রেডমার্কের বৈশিষ্ট্য কী ? ট্রেডমার্কস সাথে ট্রেড নেইম(ঞৎধফবহধসব) এর পার্থক্য দেখাও।ট্রেডমার্কের অধিকার কীভাবে অর্জন করা যায়? ট্রেডমার্কস নিবন্ধনের পদ্ধতি ও শর্তাবলী আলোচনা কর। কেন বলা হয় যে,ট্রেডমার্ক আইনটি মূলত দুটি ধারণার ওপর ভিত্তিশীল ”স্বতন্ত্রতা ও বিভ্রান্তি মূলক সাদৃশ্য”  উল্লেখযোগ্য মামলা সহ আলোচনা কর।
ট্রেডমার্কস লংঘন বলতে কী বোঝায়? ইহা কখন ও কীভাবে সংঘটিত হয়? কোন কোন কাজ লংঘনের পর্যায়ে পড়ে না,ট্রেডমার্ক লংঘনের প্রতিকার সমূহ বিস্তারিত আলোচনা কর। ট্রেডমার্ক পাসিং অফ বলতে কি বুঝায়? ট্ট্রেডমার্ক লংঘন ও ট্রেডমার্ক পাসিংঅফ এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। পাসিং অফের মামলায়  আতœপক্ষ সমর্থনের জন্য বাদীকে কি কি বিষয় প্রমান করতে হবে এবং তার আতœপক্ষ সমর্থনের বিষয কী?
ট্রেডমার্ক (ঞৎধফবসধৎশ):
ট্রেডমার্ক হচ্ছে এক ধরনের স্বাতন্ত্র্যসূচক শব্দ,শব্দগুচ্ছ,বিজ্ঞাপনী ভাষা (ঝষড়মধহ) নাম,প্রতীক,বর্ণ ,ছবি,নকশা,সংকেত বা চিহ্ন(খড়মড়) অথবা এ ধরণের যে কোন বৈশিষ্ট্যসূচক নিদর্শন যা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং যা কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্টানের পণ্য বা সেবাকে,অপর কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান হতে আলাদাভাবে তুলে ধর্।ে সেই সাথে উক্ত উপস্থাপিত নিদর্শন সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার নিজস্ব পরিচয় বহন করে।
ট্রেডমার্ক বা ব্যবসা স্বত্ত্ব হল একটি প্রতীক যা দ্বারা একটি উৎস থেকে আগত পণ্য বা সেবা থেকে অন্য উৎসের পণ্য বা সেবা পৃথক করা যায়। একজন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা যে কোন আইন সিদ্ধ সত্ত্বাই ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী হতে পারে। সাধারণত ট্রেডমার্ক পণ্যের মোড়কের গায়ে, চালানপত্রে অথবা পণ্যের রসিদে অংকিত থাকে। এছাড়া স্বত্বাধিকারীর ব্যবসায়ীক স্থাপনায়ও এই প্রতীক প্রদর্শিত হয়ে থাকে। ুু
২০০৯ সালের ঝঃধঃঁঃড়ৎু খধি তে ট্রেডমার্ক এর সংজ্ঞায় অনুচ্ছেদ ২(৮) এ বলা হয়েছে যে, ট্রেডমার্ক অর্থ কোন নিবন্ধিতট্রেডমার্ক অথবা কোন পণ্যের সহিত ব্যবহৃত এমন কোন মার্ক যাতে ব্যবসায়িক উক্ত পন্যের উপর মার্ক ব্যবহারকারী স্বত্বাধিকারীর অধিকার রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
স্বতন্ত্র পণ্যের মালিকানা স্বত্ব দাবি করার জন্য সাধারণত ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা হয়। সত্ত্বধিকারী ব্যতীত অন্য কেউ কোন পণ্যের ট্রেডমার্ক নিয়ে ব্যবসা করলে বা বিজ্ঞাপন দিলে তা আইনত দন্ডনীয অপরাধ। ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী হওয়া ছাড়াও এটি লাইসেন্সের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। সচরাচর খেলনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ ট্রেডমার্কের লাইসেন্স করার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা ও বিপণন করে থাকে।
ট্রেডমার্কের অবৈধ ব্যবহার করে নকল পণ্য বা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ব্রান্ড পাইরেসি বলা হয়। ব্রান্ড পাইরেসির শিকার হলে ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। অধিকাংশ দেশেই স্বত্ত্বধিকারীকে আইনি সহায়তা পেতে হলে ট্রেডমার্কের নিবন্ধন করিয়ে নিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা সহ আরও কিছু দেশে ট্রেডমার্কেও ক্ষেত্রে "কমন ল" (ঈড়সসড়হ খধ)ি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে অনিবন্ধিত ট্রেডমার্কের স্বত্ত্বধিকারীরাও জালিয়াতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। অনিবন্ধিত স্বত্বাধিকারীরা সাধারণত নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারীদের চেয়ে কম আইনি সহায়তা পেয়ে থাকেন।
ট্রেডমার্ক বোঝাতে সাধারণত নিম্নের প্রতীকগুলো ব্যবহার করা হয়ঃ
™ ইংরেজি অক্ষর ঞগ বা ট্রেডমার্ক হল অনিবন্ধিত ট্রেডমার্কের প্রতীক। এটি কোন পণ্য বা ব্র্যান্ডকে মানুষের সাথে পরিচিত করানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
℠ ইংরেজি অক্ষর ঝগ বা সার্ভিস মার্ক। এটিও কোন পণ্য বা ব্র্যান্ডকে মানুষের সাথে পরিচিত করানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
® একটি বৃত্তের মাঝে জ যার অর্থ হল এটি নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক।
সাধারণত ট্রেডমার্ক একটি ছবি, বর্ন, অক্ষর অথবা প্রতীক হয়ে থাকে। যদি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র সেবা প্রদান করে তাহলে ট্রেডমার্কের বদলে সার্ভিস মার্ক কথাটিও ব্যবহার করা যায়।
যে নাম বা প্রতীকের মধ্য দিয়ে গ্রাহক কোনো বিশেষ উৎসের পণ্যকে সহজেই পৃথক করতে পারে এবং যে নাম বা প্রতীকের মধ্য দিয়ে কোনো ব্যবসায়ী তার পণ্যটিকে অন্য প্রতিযোগী পণ্য থেকে আলাদা রাখতে পারেন, আইনে তাকেই 'ট্রেডমার্ক' বলা হয়।
উত্তম ট্রেডমার্কের বৈশিষ্ট্য:
একটি উত্তম ট্রেডমার্কের মূল বৈশিস্ট্য হচ্ছে-
এটার উল্লেখযোগ্য স্বাতন্ত্র্যতা (উরংঃরহপঃরাবহবংং) থাকতে হবে এবং
অনুরুপ পণ্যের অন্য ট্রেডমার্কের সাথে বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্য(উবপবঢ়ঃরাব ঝরসরষধৎরঃু) থাকবে না।
এগুলো ছাড়াও নি¤েœাক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে ভালো হয়:
১) মার্কটি যদি শব্দ হয় তাহলে সেই শব্দটি সহজেই উচ্চারণযোগ্য ও মনে রাখার মতো হতে হবে।
২) ডিভাইস বা মেকানিক্যল কৌশল হলে তা একটি শব্দ দ্বারা বর্ণনা যোগ্য হতে হবে।
৩) ইহা যেন সহজে ও শুদ্ধভাবে বানান করা যায় এবং স্পষ্টভাবে লেখা যায়।
৪) ইহা বর্ণনামূলক হবে না তবে পন্যের গুনগত সম্পর্কে ইঙ্গিতবাহক হতে পারে।
৫) এটি সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্জনীয়।
৬) ইহাকে চক্ষু ও কর্নে আপীলযোগ্য হতে হবে।
৭) ইহাকে বিনিময়ের শর্তাবলীকে অনুসরণ করতে হবে।
৮) ইহাকে কোন নিষিদ্ধ শ্রেণীর পন্য হওয়া যাবে না।
৯) এটি দৃষ্টিনন্দন ও শ্রুতিমধুর হওয়া প্রয়োজন।
১০) ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য যে সকল শর্তাবলী আছে সেগুলো পূরণ করার মতো উপাদান থাকতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে,ট্রেড উৎস জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে পণ্যের সাথে অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করাই হচ্ছে ট্রেডমার্ক। যে নকশাটি পণ্যের অংশবিশেষ তা ট্রেডমার্ক হতে পারে না। তবে স্বাতন্ত্র্য বহন করে এরুপ কোন রঙের সমন্বয় কিংবা রঙ্গিন করার কোন প্রচেষ্টা ট্রেডমার্ক হিসেবে গণ্য হতে পারেনা। কিন্তু পাত্রের দ্বিমাত্রিক আঁকা ছবি ট্রেডমার্ক হতে পারে। পণ্য কেনার সময় ক্রেতা যেন সহজে দেখতে পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

ট্রেডমার্কস ও ট্রেড নেম এর মধ্যে পার্থক্য:
ট্রেডমার্ক ও ট্রেডনেম মূলত একই উদ্দেশ্য সাধন করে। কিন্তু এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। এগুলো নি¤œরুপ:
১)সংজ্ঞাগত: ট্রেডমার্ক  আইন ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ২(৮) এ বলা হয়েছে যে, ট্রেডমার্ক অর্থ কোন নিবন্ধিতট্রেডমার্ক অথবা কোন পণ্যের সহিত ব্যবহৃত এমন কোন মার্ক যাতে ব্যবসায়িক উক্ত পন্যের উপর মার্ক ব্যবহারকারী স্বত্বাধিকারীর অধিকার রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অপরদিকে,যে নামে কোন পন্য বাজারে বিক্রয় হয় তাহাকে উক্ত পন্যেও ট্রেডনাম বলা হয়।

২) ট্রেডমার্ক ব্যবসায়িক পণ্যের ওপর দেওয়া হয়;কিন্তু ট্রেডনাম কারবারের অস্তিত্বকে চিহ্নিত করে বিধায় এ নামে ব্যবসায়িক সুনাম প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩) ট্রেডমার্কের ক্ষেত্রে পণ্যের ভৌত অস্তিত্ব থাকতে হবে,কিন্তু ট্রেডনামের ক্ষেত্রে ভৌত অস্তিত্বের প্রয়োজন হয় না কারবার থাকলেই চলবে।
৪) ট্রেডমার্ক ও ট্রেডনাম উভয়ই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হলেও ট্রেডমার্ক চোখ দিয়ে দেখা যায়,কিন্তু ট্রেডনাম কান দিয়ে শোন যায়।
৫) নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের মালিকের অধিকার আইন দ্বারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে এবং এটি সহজে লঙ্ঘন করা যায় না। অপরপক্ষে ট্রেডনাম ব্যবসায়িক সুনাম প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হয় এবং এটি সহজে লঙ্ঘন করা যায়।
৬)বাংলায় ব্যবসায়িক চিহ্ন ইংরেজীতে ঞৎধফব গধৎশ , কিন্তু বাংলায় ব্যবসায়ের নাম ইংরেজীতে ঞৎধফব ঘধসব
ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের পদ্ধতি:
ট্রেডমার্ক আইন,২০০৯ এর তৃতীয় অধ্যায়ে ১৫ হতে ২২ ধারায় নিবন্ধনের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সাধারণত ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো পণ্যকে অন্য পণ্য থেকে আলাদা করার জন্য ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা হয়। ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা খুবই জরুরি। সাধারণত ট্রেডমার্ক নিবন্ধন দেওয়া হয়ে থাকে সাত বছরের জন্য। তবে নবায়ন করা যায়।
আবেদন করার নিয়ম
বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার বরাবরে পণ্যের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়া যাবে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (িি.িফঢ়ফঃ.মড়া.নফ)। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আবেদন ফি জমা করতে হয়। কত ধরনের পণ্য বা সেবার জন্য নিবন্ধন চাওয়া হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে নিবন্ধন ফি কত হবে। তবে প্রথমেই পণ্য ও সেবার আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী আপনার পণ্য কোন শ্রেণীভুক্ত তা আবেদনে লিখতে হবে। আন্তর্জাতিক নাইস (ঘওঈঊ) অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী পণ্যের শ্রেণী জেনে নিতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার পর পরীক্ষা করে দেখা হয়। আবেদন ত্রুটিপূর্ণ বা আপত্তিকর হলে লিখিত জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনি জবাব প্রদান এবং শুনানির সুযোগ পাবেন। জবাব সন্তোষজনক না হলে আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে। আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলেও আবেদনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। আবেদনের বিষয়ে কোনো আপত্তি না থাকলে বা আপত্তির ক্ষেত্রে প্রদত্ত জবাব সন্তোষজনক হলে আবেদনটি জার্নালে প্রকাশের সিদ্ধান্ত হবে। আপনাকে তখন জার্নাল ফি জমা দিতে বলা হবে।
আবেদনের বিরোধিতা
জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আবেদনটির বিরোধিতা করতে পারেন। বিরোধিতা হলে একটি বিরোধিতার মামলা হবে। মামলার ফলাফল নিবন্ধন আবেদনকারীর বিপক্ষে গেলে নিবন্ধনের আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হবে। এবং ফলাফল নিবন্ধন আবেদনকারীর পক্ষে হলে নিবন্ধন প্রদানের লক্ষ্যে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
যেসব মার্ক নিবন্ধন করা যাবে না
২০(৩) ধারা মোতাবেক ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের তারিখ হতে ১ বছরের মধ্যে এটা নিস্পত্তি করতে হবে।
একটি ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী:
একটি ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী ট্রেডমার্ক াাইন,২০০৯ এর ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো নি¤œরুপ:
১)নি¤œ বর্ণিত বিষয়াদিও অন্তত একটি বিবরণ আবশ্যিকভাবে অন্তভূক্ত করতে হবে:
ক)বিশেষ বা নির্দিষ্ট পন্থায় প্রদশিৃত প্রতিনিধিত্বকারী কোম্পানী অথবা ব্যক্তি বিশেষ বা ফার্মেও নাম;
খ) নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী বা তার ব্যবসাযের কোন পুবৃসূররি স্বাক্ষর;
গ) এক বা একাধিক উদ্ভাবিত শব্দ;
ঘ) পন্র বা সেবার বৈশিষ্ট্য বা গুনাগুনের সহিত প্রত্রক্ষ সম্পর্কবিহীন এক বা একাধিক শব্দ যা সাধারণ অর্থে কোন ভৌগোলিক স্থান,বংশ বা ব্যক্তির নাম বা এসকল নামের শব্দ সংক্ষেপ বা বাংলাদেশের কোন সম্প্রদায় গোত্র বা উপজাতির নাম নয;
ঙ) অন্য কোন স্বাতন্ত্র্যসূচক মার্ক।
২) উপরে বর্ণিত ক,খ,গ,ঘ,এর অন্তভ’ক্ত নয এরুপ কোন না,স্বাক্ষর বা শব্দ যদি তার স্বাতন্ত্র্যসূচক মার্কেও প্রমানবহ না হয় তাহলে তা নিবন্ধিত হবে না।
৩)এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন পন্য বা সেবার সহিত সম্পর্কিত ট্রেডমার্কেও স্বাতন্ত্র সূচক মার্ক অর্থ স্বত্বাধিকাররি পন্য বা ক্ষেত্রমত,সেবাকে অনুরুপ ব্যবসায় একই জাতীয় পন্য বা সেবা হতে পার্থক্য সূচতি করে ,যা সাধারণভাবে বা যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেডমার্ক, সীমাবদ্ধতাসহ নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তার সাথে সম্পর্কিত নয়, এমন ট্রেডমার্ক।

ট্রেড মার্কের প্রেক্ষিতে প্রতারণামূলক সাদৃশ্য(উবপবঢ়ঃরাব ংরসরষধৎরঃু)এবং স্বাতন্ত্রতা(উরংঃরহপঃরাবহবংং) বিশদভাবে আলোচনা কর:
ট্রেডমার্ক আইন ,২০০৯ আইনটি দুইটি মৌলিক ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত।একটি হইল স্বাতন্ত্রসূচক (উরংঃরহপঃরাবহবংং) এবং অপরটি হইলপ্রতারণামূলক/বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্য (উবপবঢ়ঃরাব ংরসরষধৎরঃু)।
স্বাতন্ত্রতা(উরংঃরহপঃরাবহবংং) :
একই জাতীয় পন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উৎপাদন এবং ভোক্তাদের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের পণ্যের গায়ে দেওয়া ট্রেডমার্ক আলাদা থাকে। ট্রেডমার্কের প্রধান কাজই হচ্ছে এক প্রতিষ্ঠানের পন্যকে অন্য প্রতিষ্ঠানের পন্য হতে পৃথক হিসেবে প্রকাশ করা।এই পৃথকীকরণের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ট্রেডমার্কের স্বতন্ত্রতা। একটি ট্রেডমার্কের পৃথকীকরণের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে এর স্বতন্ত্রতা। স্বতন্ত্রতা বর্ণনা করা হয়েছে ৮ ধারায়।এ বৈশিষ্ট্য মূলত নি¤েœাক্ত দুটি শর্তের ওপর নির্ভশীল:
প্রথমত: ট্রেডমার্কটি এমন হবে যেন মার্কটির বা মার্ক সংবলিত পণ্যটিকে অন্য প্রতিষ্ঠানের মার্ক বা মার্ক সংবলিত পন্য হতে আলাদা করা যায়।
দ্বিতীয়ত: যে পন্যের জন্য ট্রেডমার্কটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেই পন্যে প্রকৃতি ও গুনাগুন হতে মার্কটির কোন সম্পর্ক থাকবে না অর্থাৎ মার্কটি যে পন্যের সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই পন্যের প্রকৃতি ও গুনাগুন নির্দেশ করবে না বা পন্যটির বর্ণনামূলক হবে না। যেমন-
 উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় কফির প্যাকেটের উপর যদি কফির ছবি দেওয়া হয় তাহলে উক্তমার্ক কফির সাথে সম্পূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে যাবে। সুতরাং তা উরংঃরহপঃরাবহবংং এর হবে না। যদি কফির প্যাকেটের উপর সূর্য এঁকে দিয়ে বলা হয় সূর্যমার্ক তবে তা স্বতন্ত্রতার বৈশিষ্ট্য বহন করে, কেননা সূর্য ও কফি দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বস্তু। 
বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্য (উবপবঢ়ঃরাব ংরসরষধৎরঃু):
একটি ট্রেডমার্কের সাথে অন্য একটি ট্রেডমার্কের এমনই সাদৃশ্যপূর্ণ হয় যে মনোযোগ সহকারে না দেখলে বা না শুনলে পার্থক্য ধরাই যায় না,সে ক্ষেত্রে তাকে বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্যপূর্ণ বলা হয়।

 যেমন -এক প্রতিষ্ঠানের নারকেল তেলের ট্রেডমার্ক হচ্ছে বামদিকে মাথা ঘুরানো অবস্থায় লম্ফনরত হরিণ। অন্য এক প্রতিষ্ঠানের নারকেল তেলের ট্রেডমার্ক হচ্ছে ডানদিকে মাথা ঘুরানো অবস্থায় লম্ফনরত হরিণ। ভোক্তা সাধারণ নিশ্চয়ই হরিণের মাথা বামদিকে ঘুরানো না ডানদিকে ঘুরানো তা লক্ষ করে না। তাই এ দুটোর মধ্যে বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্য রয়েছে।
ট্রেডমার্ক আইনে পণ্যের ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত হযে থাকে।একটি ট্রেড মার্কেও স্বতন্ত্রতা যদি না থাকে এবং অন্য ট্রেডমার্কের সাথে তাহা ুবভ্রান্তিমূলক হয় তাহলে তা ট্রেডমার্ক আইনর ১০ ধারায়নুসারে নিবন্ধিত হবে না।

একটি ট্রেডমার্ক যদি অপর কোন ট্রেডমার্কের সাথে এমন সাদৃশ্য থাকে যাতে ভোক্তা সাধারণের জন্য প্রতারণা বা বিভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকে তাহলে ট্রেডমার্কটি বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্যপূর্ণ বলা যায়। অপর কোন প্রচলিত ট্রেডমার্কের সাথে যদি বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্যপূর্ণ হয় তাহলে সেই মার্কটি ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত করা যাবে না। এরুপ বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্য চেহারার মধ্যে হতে পারে যা চোখে দৃশ্যমান হয়,শব্দের মধ্যে হতে পারে যা কানে শ্রুত হয় এবং শব্দের অর্থের মধ্যে হতে পারে যা শব্দের ব্যাখ্যা দ্বারা বোধগম্য হয়। যেমন- একটি ঘোড়ার মাথা ছবি একটি ট্রেডমার্ক আছে। এমতাবস্থায় আরেকটি পণ্যের ওপর ঘোড়ার মাথা লিখে ট্রেডনাম হিসেবে নিবন্ধন করা যাবে না, কারণ এটা বিভ্রান্তিকর।
বিভিন্ন মামলায় নি¤েœাক্তগুলো বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্যপূর্ণ হিসেবে গৃহীত হয়েছে:
এষাঁরঃধ ধহফ এষঁপড়ারঃধ-অওজ ১৯৬০ ঝঈ ১৪২
ঐবধঃযবৎ ঋৎবংয ধহফ ঊাবৎভৎবংয-১৯৭২ জচঈ ৭৯৯
ইঁষবৎ ধহফ ইঁষড়াধ ১৯৬৬ জচঈ ১৪১
একই অর্থ বহন করে হেতু ডধঃবৎ গধঃরপ ধহফ অয়ঁধসধঃরপ সাদৃশ্যপূর্ণ   -১৯৫৮ জচঈ ৩৮৭
অঁংঃধ ধহফ জুংঃধ শব্দ দুটি প্রায় একই শোনায় বিধায় তা বিভ্রান্তি কর(১৯৪৩) ৬০ জচঈ ৩৭
একটি ট্রেডমার্কের বিভ্রান্তির সম্ভবনা পরীক্ষা করার জন্য আদালত সর্বক্ষেত্রেই যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তা হচ্ছে- একটি মার্ক স্বাভাবিক অবস্থায় একজন ক্রেতা যখন পণ্যটি কিনে তখন ঐ মার্কটি তার মনে কতখানি মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া ও মানসিক সংযোগ সুষ্টি করবে তা অনুধাবন করা।

কোন কোন মার্কসগুলো নিবন্ধনযোগ্য নয়:
কোন কোন মার্ক একটি ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধন করা যাবে না তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ট্রেডমার্ক আইনের ৮ ধারায় এখানে বলা হয়েছে যে, কোন মার্ক বা মার্কের অংশ বিশেষ ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হবে না, যদি-
ক) কুৎসামূলক বা দৃষ্টিকটু মার্ক;
খ) বিদ্যমান কোনো আইনের পরিপন্থী মার্ক,
গ) প্রতারণামূলক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী মার্ক,
ঘ) সাদৃশ্যপূণ মার্ক,
ঙ) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করতে পারে এমন মার্ক;
চ) কোন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা বা অফিসের নাম, মনোগ্রাম, মানচিত্র, পতাকা, জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো মার্ক,
ছ) রাসায়নিক পণ্য প্রভৃতি মার্কের জন্য আবেদন করা যাবে না।
এছাড়াও ১০ ধারার বিধান মতে সাদৃশ্যপূর্ণ বা বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্যপূর্ণ মার্ক ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধন করা যাবে না।
কোন কোন কর্ম ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে না:
ট্রেডমার্কস লংঘন(ওহভৎরহমসবহঃ):
প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের 'ট্রেডমার্ক নিবন্ধন শাখা'য় কোনো ব্যবসায়ী তার ট্রেডমার্কটির নিবন্ধন নিতে পারেন। এভাবে নিবন্ধন করার পর যদি ওই ট্রেডমার্কটি অন্য কোনো ব্যবসায়ী অনুমোদনহীনভাবে ব্যবহার করে তাকে ট্রেডমার্ক ওহভৎরহমসবহঃ বলে।
২০০৯ সালের ট্রেডমার্ক এ্যাক্ট এর ২৬ ধারায় ট্রেডমার্ক লংঘন এর আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারী বা নিবন্ধিত ব্যবহারকারী না হওয়া স্বত্বেও কোন পন্য বা সেবার ক্ষেত্রে নিজ ব্যবসায় স্বতন্ত্র বা প্রতারণামুলভাবে সাদৃশ্য পূর্ণ কোন ট্রেডমার্ক ব্যবহার করলে তিনি নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক লংঘন করেছেন বলে গণ্য হবেন।
সে ক্ষেত্রে ট্রেডমার্কটির মালিক লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি দু'ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। আগে নিবন্ধিত কোনো ট্রেডমার্কের সঙ্গে যদি আবেদনকারীর ট্রেডমার্কের মিল থাকে, যা গ্রাহককে প্রতারিত করতে পারে, সে ক্ষেত্রে পরবর্তী আবেদনকারীর ট্রেডমার্কের নিবন্ধন দেয়া হবে না। যেমন 'বাটা' নামটি নিবন্ধিত থাকার পর 'রাটা' নামে অন্য কেউ ট্রেডমার্কের নিবন্ধন পাবে না, যেহেতু 'রাটা' নামটি গ্রাহকদের প্রতারিত করতে পারে। শুরুতে ৭ বছরের জন্য ট্রেডমার্কের নিবন্ধন দেয়া হয় এবং এ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে আবার ১০ বছর করে সময়ের জন্য ট্রেডমার্কটি নবায়ন করা যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর এক বছরের মধ্যে নবায়ন করতে হয়।
কোন কোন কাজ লংঘনের পর্যায়ে পড়ে না:
কোনো কোনো কার্যাবলী নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন হয় না তা ট্রেডমার্ক আইনের ২৭ ধারায় বিবৃত হয়েছে। এগুলো নি¤œরুপ:
১) কোনো শর্তসাপেক্ষে ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত হলে, এমন কোন স্থান বা পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রয় বা সেবা প্রদান করা যাতে উক্তরুপ শর্ত বা সীমাবদ্ধতা প্রযোজ্য হয় না।
২) ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী বা নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবার ব্যবসায় সম্পর্কিত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো পণ্য বা সেবা প্রদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে এবং এরই আওতার মধ্যে থেকে উক্তরুপে ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা।
৩) ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের ফলে অর্জিত অধিকার লঙ্ঘন না করে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক এমন কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে উক্ত ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা।
৪) অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এরুপ দুই বা ততোধিক অভিন্ন বা সাদৃশ্যপূর্ণ নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের ক্ষেত্রে ,যে কোন একটি ব্যবহার করা।
৫) যে ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের স্বত্বধিকারী অন্যের নিকট তার অধিকার হস্তান্তর করে, সেক্ষেত্রে উক্ত অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার মাধ্যমে দাবিদার ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত পণ্য বিক্রয় বা সেবা প্রদান করলে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘিত হবে না।

ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের প্রতিকার সমূহ কী কী:
ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের জন্য দেওয়ানি প্রতিকার, ফৌজদারি প্রতিকার ও প্রশাসনিক প্রতিকার আছে। এগুলো যুগপৎভাবে চলতে পারে বা স্বতন্ত্রভাবেও পাওয়া যেতে পারে।
দেওয়ানী প্রতিকার:
দেওয়ানী প্রতিকারের জন্য জেলা জজের অধ:স্তন কোনো আদালতে মামলা দাযের করা যাবে না। অর্থাৎ জেলা জজ আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগে মামলা দাযের করা যাবে [ধারা-৯৬]।
নি¤েœাক্ত কারণে এ আদালতে মামলা করা যাবে:
ক) কোনো নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন
খ) নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সংশ্লিষ্ট কোনো অধিকার;
গ) নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সংশোধিত কোনো অধিকার এবং
ঘ) সাদৃশ্যপূর্ণ বা প্রতারণামূলকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন ট্রেডমার্ক।
৯৭    ধারায বলা হয়েছে এগুলো প্রতিকার নি¤œরুপ:
১) নিষেধাজ্ঞা
২) আর্থিক ক্ষতিপূরণ
৩) মুনাফার অংশ প্রদান
এছাড়া ব্যবহৃত লেবেল ও মার্কসমুহ বিনষ্ট করার মাধ্যমেও দেওয়া যায়।
ফৌজদারি প্রতিকার:
মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা ট্রেড বর্ণনাযুক্ত পণ্য বিক্রয়ের জন্য ৭৪ ধারা অনুযায়ী ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার হতে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দন্ডে দন্ডিত করা যাবে। দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ে একই দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে  ১ বছর হতে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা ১ লক্ষ হতে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয দন্ডে দন্ডিত করা যাবে। তবে এরুপ শাস্তি হতে অব্যাহতি পেতে পারেন যদি তিনি প্রমান করতে পারেন যে, তিনি যুক্তিসংগত সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন কিংবা তিনি উক্ত পন্য যার নিকট হতে লাভ করেছিলেন তার সম্পর্কে অভিযোগকারীকে অবহিত করেছিলেন; অথবা তিনি সরল বিশ্বাসে কাজ করেছেন।
৮৩ ধারার বিধান মতে একমাত্র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্টেট আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার করবেন। ৮৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, অপরাধ সংঘটিত হবার ৩ বছরের মধ্যে অথবা বাদী কর্তৃক তথ্য উদ্ঘাটিত হবার ২ বছরের মধ্যে প্রথমে যা ঘটে, অভিযোগ করতে হবে।
প্রশাসনিক প্রতিকার:
কোনো নকল ট্রেডমার্ক বা প্রশাসনিক কোনো সমস্যার বিষয়ে নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী নিবন্ধকের নিকট প্রতিকারের জন্য আবেদন করতে পারেন। ৯১ ধারায় নিবন্ধকের কার্যপদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। পক্ষগনকে শুনানির সুযোগ দিয়ে, সাক্ষীদের শপথ গ্রহনপূর্বক সাক্ষ্য গ্রহন করে নিবন্ধক যেরুপ যুক্তিসংগত বিবেচনা করবেন, সেরুপ আদেশ প্রদান করতে পারবেন এবং উক্তরুপ আদেশ দেওয়ানি আদালত ডিক্রীর ন্যায় কার্যকর হবে। [ধারা-৯১(৪)]।
আপীল:
ভিন্নরুপ কোনো বিধান না থাকলে এ আইনের অধীনে নিবন্ধক কোনো আদেশ বা সিন্ধান্ত প্রদান করলে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ব্যক্তি হাইকোর্টে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপীল করতে পারবেন [ধারা-১০০(৪)]।এ ক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে।
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ অনুযায়ী কোনো নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করলে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের জন্য মামলা করা যাবে। আর যদি কোনো অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করা হয় তাহলে পাসিং অফের (অন্যের পণ্য নিজের নামে চালানো) মামলা করা যাবে। এসব মামলা করতে হয় জেলা জজ আদালতে। এ ছাড়া মিথ্যা ট্রেডমার্ক ব্যবহারের জন্য প্রথম শ্রেণীর বিচারিক হাকিম বা মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে। দায়ী ব্যক্তির সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত জেল বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।




ট্রেডমাক লংঘন ও পাসিংঅফ এর মধ্যে পার্থক্য:
ক্র:নং    পার্থক্যের বিষয়    ট্রেডমার্ক লংঘন    পাসিংঅফ

১    সংজ্ঞাগত পার্থক্য    যখন কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক অন্য কোনো ব্যবসায়ী অনুমোদনহীনভাবে ব্যবহার করে তখন তাকে ট্রেডমার্ক ওহভৎরহমসবহঃ বলে।
    সাধারণত একজনের উৎপাদিত পণ্য অপরের নামে চালানোর প্রচেষ্টাকে ব্যবসায়িক মহলে পাশিংঅফ বলে।
২    নিবন্ধন    ট্রেডমার্ক আইনে পণ্যের ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হবার পর এতে এর স্বত্বাধিকারীর বৈধ অধিকার জন্মে। তাই নিবন্ধন না হলে ট্রেডমার্ক লংঘনের মামলা করা যায় না।    পণ্যের মার্ক দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার হওয়ায় এ সম্পর্কে যে গুডউইলের সৃষ্টি হয় তার উপর ভিত্তি করে মামলা করা যায়,নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজন হয় না।
৩    উদ্ভব    একটি ট্রেডমাক রেজিষ্ট্রেশনের প্রেক্ষিতে ওহভৎরহমসবহঃ এর উদ্ভব হবে এবং ওহভৎরহমসবহঃ এর মার্ক লংঘনের মামলা শুরু হবে।    একটি অনিবন্ধিত মার্কের সুনাম ব্যবহারের মাধ্যমে পাসিংঅফ এর উদ্ভব হয়।
৪    নির্দিষ্ট মার্ক    বিবাদীকে বাদীর রেজিষ্ট্রিকৃত সমশ্রেণীর পন্যের গায়ে নির্দিষ্টকৃত চিহ্নিত মার্ক ব্যবহার করতে হবে (একই শ্রেণীর পন্যের একই মার্ক)।    পন্যের সাদৃশ্যতা প্রাসঙ্গিক নয় বরং প্রকৃতিগতভাবে একই পন্য হলেই চলবে।

৫    প্রতিকার    ওহভৎরহমসবহঃ একটি বিধিবদ্ধ প্রতিকার।    পাসিংঅফ একটি কমন ’ল’ প্রতিকার।
৬    নির্দিষ্ট পন্য    ট্রেডমার্ক লংঘন শুধু পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।    কিন্তু পাসিং অফ ব্যসায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়,তা লাভজনক হোক বা অলাভজনক হোক। এছাড়া পেশা ও সেবার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৭    আর্থিক ক্ষতি    কোন ট্রেডমার্ক লংঘনের ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি বিবেচ্য বিষয় নয়।    প্রকৃত আর্থিক ক্ষতি অথবা সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি অবশ্যই সুনামের প্রেক্ষিতে বিবেচ্য বিষয়।
   
৮    নির্ভরশীল    ওহভৎরহমসবহঃ একটি বিধিবদ্ধ অধিকার লংঘন এর উপর নির্ভরশীল।    পক্ষান্তরে পাসিংঅফ কমন’ল’ এর অধিকার লংঘনের উপর নির্ভশীল।
৯    ক্ষতি    এর ক্ষেত্রে বিবাদীর মার্ক ব্যবহার দ্বারা বাদীর কোন ক্ষতি হওয়ার প্রয়োজন নেই।     পাাসিং অফ এর ক্ষেত্রে  বিবাদীর মার্ক ব্যবহার দ্বারা অবশ্যই বাদীর সুনাম ক্ষুন্ন বা ক্ষতি হতে হবে।
১০    উভয় প্রেক্ষিতে    ট্রেডমার্ক লংঘন করা হলে তা পাশিংঅফ নাও হতে পারে;    কিন্তু পাশিং অফ হলে তা ট্রেডমার্ক লংঘন হতে পারে।
১১    প্রমান    ট্রেডমার্ক লংঘনের ক্ষেত্রে প্রমান করা সহজ এবং ক্ষতিপূরণ সীমাবদ্ধ।     কিন্তু পাসিং অফের ক্ষেত্রে প্রমান সহজবোধ্য নয় এবং ক্ষতিপূণ অসীম।


পাসিং অফের মামলায়  আতœপক্ষ সমর্থনের জন্য বাদীকে কি কি বিষয় প্রমান করতে হবে এবং তার আতœপক্ষ সমর্থনের বিষয কী    :               
ভূমিকা:
পন্য উৎপাদনকারীরা তাদের উৎপাদিত পন্যকে চিহ্নিত কারার জন্য প্রথমেই ট্রেডমার্ক দিয়ে থাকে এবং ট্রেডমার্ক আইনের অধীনে তা রেজিষ্ট্রি করে থাকে যাতে অন্য কোন উৎপাদনকারী অনুরুপ চিহ্ন ব্যবহার করতে না পারে। একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ির কারবারে অর্জিত সুনামকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে অন্য কোন ব্যবসায়ী যেন কারবারে অভিপ্রেত আর্থিক ফায়দা লুটতে না পারে তার জন্য প্রণীত অনেক বিধিবদ্ধ আইন রয়েছে। আর এই আইন পণ্যের সুনাম ভোগ করার অধিকার শুধুমাত্র উৎপাদিত পন্যের। অনুরুপ বৈশিষ্ট্যে বা চেহারার পন্য অন্য কোন উৎপাদনকারী কর্তৃক বাজারে বিক্রি করা পাসিং অফ কারণ এক্ষেত্রে ক্রেতা সাধারণ ঐ পন্যকে পূর্বোক্ত উৎপাদনকারীর পন্য বলে মনে করে।
পাসিং অফ:
সাধারণত একজনের উৎপাদিত পন্য অপরের নামে চালোনোর প্রচেষ্টাকে ব্যবসায় মহলে পাসিং অফ বলা হয়।
চধংংরহম ড়ভভ রং ধ পড়সসড়হ ষধি ঃড়ৎঃ যিরপয পধহ নব ঁংবফ ঃড় বহভড়ৎপব ঁহৎবমরংঃবৎফ ঃৎধফব সধৎশং ৎরমযঃ.
ঞড়ৎঃ ড়ভ ঢ়ধংংরহম ড়ভভ ঢ়ৎড়ঃবপঃং ঃযব মড়ড়ফরিষষ ড়ভ ধ ঃৎধফবৎ ভৎড়স ধ সরংং ৎবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ ঃযধঃ পধঁংবং ফধসধমব ঃড় মড়ড়ফরিষষ.
এক্ষেত্রে পন্য সম্পর্কে এমন মিথ্যা প্রকাশনা করা হয় যে,ক্রেতা মহলে একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং প্রচারকারী অনভিপ্রেত আর্থিক ফায়দা লুটে। পাসিংঅফ মামলায় দেখা যায় যে, প্রতিযোগী কোন ব্যবসায়ীর কারবারের অর্জিত সুনামকে বিবাদী নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার অপকৌশল অবলম্বন করে। যার ফলে বাদী যে পন্যের প্রতি মালিকানা স্বত্ব অর্জন করেছে তাতে বিবাদীর কার্যকলাপে অহেতুক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
কোন পন্য যদি এমন বর্ননায় বা নামে বিক্রি হয়, যা হতে ক্রেতা সাধারণ সহজেই এর উৎপাদনকারী ,যে ক্রেতা সাধারণের নিকট সুপচিত তা বুঝতে পারে তবে এরুপ ক্ষেত্রে উক্ত নামে বা বর্ণনায় অন্য কোন পন্য বিক্রি হলে তা পাসিং অফ হবে। যেহেতু পাসিং অফ এর দ্বারা ক্রেতা সাধারণ প্রতারিত হয় বা প্রতারিত হবার আশংকা থাকে, সেহেতু বাদী এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার পাবে। আর পাসিং অফ মামলা প্রতিষ্ঠিত করতে বাদীকে অবশ্যই কারবারে লোকসান প্রমান করতে হবে। অন্যথায় পাসিং অফ হবে না।
প্রতিযোগী কোন ব্যবসায়ীর কারবারের অর্জিত সুনামকে বিবাদী নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার অপকৌশর অবলম্বন করে।
অনিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘনকে আইনের ভাষায় বলা হয় 'পাসিং অফ'।
পাসিং অফ মামলায় আতœপক্ষ সমর্থনের জন্য বাদীকে কি কি বিষয় প্রমান করতে হবে:
অনিবন্ধিত ট্রেডমার্কের জন্য সুরক্ষা চাইলে বাদীকে তিনটি বিষয় আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে-
১. বাদীর ব্যবসায়িক সুনাম রয়েছে,
২. তার ব্যবসায়িক সুনাম বিবাদী অপব্যবহার করেছে,
৩. এই অপব্যবহারের মধ্য দিয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
পাসিং অফ প্রমানে যা প্রমান করতে হবে:
পাসিংঅফ সংঘটনের ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি উত্থাপিত হয় তা হলো বিবাদীর পন্য ক্রেতা সাধারণ কি বাদীর পন্য মনে করে ক্রয় করেছেন কিনা? যদি তাই মনে করে তবে নি:সন্দেহে পাসিং অফ। এরুপ পাসিংঅফ  প্রমানে বাদীকে নি¤েœ উল্লেখিত বিষয় প্রমান করতে হবে।
১) প্রত্যক্ষ মিথ্যা বিবরণ: কোন পন্য বিবাদী মিথ্যা বলে নিজের পন্য বলে বিক্রয় করলে তা অন্যায় এবং প্রতিকার যোগ্য।
২) পুরানো পন্য নতুন বলে বিক্রি:বিবাদী যে ক্ষেত্রে পুরানো পন্য নতুন বলে বিক্রি করে বা বিক্রি করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে বাদী পাসিংঅফ এর প্রতিকার পেতে পারে।
৩) বহিরাকৃতি অনুকরণ
৪) ট্রেডমার্কের অবৈধ ব্যবহার
৫) মিথ্যা বিজ্ঞাপন
৬) অর্থিক ক্ষতি বা কারবারের সুনাম ক্ষুন্ন।
পাসিং অফ মামলা প্রতিষ্ঠিত করতে বাদীর কারবারে লোকসান প্রমান করতে হবে। ডে বনাম ব্রাউনরিগ ১৮৭৮ মামলায় বাদী ও বিবাদী পাশাপাশি বাসায় বসবাস করতেন। বিবাদী তার বাসার নাম পরিবর্তন করে বাদীর অনুরুপ রাখেন। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতো বটে কিন্ত বাদীর কোন অর্থিক ক্ষতি হতো না বিধায় একে পাসিংঅফ বলা হযনি। বাদী ও বিবাদী একই পেশায় নিয়োজিত না থাকলে বাদীর ক্ষতির কোন আশঙ্কা থাকে না বলে আদালত অভিমত প্রকাশ করেন।
আতœপক্ষ সমর্থন:
বাদীর সম্মতি বা বাদীর ক্রটির ফলে পাসিং অফ সংঘটিত হলে বিবাদী দায়মুক্ত হতে পারে।
পাসিং অফ এর প্রতিকার:
পাসিং অফ সংঘটিত হলে কমন ’ল’ এর লংঘন বলে বিবেচিত হয় এবং উক্ত লংঘনের জন্য কমন’ল’ নির্ধারিত প্রতিকার যা আদালতের অর্ন্তনিহিত ক্ষমতা বলে প্রদান করা হয়। প্রতিকার সমূহ নি¤œরুপ:
১) বিবাদীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরণ
২) বিবাদীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
৩) অথবা উভয় প্রকার প্রতিকার দেয়া হয়।

ট্রেডমার্ক লংঘনের প্রতিকার:ধারা ৯৭
অত্র আইনের ৯৬ ধারায় বর্ণিত ট্রেডমার্ক লংঘন সংক্রান্ত মামলায় আদালত প্রতিকার হিসাবে নিষেধাজ্ঞা এবং বাদীর অভিপ্রায় অনুসারে ক্ষতিপুরণ বা মুনাফার অংশ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন এবং লংঘন কাজে ব্যবহৃত লেভেল ও মার্ক সমূহ বিনষ্ট করতে পারে মুছিয়া ফেলতে পারে। প্রতিকার সমুহ নি¤œরুপ-
১) ক্ষতিপূরণ
২) বন্ধ চাইতে পারে
৩) মুনাফার অংশ চাইতে পারে
৪) এনটোল পিলার(অহঃড়হ চরষষবৎ) /তাৎক্ষনিকভাবে কার্যসামগ্রী আটকানো
৫) জেল বা শাস্তি ইত্যাদি রেমিডি বা প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে।

           
ঋঁহপঃরড়হ ড়ভ ঞৎধফবসধৎশ:
১) উরংঃরহমঁরংয ড়হব’ং মড়ড়ফং ঃযড়ংব ড়ভ ধহড়ঃযবৎ
২) ওহফরপধঃব ঃযব ড়ৎরমরহ
৩) এঁধৎধহঃবব ছঁধষরঃু
৪) অফাবৎঃরংরহম
১৯৪০ সালে বাংলাদেশে ট্রেডমার্ক এ্যাক্ট পাশ হয়। এই আইনটি বৃটিশ দের দ্বারা গঠিত হয়েছিল। বতমানে এই আইনটি রহিত করে ট্রেডমাক আইন ২০০৯ পাশ হয়। ট্রেডমাক এক ধরনের চিহ্ন বা প্রতীক, যা কোন ব্যক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে পন্যের সাথে মালিকের সম্পর্ক নির্দেশ করে। যার ফরে ঐ চিহ্ন বা প্রতীক সকলের সামনে পন্যটিকে পরিচিত করে তোলে। ট্রেডমার্কের কমন ল সংজ্ঞায় ১৮৮৪ সালে লর্ড ওয়েটবউরি একটা দেশের রাযে উল্লেখ করেন, ট্রেডমার্ক হল কোন একটি নির্দিষ্ট প্রতীক বা চিহ্ন, যার দ্বারা বুঝানো হয যে, উক্ত জিনিস কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির।
সুতরাং, ট্রেডমার্কের উদ্দেশ্য হলো মৌলিক কর্মের মালিকের অধিকার সংরক্ষন করা। এছাড়া ট্রেডমার্কের মেয়াদকাল নির্ধারণ ও সংরক্ষন করা।
উবপবঢ়ঃরাব ঝরসরষধৎরঃু নির্ণয় করার জন্য কিছু চৎরহপরঢ়ষবং:
১) কোটকে ড়াবৎ ধষষ ংরসরষধঃৎরঃু দেখতে হবে।
২) একজন সাধারণ বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের প্রাথমিক ধারণাটি এক্ষেত্রে বিবেচনায় নিতে হবে।
৩) ট্রেডমাকটির সার্বিক কাঠামো উচ্চরণগত সাদৃশ্য বিবেচনায় নিতে হবে।
৪) ২টি ট্রেডমার্কের সার্বিক বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
ঋধপঃড়ৎং
১) মার্কের প্রকৃতি/বৈশিষ্ট্য/ধরণ
২) কোন পন্যের গায়ে কোনটি ব্যবহৃত হয়েছে।
৩)  প্রতিযোগী পন্যের প্রকৃতি /ধরণ /বৈশিষ্ট্য এবং কাযসম্পাদন সম্পর্কিত সাদৃশ্যটি বিবেচনায় নিতে।
৪) বিভিন্ন ধরণের ক্রেতাকে বিবেচনায় নিতে হবে এবং তাদের পন্য ক্রয়ের ধরণ অথবা ক্রয়াদেশের ধরণ বিবেচনা নিতে হবে।
৫) অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিবেচনায় নিতে হবে।



কপিরাইট


প্রশ্ন ১
ক) কপিরাইট এর সংজ্ঞা দাও। কোন কোন কাজে কপিরাইট বিদ্যমান থাকে? কপিরাইট অর্জনের জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে? কীভাবে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা যায়? কপিরাইট অ্যাক্ট,২০০০ এর অধীন কিভাবে লাইসেন্স পাওয়া যায়? কখন ও কী অবস্থায় বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান করা যায়? কপিরাইট এবং প্রতিবেশী রাইটের মধ্যে পার্থক্য কী? বিভিন্ন কপিরাইটে উহার মেয়াদ বর্ণনা কর। কপিরাইট লংঘন ও পাইরেসি কী? কখন কীভাবে ইহা সংঘটিত হয? লংঘনের ব্যতিক্রম সমূহ আলোচনা কর। কপিরাইট লংঘনের প্রতিকারসমূহ বিস্তারিত আলোচনা কর। কপিরাইট আইন,২০০০ এ বর্ণিত আপীলের বিধান বর্ণনা কর।
খ) ক,খ একটি প্রকাশিত বইয়ের যৌথ লেখকও মালিক। ক ৩০ জুন,২০১৪ তারিখে এবং খ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মারা যায়। উক্ত বইয়ের কপিরাইটের মেয়াদ কখন শেষ হবে?আলোচনা কর।
ক)
কপিরাইট:
ঈড়ঢ়ুৎরমযঃ একটি ইংরেজী শব্দ। পূর্বে কপিরাইট বলতে সীমিত অর্থে শুধুমাত্র গ্রন্থস্বত্ব বা গ্রন্থকারের অধিকারকেই নির্দেশ করতে। বর্তমানে কপিরাই বিস্তৃত অর্থে ব্যবহৃত হয।
কপিরাইট হচ্ছে একগুচ্ছ স্বত্ব বা অধিকার। সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম,সংগীত কর্ম,চলচ্ছিত্র কর্ম, ব্রডকাস্ট এবং রেকডিং-এর ক্ষেত্রে কপিরাইট প্রসারিত। কপিরাইটের যিনি মালিক তিনিই এই অধিকারগুচ্ছ স্বত্ববান,আর কেই নয়। এই অধিকার ভঙ্গ করে যদি কেউ অন্যের কোন কর্ম প্রকাশ করে বা জনসাধারণকে দেখায় বা শুনায় বা তান কল করে তাহলে সেই অধিকার ভঙ্গকারী ব্যক্তি  কপিরাইট লংঘনের দায়ে দায়ী হবে এবং তার বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী প্রতিকার পাওয়া যায়।
কপিরাইট সংরক্ষনের জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে কপিরাইট রেজিষ্ট্রি করা। যদিও রেজিষ্ট্রেশন ঐচ্ছিক,তথাপি আইনগত প্রতিকার পাবার জন্য এটা একটা পূর্বশর্ত।
কপিরাইট যা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বলে গণ্য ,তা অন্যান্য অস্থাবর সম্পত্তি মতই হস্তান্তরযোগ্য। রচয়িতা বা ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি এটা হস্তান্তর করতে পারে। অথবা পুন:উৎপাদন,অনুবাদ,অভিযোজন এবং জ্ঞাপন অধিকার রেখে কেবল মাত্র একটি ক্ষেত্রে ব্যবহারের অধিকার হস্তান্তর করতে পারে। অধিকার প্রাপ্ত ব্যক্তি মালিকের মতোই অধিকার প্রাপ্ত হয়।
কপিরাইট মূলত দুটি শব্দের সম্মিলন। কপি এবং রাইট।
কপি অর্থ নকল বা প্রতিলিপি বা অনুলিপি বা অনুকৃতি বা অনুকরণ বা অনুসৃতি ইত্যাদি। আর রাইট হচ্ছে অধিকার বা স্বত্ব বা সত্য বা ন্যায় ইত্যাদি। সহজ ভাষায় বলতে পারি, কপিরাইট হচ্ছে নকল করার অধিকার বা নকলাধিকার।
যিনি নতুন কিছু সৃষ্টি করেন, তিনি তাঁর সেই সৃষ্টি অন্যকে জানাতে চান বা অন্যকে ব্যবহার করতে দিতে চান। তখন সেই সৃষ্টিকর্মের আরো অনুলিপি বা নকল বা কপি প্রয়োজন হয়। এই ধরনের কপি বা অনুলিপি বা নকল করার অধিকার রাখেন কেবল সেই সৃষ্টিকর্মের ¯্রষ্টা। আর রাখেন তিনি, যাকে সেই শিল্প¯্রষ্টা বৈধ অনুমতি দিয়েছেন। আমাদের দেশে গ্রন্থের ক্ষেত্রেই এই ধারণাটি সমধিক প্রচলিত। বাংলায় কপিরাইটের বহুল প্রচলিত পারিভাষিক অর্থ করা হয়েছে ‘মেধাস্বত্ব’।
মেধা সম্পদের সুরক্ষা অর্থাৎ কর্মে স্বত্বের অধিকারের নাম কপিরাইট। বিভিন্ন ধরণের সৃষ্টিশীল কর্ম যেমন সাহিত্য, শিল্পকর্ম, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, চারুকর্ম, সফটওয়্যারও ওয়েবসাইট সংক্রান্ত কর্ম,রেকডকর্ম,অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট,বেতার টেলিভিশন তথা মিডিয়া সম্প্রচার, ক্যাবল নেটওয়ার্কস ইত্যাদির প্রণেতার অধিকার সুরক্ষাই হলো কপিরাইট।
কপিরাইট আইন ,২০০০ এর ২(৬) ধারায় বলা হয়েছে যে, কপিরাইট অর্থ এ আইনের অধীনে কপিরাইট।
একজন মানুষ তার শ্রম,বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা দ্বারা যা উৎপাদন করে তা তার সম্পত্তি বলে গন্য হয়- ঈধংব.ঐড়মম াং ঝপড়ঃঃ(১৮৭৪)
কপিরাইট একটি বিধিবদ্ধ অধিকার-গধপসরষষধহ ্ ঈড় াং ঈড়ড়ঢ়বৎ(১৯২৪)
সবশেষে বলা যায়,কপিরাইট কোন একটি বিশেষ ধারনার প্রকাশ বা তথ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রনকারী বিশেষ কিছু অধিকারের সমষ্ঠিগত নাম। এটি একটি আইনি ধারণা। যা কপিরাইট আইনদ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যা কোন কাজের মূল সৃষ্টিকারীকে একচেটিয়া অধিকার দেয়। এটা সীমিত মেয়াদের জন্য কার্যকর হয় এবং মেয়াদ শেষে কাজটি পাবলিক ডোমেইনের অর্ন্তগত হয়ে যায়।
কপরিাইট আইন
কপরিাইটরে সুবধিাঃ
র্বতমান যুগে আপনার কোন সৃষ্টরি কপরিাইটরে প্রয়োজনীয়তা অপরসিীম সটেি আর  বলার অপক্ষো রাখে না। কপরিাইটরে অধকিারী লখেক, শল্পিীদরে নানাবধি সুবধিা ভোগ করার অধকিার দয়ো হয়। যমেন:
ক্স    লখেক নর্বিঘ্নিে নতুন জ্ঞানরে সন্ধান করনে। তার লখো আইন দ্বারা সুরক্ষতি হওয়ার কারণে তনিি আরো নতুন সৃষ্টরি জন্য পরশ্রিম করনে।
ক্স    লখেক, শল্পিীগণ তাঁদরে কাজরে জন্য সম্মানী পান, যা তাদরে কাজে প্ররেণা যোগায়।
ক্স    লখেক, শল্পিীগোষ্ঠী তাদরে সৃষ্টর্কিমরে জন্য র্অথনতৈকিভাবে লাভবান হন।
ক্স    কপরিাইট আইন লখেক, শল্পিীদরে র্স্বাথ রক্ষা করে এবং দশেরে সরকাররে এটা গুরুত্বর্পূণ দায়ত্বি তাদরে স্বাথরক্ষা করা।
ক্স    তাঁদরে সৃষ্টর্কিম অবধৈভাবে কউে পরর্বিতন, পুন:মুদ্রণ বা নজিনামে ছাপাতে না পারে সে নশ্চিয়তা প্রদান করা হয় ও আইনরে দ্বারা নশ্চিতি করা হয়।
ক্স    সমাজরে উন্নতি সাধতি হয়, সৃজনশীল কাজরে বকিাশ ঘট।ে
ক্স    আর্ন্তজাতকি কপরিাইট আইন সকল দশেরে জন্য সুফল এনছে।ে অন্য দশেরে সৃষ্টর্কিম আরকে দশেে নরিাপত্তা পায়।
ক্স    সাহত্যি ও শল্পির্কমরে আদান প্রদান ও বনিমিয়ে অন্যদশেে যমেন তাদরে রচনা ও শল্পির্কমরে চাহদিা সৃষ্টি হয়, তমেনি নজি দশেে অন্যদশেরে সাহত্যি ও শল্পির্কমরে আমদানি হয়।
কপিরাইটের আওতা /কোন কোন কাজে কপিরাইট বিদ্যমান থাকে:
কপিরাইট আইন,২০০০ এর-২(১১) ধারা অনুযায়ী কর্ম বলতে
১) সাহিত্যকর্ম, নাট্য,সঙ্গীত বা শিল্পকর্ম,
২) চলচ্চিত্র ছবি,
৩) শব্দ রেকডিং এবং
৪) সম্প্রচার বুঝায়।
কিন্তু এই আইনের ১৫ ধারার বিধান অনুযায়ী নি¤œলিখিত কর্মে কপিরাইট থাকে। যেমন-
সাহিত্যকর্ম (বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ধর্মীয় পুস্তক, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, পান্ডুলিপি),
সঙ্গীতকর্ম, ফটোগ্রাফ, চলচ্চিত্রকর্ম, নাট্যকর্ম, শিল্পকর্ম (চারুও কারুকলা, ছাপচিত্র, ছবি, চারুলিপি),
শব্দ রেকর্ডিং, সম্প্রচারকর্ম, ভাস্কর্যকর্ম (ভাস্কর্য ও মূর্তি),
নৃত্যকর্ম, বিজ্ঞাপনকর্ম (সঙ্গীত সহযোগে বা সঙ্গীত ছাড়া),
কম্পিউটার প্রোগ্রাম, সফটওয়্যারকর্ম, ওয়েবসাইট, স্থাপত্যকর্ম (স্থাপত্য নকশা ভবন), মানচিত্র ও রেখাচিত্র ইত্যাদি।
কপিরাইট অর্জনের জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে:
কপিরাইট পেতে হলে ১৫ ধারা বিধান অনুযায়ী নি¤েœাক্ত শর্তাবলী পূরণ করতে হবে:
১) কপিরাইট বিদ্যমান আছে কর্মটি এরুপ শ্রেণীর অন্তভূক্ত হতে হবে।
২) সাহিত্য,নাট্য,সংগতি ও শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে তা আদি বা মৌলিক হতে হবে। মৌলিক বলতে ইহা প্রণেতা কর্তৃক সৃষ্ট হতে হবে। মৌলিক কর্মটি তার নিজস্ব সৃষ্টি অন্যের নকল যেন না হয়। দুজন প্রণেতা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করেও কিন্তু কর্ম দুটি যদি একই ধরণের হয় তবুও তা মৌলিক কর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে। কাজটি সৃষ্টিতে প্রণেতার শ্রম, নৈপুন্য, বিচার-বিবেচনা ও অর্থ বিনিয়োগের ্ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৩) প্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে কর্মটি বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হতে হবে। তবে অন্য কোন দেশে প্রথম প্রকাশিত হবার ৩০ দিনের মধ্যে যুগপৎভাবে এ দেশে প্রকাশিত হলে ৫ ধারার বিধান মতে, এ আইনের উদ্দেশ্য পুরণকল্পে বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।
৪) যে ক্ষেত্রে কর্মটি বাংলাদেশের বাইরে প্রথম প্রকাশিত হয় সেক্ষেত্রে প্রকাশনার তারিখে প্রণেতা বাংলাদেশের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকবেন।
৫) বাংলাদেশের বাইরে প্রথম প্রকাশিত হবার ক্ষেত্রে প্রকাশনার সময় প্রণেতা জীবিত না থাকলে মৃত্যুর সময় তিনি বাংলাদেশের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকবেন।
৬) অপ্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে স্থাপত্যশিল্পকর্মব্যতীত অন্যান্য কর্মের ক্ষেত্রে, কর্মটি প্রস্তুতের সময় প্রণেতা বাংলাদেশের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকবেন।
৭) স্থাপত্য শিল্প কর্মের ক্ষেত্রে কর্মটি বাংলাদেশে অবস্থিত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে কপিরাইট শুধু শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও নকশায় থাকবে,নির্মান প্রক্রিয়ায় নয়।
৮) চলচ্চিত্র ফিল্মের ক্ষেত্রে ফিল্মের প্রযোজকদের সদর দপ্তর বা সচরাচর আবাস ফিল্মটি নির্মানের সময়ে বা এর উল্লেখযোগ্য সমযে বাংলাদেশে থাকতে হবে। যদি ফিল্মটির মৌলিক অংশ অন্য কোন কর্মের কপিরাইট লংঘন জনিত হয় , তাহলে এতে কপিরাইট বহাল থাকবে না।
৯) সাহিত্য নাট্য বা সংগীত কর্মদ্বারা শব্দ রেকডিং এর ক্ষেত্রে শব্দ রেকর্ড করার সময় যেন উক্ত কর্মের কপিরাইট লংঘন জনিত না হয়।
১০) যৌথ প্রণেতার ক্ষেত্রে ১ হতে ৭ উপ দফায় বর্ণিত শর্তাবলী সকল প্রণেতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
কপরিাইটরে মালকি ক:ে
সাধারণ উত্তর যনিি কোনো র্কমরে স্রষ্টা তনিইি মালকি বা স্বত্বাধকিারী। বাংলাদশেে র্বতমানে বলবৎ কপরিাইট আইন (২০০০ ও সংশোধতি ২০০৫) অনুযায়ী ‘এই আইনরে বধিানাবলী সাপক্ষে,ে কোন র্কমরে প্রণতো ঐ র্কমরে কপরিাইটরে প্রথম স্বত্বাধকিারী হইবনে ’ (অধ্যায়-৪, ধারা ১৭)। আবার প্রণতো বলতে বোঝানো হয়ছেে
‘(ক) সাহত্যি বা নাট্যর্কমরে ক্ষত্রে,ে র্কমটরি গ্রন্থকার;
(খ) সঙ্গীত বষিয়ক র্কমরে ক্ষত্রে,ে উহার সুরকার বা রচয়তিা;
(গ) ফটোগ্রাফ ব্যতীত অন্য কোন শল্পিসুলভ র্কমরে ক্ষত্রে,ে উহার নর্মিাতা;
(ঘ) ফটোগ্রাফরে ক্ষত্রে,ে উহার চত্রিগাহক;
(ঙ) চলচ্চত্রি অথবা শব্দ রর্কেডংি এর ক্ষত্রে,ে উহার প্রযোজক;
(চ) কম্পউিটাররে মাধ্যমে সৃষ্ট সাহত্যি, নাট্য, সঙ্গীত বা শল্পি সুলভ র্কমরে ক্ষত্রেে র্কমটরি সৃষ্টকিারী ব্যক্তি বা প্রতষ্ঠিান।’ (ধারা ২, দফা ২৪)

কপিরাইটের রেজিষ্ট্রেশন:
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন কেন প্রয়োজন:
কর্মের স্বত্বের স্বত্বাধিকারীর অধিকার সুরক্ষার জন্য কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন আইনগত সুরক্ষা প্রদান করে যা কর্মের দালিলিক প্রমাণ। আইনগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে কপিরাইট লঙ্ঘনজনিত কারণে দেওয়ানি আদালতে অর্থদন্ড (সর্বোচ্চ ০৫ লক্ষ টাকা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা) ও ফৌজদারী আদালতে কারাদন্ডের বিধান রয়েছে (সর্বোচ্চ ০৫ বছর সর্বনিম্ন ০৬ মাস)।

কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার ধাপ সমূহঃ
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের কোন আবেদন প্রাপ্তির পর ৩০দিন পর্যন্ত কোন আপত্তি দাখিলের সুযোগ দানের জন্য অপেক্ষা করা হয়। যদি কোন আপত্তি না পাওয়া যায় তবে রেজিস্ট্রার তাঁর স্বীয় বিবেচনায় আবেদনটি গ্রহণ করে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান করেন কিংবা আবেদনটি কারণ উল্লেখ পূর্বক নথিজাত করেন। - ধারা ৫৬
রেজিস্ট্রারের আদেশে সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি ঐ আদেশ প্রদানের ৩মাসের মধ্যে কপিরাইট বোর্ডের নিকট আপীল করতে পারবেন। -ধারা ৯৫
কপিরাইট বোর্ডের অধীন আপীলে প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ঐ সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের ০৩ মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করতে পারবেন।
- ধারা ৯৬
বিচার্য বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
কপিরাইট নিবন্ধনের সময়-
রেজিস্ট্রারে মিথ্যা অন্তর্ভূক্তি, ইত্যাদি অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপনা বা প্রদান করিবার শাস্তি। -কোন ব্যাক্তি যদি -
(ক) কপিরাইট রেজিস্টারে কোন মিথ্যা অন্তর্ভূক্তি সন্নিবেশ করেন বা করিবার কারণ ঘটান, বা
(খ) মিথ্যাভাবে রেজিস্টারে কোন অন্তর্ভূক্তির অনুলিপির অর্থ বহনকারী কোন লেখা লিখেন বা লিখান, বা
(গ) মিথ্যা জানিয়া ঐরূপ কোন অন্তর্ভূক্তি বা লেখা সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপন বা প্রদান করেন অথবা উপস্থাপন বা প্রদান করিবার কারণ ঘটান,
তিনি অনূর্ধ্ব দুই বৎসর কারাদন্ড বা দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেয়াদ
এই ধারণা প্রায় সর্বমহলে বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী (২০০০, সংশোধিত ২০০৫) কপিরাইটের মেয়াদ প্রণেতার মৃত্যুর পর ষাট বছর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ‘প্রকাশিত সাহিত্য, নাট্য, সংগীত ও শিল্পকর্মেও মেয়াদ’ সম্পর্কে কার্যকর, তবে অন্যান্য বিষয়ে গ্রাহ্য নয়। আইনের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম অধ্যায়ে নান রকম সৃষ্টিকর্ম, সম্প্রচারকর্ম, সম্পাদনকর্ম ও প্রকাশনাকর্মের মেয়াদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা আছে ( ধারা ২৪ থেকে ৪০)। কোনো কপিরাইটের প্রণেতার অধিকারের মেয়াদ তাঁর মৃত্যুর পরবর্তী পঞ্জিকাবর্ষের শুরু থেকে গণনা করতে হয়।
প্রণেতা বলতে ধারা ২(২৪) অনুযায়ী গ্রন্থকার (সাহিত্য ও নাট্যকর্মের ক্ষেত্রে), সুরকার বা রচয়িতা (সংগীত বিষয়ক কর্মের ক্ষেত্রে), নির্মাতা (ফটোগ্রাফ ব্যতীত অন্য কোনো শিল্প সুলভ কর্মের ক্ষেত্রে), চিত্রগ্রাহক (ফটোগ্রাফের ক্ষেত্রে), প্রযোজক (চলচ্চিত্র অথবা শব্দ রেকর্ডিংএর ক্ষেত্রে) এবং সৃষ্টিকারী ব্যক্তি (কম্পিউটার মাধ্যমে সৃষ্ট সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্পসুলভ কর্মের ক্ষেত্রে) ইত্যাদি বোঝায়। এর বাইরে রয়েছে সম্পর্কিত অন্যান্য অধিকার, যা নেইবারিং রাইটস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রকৃতিভেদে এসব অধিকারের মেয়াদ বিভিন্ন রকম।
মৌলিক সৃষ্টিকর্মের ক্ষেত্রে প্রণেতা এক হোক বা যৌথ হোক, কপিরাইটের মেয়াদ তার বা তাদের জীবৎকাল ও তৎপরবর্তী ষাট বছর। যৌথ প্রণেতার ক্ষেত্রে যিনি সবশেষে মৃত্যুবরণ করেছেন, তার মৃত্যুর তারিখ ধরেই এই হিসাব করা হবে। চলচ্চিত্র ফিল্মের কপিরাইটের মেয়াদ কর্মটি প্রকাশিত হওয়ার পরবর্তী পঞ্জিকাবর্ষ থেকে ষাট বছর। শব্দ রেকর্ডিংএর ক্ষেত্রেও কপিরাইটের মেয়াদ অনুরূপ। এই উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজক সাধারণত কপিরাইটের অধিকারী। ক্ষেত্রবিশেষে প্রণেতার সঙ্গে এই অধিকার আনুপাতিক হয়ে যায়।
প্রযোজক বলতে সেই ব্যক্তিকে বোঝায়, যিনি কর্মটির বিষয়ে উদ্যোগ, বিনিয়োগ ও দায়িত্ব পালন করেছেন। নামসর্বস্ব প্রযোজক এ ক্ষেত্রে আইনের চোখে গ্রাহ্য না-ও হতে পারেন।
শব্দ রেকর্ডিংএর ক্ষেত্রেও এটি সমভাবে প্রযোজ্য। ষাট বছর পূরণ হলে বৈধ প্রযোজকের জীবদ্দশাতেই এই মেয়াদ অবসিত হবে।ফটোগ্রাফের মেয়াদ কর্মটি প্রকাশিত হওয়ার পর পঞ্চাশ বছর। ফটোগ্রাফ বলতে ফটো লিথোগ্রাফ বা ফটোগ্রাফ সদৃশ কোনো প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত কর্ম, কিন্তু চলচ্চিত্রের কোনো অংশ বোঝায় না।
বেনামী বা ছদ্মনামে প্রকাশিত কর্মের মেয়াদ কর্মটি প্রকাশিত হওয়ার পর ষাট বছর। তবে কোন প্রণেতার নাম জানা গেলে তা তার মৃত্যুর পর আরো ষাট বছর পর্যন্ত প্রসারিত হবে।
সরকারী কর্মের ক্ষেত্রে সাধারণত সরকারই কপিরাইটের মালিক এবং এই মালিকানা কর্মটি প্রকাশিত হওয়ার পর ষাট বছর।
অন্য কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্ম কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মের মালিকানা আর মেয়াদও অনুরূপ।
ষষ্ঠ অধ্যায়ে সম্প্রচার ও সম্পাদনের কপিরাইট যৌথভাবে আলোচিত হয়েছে। সম্প্রচার বলতে রেডিও, টেলিভিশন ও অনুরূপ অন্যান্য মাধ্যমে (বর্তমানে মোবাইল ফোন ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে) কর্মটির প্রথম সম্প্রচার বোঝায়। এই অধিকারের নাম ‘সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার।’ প্রথম সম্প্রচারিত হওয়ার পর এই অধিকারের মেয়াদ পঁচিশ বছর পর্যন্ত অক্ষুন্ন থাকবে। বিষয়টি আরো বিশদ ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
কোন কর্ম সম্পাদন বা পারফর্ম করার পর প্রথম বৈধ সম্পাদনকারী বা পারফর্মার বিশেষ অধিকার লাভ করেন। এই অধিকরারে মেয়াদ পরবর্তী পঞ্জিকাবর্ষ থেকে পঞ্চাশ বছর। আগেই বলেছি, বিস্তৃত ব্যাখ্যাসহ আইনে এ নিয়ে একটি পৃথক অধ্যায় থাকা বাঞ্চনীয়।
বিদ্যমান আইনে কপিরাইটের পার্শ্ববর্তী অধিকার হিসেবে ‘প্রকাশিত কর্মের সংস্করণের অধিকার’ স্বীকৃত।
কোন সংস্করণের মুদ্রণশৈলীগত বিন্যাসের অধিকার সংশ্লিক্ষণ প্রকাশক সংরক্ষণ করেন। এই মেয়াদ যথারীতি পরবর্তী পঞ্জিকাবর্ষ থেকে পঁচিশ বছর অক্ষুণ্ন থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রকাশক নির্বিচারে অনুবাদ প্রকাশ করে থাকেন। অনুবাদের ক্ষেত্রেও কপিরাইট অবশ্য পালনীয়। এই মেয়াদ সৃষ্টিকর্মের অনুরূপ।
বিভিন্ন কপিরাইটে উহার মেয়াদ বর্ণনা কর:
কপিরাইট আইনের পঞ্চম অধ্যায়ে ২৪ হতে ৩২ ধারায় কপিরাইটের মেয়াদ সম্পর্কে বিধান রয়েছে। সেগুলো নি¤œরুপ:
    কর্ম    কপিরাইট মেয়াদ    মন্তব্য/ধারা
১    সাহিত্য,নাট্য ,সংগতি বা শিল্পকর্ম    প্রণেতার মৃত্যু পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর পর্যন্ত।    ধারা-২৪
২    যৌথ প্রণেতার কোন কর্ম    ডযনি শেষে মৃত্যুবরণ করেছেন তার মৃত্যুও পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর
তবে মৃত্যুর পূর্বে যদি এর অভিযোজন প্রকাশিত হয় তার প্রকাশের পরবর্তী পঞ্জিকাবছর হতে ৬০ বছর।    ধারা-২৫
৩    চলচ্চিত্র শিল্প     যে বছর প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর    ধারা-২৬
৪    শব্দরেকডিং    প্রথম যে বছর প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর।    ধারা-২৭
৫    ফটোগ্রাফ    প্রথম যে বছর প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর।    ধারা-২৮
৬    কম্পিউটার সৃষ্টিকর্ম    প্রথম যে বছর প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর।    ধারা-২৮(ক)
৭    বেনামী বা ছদ্মনামে প্রকাশিত কোন সাহিত্য,নাট্য,সঙগতি বা শিল্পকর্ম    প্রথম যে বছর প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর    ধারা-২৯
৮    কোন সরকারী কর্ম    সরকার কর্মেও কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারি হলে যে বছর কর্মটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী ৬০ বছর।    ধারা-৩০
৯    স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্ম    যে বছর কর্মটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর পর্যন্ত।    ধারা-৩১
১০    আরা ৬৮ প্রযোজ্য হয এমন কোন আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্ম    যে বছর কর্মটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর পর্যন্ত।    ধারা-৩২
১১    সম্প্রচার    যে বছর প্রথম সম্প্রচার করা হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছর শুরু থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত    আরা-৩৩
১২    পারফর্ম    যে বছর প্রথম পাপরমেন্স প্রকাশিত হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা বছরের ৫০ বছর পর্যন্ত    ধারা ৩৫

কপিরাইট এবং প্রতিবেশী রাইটের মধ্যে পার্থক্য:
কপিরাইট এবং নেবারিং রাইট পাশাপাশি অবস্থান করলেও এ দুইয়ের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য বিদ্যমান। যেমন-
১) কপিরাইট প্রাপ্ত হয় মৌলিক কর্মের স্বীকৃতিস্বরুপ কিন্তু নেবারিং রাইটস প্রাপ্ত হয় সেই মৌলিক কর্মের সম্পূরক সহায়ক কর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ।
২) কপিরাইট সমৃদ্ধ কর্ম না হলে নেবারিং রাইট উদ্ভব হয় না পক্ষান্তরে নেবারিং রাইটস না থাকলেও,কপিরাইট পাওয়া যায়।
৩) নেবারিং রাইটের জন্য কপিরাইটের মালিকের অনুমতি আবশ্যক কিন্তু কপিরাইট মালিক ইচ্ছা করলে নেবারিং রাইটস প্রাপ্তর নিকট দায়বদ্ধ হতেও পারে আবার নাও পারে।
৪) কপিরাইট সাধারণত কোন লেখক শিল্পী বা সৃষ্টিশীল ব্যক্তির স্থায়ী অধিকার যা নির্দিষ্ট সময পর্যন্ত বলবৎ থাকে,পক্ষান্তরে নেবারিং রাইটস একটি নিদিষ্ট সময়ের অস্থায়ী অধিকার।
কপিরাইট লংঘন বলতে কি বুঝায়:
কপিরাইট সংক্রান্ত নীতি ভঙ্গ করাই কপিরাইট লংঘন করা।
যখন কোন ব্যক্তি কপিরাইটের অধিকারী বা লাইসেন্স বা রেজিস্টারের লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের বিপরীতে এমন কাজ করে ,যে কাজের অধিকার একমাত্র কপিরাইটের অধিকারীর,তখন সে ব্যক্তি কপিরাইটের অধিকার লংঘন করে।
মূল আইনের ত্রয়োদশ অধ্যায়ে ৭১, ৭২, ৭৩ ও ৭৪ নং ধারায় কোন কোন ক্ষেত্রে ও পরিস্থিতিতে কপিরাইট লঙ্ঘিত হয় তার বিশদ বর্ণনা ও ব্যাখ্যা দেয়া আছে। কপিরাইট আইন অনুযায়ী কোন সৃষ্টিকর্মের বৈধ মালিক বা কপিরাইট রেজিস্ট্রার (যেক্ষেত্রে মালিক অসনাক্ত) কর্তৃক ‘প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতীত বা অনুরূপভাবে প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্ত বা এই আইনের অধীন কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত কোন শর্ত লঙ্ঘনপূর্বক’ কোন ব্যবসায়ী, প্রকাশক, বিক্রেতা, আমদানীকারক, প্রযোজক, রেকর্ড প্রস্তুতকারক, ফটোকপিকারক, সম্প্রচারক, কনটেন্ট প্রোভাইডার, মোবাইল ফোন কোম্পানী, চলচ্চিত্রকার, অনুবাদক, রূপান্তরকারী, উদ্ভাবক, কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, সর্ব পর্যায়ের ব্যবহারকারী ও অন্য যে কেউ বাণিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে যা-কিছু করবে তা-ই কপিরাইটলঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে।
কপিরাইট লংঘনে যা থাকতে হবে:
কপিরাইট লংঘনের ক্ষেত্রে নি¤œলিখিত উপাদানগুলো বিবেচ্য-
১) কোন কাহিনী বা কর্মের অবলম্বনে কোন নকল কর্ম
২) মূল কর্মে পুন: উৎপাদন
৩) মৌলিকত্বের পরিবর্তন করে তৈরী কর্ম
৪) একাংশের পুন:উৎপাদন।

কিভাবে কপিরাইট লংঘিত হয়?
১.জব ঢ়ৎড়ফঁপঃরড়হ
২.চঁনষরপধঃরড়হ
৩.ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ ঃড় ঃযব ঢ়ঁনষরপ
৪.চবৎভড়ৎসধহপব ড়ভ  ঃযব ড়িৎশ
৫.গধশরহম ধফধঢ়ঃরড়হ
ঊষবসবহঃ ড়ভ পড়ঢ়ুৎরমযঃ ওহভৎরমহসবহঃ:
১.ঝঁনংঃধহপরধষ ংরসরষধৎরঃু
২.ঊীপবংং ঃড় ঃযব ড়িৎশ
কপিরাইট লংঘনের ব্যতিক্রম:
তবে বাণজ্যিক লাভালাভের উদ্দেশ্য ব্যতীত কেবল অধ্যয়ন, গবেষণা, চর্চা, উদ্ভাবন, জনস্বার্থে সংবাদপত্র বা অন্য মিডিয়ায় প্রচার, বিচারকার্য, জাতীয় সংসদের কার্যসম্পাদন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সার্টিফায়েড কপিপ্রদান, জনসমক্ষে কোন কর্মের যুক্তিসঙ্গত উদ্ধৃতি, শিক্ষামূলক কাজের জন্য আংশিক উদ্ধৃতি বা সংক্ষেপায়ন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ইত্যাকার অব্যবসায়িক ও অলাভজনক কাজ সাধারণত কপিরাইট লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে না। এ-ধরনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রণেতার বিশেষ-স্বত্ব স্বীকারপূর্বক তার নাম উদ্ধৃত করা বিধেয়।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু কাজকে কপিরাইট লঙ্ঘনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। যেমন ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি বিষয়ে গবেষণা, ব্যক্তিগত ব্যবহার, সমালোচনা, পর্যালোচনা, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন কিংবা সাময়িকীতে প্রকাশ, যুক্তিসঙ্গত উদ্ধৃতিসহ জনসমক্ষে আবৃত্তি, বিনামূল্যের গ্রন্থাগারে পাওয়া যায় না এমন বিদেশি পুস্তকের অনধিক তিন কপি অনুলিপি কপিরাইট লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে না। এছাড়া ভাষ্য সহকারে পুনর্মুদ্রণ হয়েছে এমন কোনো আইন এবং জনসাধারণের প্রবেশাধিকার আছে এমন স্থানে স্থায়ীভাবে অবস্থিত স্থাপত্য বা শিল্পকর্মের চিত্রাঙ্কন, রেখাচিত্র, খোদাই কিংবা আলোকচিত্র তৈরিও কপিরাইট লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে না।

কপিরাইট লংঘনের প্রতিকারসমূহ:
কপিরাইট লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় প্রকার প্রতিকারের বিধান রয়েছে ৭৬ ধারায় এবং ৮২ হতে ৮৭ ধারায় ফৌজদারী প্রতিকারের বিধান রয়েছে।
দেওয়ানী প্রতিকার:
কপিরাইট লংঘনের বিরুদ্ধে দুইভাবে প্রতিকার পাওয়া যায়। এখানে দেওয়ানী প্রতিকার অলোচনা করা হলো-
এই ধারার উদ্দেশ্য হল কপিরাইট বিদ্যমান এমন কর্মের অবৈধ ব্যবহার হতে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে অন্যকে বিরত রাখা এবং ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়া । তা না হলে কারও তার কর্ম দ্বারা সাহিত্যকর্ম,নাট্যকর্ম,শিল্প,সংগীত কর্মে অবদান রাখার আগ্রহ থাকবে না। সাধারণভাবে ধরতে গেলে রচয়িতায় কপিরাইটের মালিক। তবে সাহিত্য,নাট্য,শিল্প কর্মেও ক্ষেত্রে রচয়িতা যদি সংবাদ পত্রে প্রকাশের জন্য চুক্তি বা চাকরমিূলে কিছু রচনা করেন তবে সে রচনার প্রথম মালিক সংবাদ পত্র প্রভৃতিতে প্রকাশের মধ্যে নিবদ্ধ। ইহার বাইরে সকল অধিকার রচয়িতার। সরকারী কর্মে কপিরাইটের মালিক সরকার। আন্তজার্তিক সংস্থার কর্মের কপিরাইটে মালিক আন্তজার্তিক সংস্থা। ফটো প্রভৃতির ক্ষেত্রে যার খরচে ঐগুলো তোলা হয় তিনি সেগুলোর মালিক।
কপিরাইট লংঘনের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দেওয়ানী প্রতিকার পাওয়া যায় তা হলো-
ক) নিষেধাজ্ঞা
খ) ক্ষতিপূরণ
গ) হিসাব
ঘ) অন্যান্য প্রতিকার, যা কপিরাইট লংঘনের জন্য আইনের মাধ্যমে দেয়া যায়।
১) নিষেধাজ্ঞা:কপিরাইট আইনের সাধারণ উদ্দেশ্য হল কপিরাইটের অবৈধ ব্যবহার হতে বিরত রাখা। কপিরাইট লঙঘন বা লংঘনের উদ্যোগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এই উদ্দেশ্য পূরণ হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা। আদালত ইচ্ছা করলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন, আবার নাও দিতে পারেন। তবে, এই ক্ষমতা কেউ অধিকার হিসেবে দাবী করতে পারে না,ইহা বিচারকের সুবিবেচনার নীতি অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে। আদালত এখতিয়ার সম্পর্কিত সিন্ধান্ত গ্রহন করবার পূর্বেই ইনটারিম নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে পারেন।
২) ক্ষতিপূরণ:যিনি কপিরাইট ভঙ্গ করেন তিনি কপিরাইটের মালিককে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কপিরাইটের মালিক লংঘনকারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দাবী করতে পারেন। কত টাকা ক্ষতিপূরনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে তা নির্ভর করে ক্ষতির পরিমানের উপর।
৩) অন্যান্য প্রতিকার:আদালত কপিরাইট মালিককে প্রতিকার দেয়ার জন্যে যে কোন প্রতিকার দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আদালত লংঘনকারীর কর্ম হতে লঙ্ঘিত কর্মটি বাতিল করার আদেশ অথবা উক্ত লংঘিত কর্ম ধ্বংস কওে ফেলার আদেশ দিতে পারেন।
৮১ ধারার বিধান অনুযায়ী একমাত্র জেলা জজ আদালতে মামলাটির বিচার করা যাবে।
ফৌজদারী প্রতিকার:কপিরাইট লংঘনের জন্য ফৌজদারী প্রতিকার সম্পর্কে কপিরাইট আইনের ৮২ হতে ৮৭ ধারায় বিধান রাখা হয়েছে।
৮২ ধারা মতে, যে ব্যক্তি জলচ্চিত্র ব্যতীত অন্য কোনো কর্মের কপিরাইট ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে তিনি ৫০ হাজার হতে ২ লক্ষ টাকার অর্থ দন্ড বা ৬ মাস হতে ৪ বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমান করতে পারেন যে, ব্যসায়িক কার্যক্রমের ধারায় মুনাফার উদ্দেশ্যে কপিরাইট লঙ্ঘন করেননি তাহলে আদালত এ দন্ড হ্রাস করতে পারেন।
চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে কপিরাইট লঙ্ঘন করলে বা করতে সহায়তা করলে ১ বছর হতে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা হতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবে।
৮৩ ধারার বিধানমতে ৮২(১) এ বর্ণিত রংঘনটি ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক কার্যক্রমের দারায় মুনাফার উদ্দেশ্রে সংঘটিত হয নাই  এরুপ অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে পরবর্তী প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য ৬ মাসপর্যন্ত কারাদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
যদি কোন ব্যক্তি কম্পিউটার প্রোগ্রামের লঙ্ঘিত কপি অনুলিপি করে প্রকাশ ও বিতরণ করেন তাহলে তিনি ৬ মাস থেকে ৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডে এবং ১ লক্ষ হতে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। (ধারা ৮৪)
কম্পিউটারে কোন লঙ্ঘিত কপি কেউ ব্যবহার করলে ৬ মাস থেকে ৩ বছর কারাদন্ড অথবা ১ লক্ষ হতে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন ( ধারা-৮৪)
৮৫ ধারার বিধান রয়েছে যে, কোন ব্যক্তি কপিরাইট বিদ্যমান রয়েছে এমন কোন কর্মের অধিকার ইচ্ছাকৃতভাবে কপিরাইট লঙ্ঘনকারী অনুলিপি তৈরী করার উদ্দেশ্যে কোন প্লট তৈরী করেন তা দখলে রাখেন বা কপিরাইটের মালিকের সম্মতি ব্যতিরেকে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং ব্যক্তিগত মুনাফার উদ্দেশ্যে ঐরুপ কোন কর্মের জনসাধারন্যে সম্পাদনের কারণ ঘটান তাহলে তিনি অনুর্ধ্ব ২ বৎসরের কারাদন্ড বা অনুর্ধ্ব ৫০০০০ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
ইহা ছাড়া প্রশাসনিক প্রতিকারও পাওয়া যেতে পারে। যাহা নি¤œরুপ:
প্রশাসনিক প্রতিকার: আদালতের মাধ্যমে উপরিউক্ত প্রতিকার ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে কপিরাইট বোর্ডেও মাধ্যমেও প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে। কপিরাইপ লংঘনকারী কোন কর্ম আমদানি বন্ধ করিবার জন্য কপিরাইট বোর্ডেও রেজিষ্টারের নিকট আবেদন করা যায়।
কপিরাইট মালিকের অধিকার ও ক্ষমতা:
একজন গ্রন্থকার তার কর্মের জন্য কতগুলো নির্দিষ্ট অধিকার ও ক্ষমতা লাভ করে থাকে যা নৈতিক অধিকারেরুপে পরিচিত।এ ধরণের অধিকার আবার অর্থনৈতিক অধিকার হতে পৃথক। যেমন-
১) জরমযঃ ্ চড়বিৎ ড়ভ চঁনষরপধঃরড়হ: গ্রন্থকার তার রচিত গ্রন্থ সাহিত্য কর্মটি প্রকাশ করবে কি করবে না এ বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহন করার অধিকার ও ক্ষমতা তার থাকবে।
২) জরমযঃ ্ চড়বিৎ ড়ভ চধঃবৎহরঃু:একটি প্রকাশিত বা প্রদর্শিত গ্রন্থ কর্মের গ্রন্থকার হিসাবে নিজেকে দাবী করার অধিকার ও ক্ষমতা মালিকের থাকবে।
৩) জরমযঃ ্ চড়বিৎ ড়ভ ওহঃবমৎরঃু: তার খ্যাতি বা সুনামের জন্য প্রদর্শিত এরুপ কোন অবৈধ কাজ প্রতিরোধ করার অধিকার ও ক্ষমতা গ্রন্থকারের থাকবে।
এগুলো ছাড়াও একজন কপিরাইটের মালিক ভিন্নভিন্ন কর্মের কপিরাইটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের একচেটিয়া অধিকার ভোগ করে থাকে যা কপিরাইট আইনের ১৪ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে।
কপিরাইট লংঘনের মামলা কে,কখন,কোথায় করতে পারে:
যা-হোক, এবারে আমরা অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করবো। লঙ্ঘন সনাক্ত করে প্রণেতা বা কপিরাইটের বৈধ স্বত্বাধিকারী দেওয়ানী প্রতিকার চেয়ে বিধিমোতাবেক আদালতে মামলা রুজু করতে পারেন। তারও আগে তিনি এ ধরনের প্রতিকারের জন্য কপিরাইট বোর্ডের কাছে আবেদন করতে পারেন। মালিকের এ ধরনের আবেদন বা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধ সনাক্তকরণ ও আইনানুগ শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে।
আবার গোপন ও বিশ্বস্থ সংবাদের সূত্র ধরে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ লঙ্ঘনকার্য সনাক্ত করার পর লঙ্ঘিত মালামাল জব্দ করে আইনানুগ কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করতে পারেন। সরকার কর্তৃক সম্প্রতি গঠিত টাস্কফোর্সও এ কাজটি করতে পারেন।
পঞ্চদশ অধ্যায়ে ৮২ থেকে ৯৩ পর্যন্ত ধারায় অপরাধ ও শাস্তি সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য আছে। ২০০৫ সনের সংশোধনও এ-ক্ষেত্রে যুক্ত করা অত্যাবশ্যক। ৮২ নং ধারার মূল বক্তব্য, যদি কেউ চলচ্চিত্র ব্যতিরেকে অন্য কোন ক্ষেত্রের কপিরাইট ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করেন বা লঙ্ঘন করতে সাহায্য করেন, ‘তিনি অনূর্ধ চার বৎসর কিন্তু অন্যুন ছয় মাস মেয়াদের কারাদন্ড এবং অনূর্ধ দুই লক্ষ টাকা কিন্তু অন্যুন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয়’ হবেন। তবে আদালতে যদি প্রমাণ করা যায় যে, লঙ্ঘনটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয়নি, তাহলে আদালত শাস্তির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন।
চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে জেল ও অর্থদন্ড অপেক্ষাকৃত বেশি। এক্ষেত্রে এক বছর থেকে পাঁচ বছর জেল ও এক লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদেয়, তদুপরি শাস্তি শিথিল করার কোনো অবকাশ নেই।
৮২ নং ধারায় ‘দ্বিতীয় বা পরবর্তী অপরাধের বর্ধিত শাস্তি’ বর্ণিত। প্রথমবার অপরাধ করে শাস্তিভোগের পর কেউ যদি আবার অপরাধ করে তাহলে সেই ব্যক্তি ছয় মাস থেকে তিন বছর কারাদন্ড ও এক লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
৮৪ নং ধারায় কম্পিউটার প্রোগ্রামের লঙ্ঘিত কপি জ্ঞাতসারে ব্যবহারের অপরাধ বর্ণিত হয়েছে। ধারাটির অংশবিশেষ ২০০৫ সালে সংশোধিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনূর্ধ চার বছরের কারাদণ্ড ও চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান আছে। যদি প্রমাণিত হয় যে, লঙ্ঘনটি অব্যবসায়িক কারণে ঘটেছে তাহলে দণ্ড শিথিল করা যেতে পারে।
৮৫ ও ৮৬ নং ধারায় অধিকার লঙ্ঘনকারী প্লেট তৈরি, দখলে ও বিলিবন্টনের শাস্তি পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড ও দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
৮৭ নং ধারায় রেজিস্টারে মিথ্যা অন্তর্ভুক্তি, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান ইত্যাদির শাস্তি বর্ণিত হয়েছে অনূর্ধ দুই বছর কারাবাস ও দশ হাজার টাকা জরিমানা।
৮৮ নং ধারায় ‘প্রতারিত বা প্রভাবিত করিবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বিবৃতি প্রদান’ সম্পর্কিত শাস্তি অনূর্ধ দুই বছর কারাবাস ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা।
৮৯ নং ধারায় ‘প্রণেতার মিথ্যা কর্তৃত্ব আরোপ’-এর শাস্তি অনূর্ধ দুই বছর কারবাস ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা। এ ধারাটি লেখক, প্রণেতা, সুরকার, গীতিকার, পারফরমার, চিত্রকর, কম্পিউটর নির্মাতা, চলচ্চিত্রকার প্রমুখের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য।
৯০ ধারায় আইনের ৭১ ধারা লঙ্ঘনপূর্বক রেকর্ড বা ভিডিও চিত্র তৈরির শাস্তি অনূর্ধ তিন বছর কারাদণ্ড ও তিন লক্ষটাকা জরিমানা।
৯১ ধারায় বলা হয়েছে কোনো কোম্পানীর অপরাধের ক্ষেত্রে কোম্পানীর দায়িত্বে নিয়োজিত ও কোম্পানীর নিকট দায়ী ব্যক্তিসকল দোষী বিবেচিত হবেন। তবে তদন্ত শেষে নির্দোষ ব্যক্তি অব্যাহতি পেতে পারেন। ‘কোম্পানী’ বলতে কোন বিধিবদ্ধ সংস্থা বা অন্য কোন সমিতি বোঝাবে।
৯২ ধারা অনুযায়ী দায়রা জজ আদালত অপেক্ষা নিম্নতর কোন আদালত বর্ণিত অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করবে না।
৯৩ ধারামতে সাব ইন্সপেক্টরের নিম্নে নয় এমন যে কোন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই লঙ্ঘিত অনুলিপি জব্দ করে যত দ্রুত সম্ভব একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থাপন করবেন।
আমরা শুরুতেই বলেছি, বর্তমান পরিস্থিতিতে কপিরাইট আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও পাইরেসি রোধকল্পে বিশেষ সরকারি নির্দেশবলে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সম্পৃক্ততায় যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এই টাস্কফোর্সকে সকল প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়াই যুক্তিযুক্ত। আমাদের অনেক শুভ উদ্যোগই অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপের কারণে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আমরা তার পুনরাবৃত্তি চাই না।
আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রের প্রতিনিধি নিয়ে এই টাস্ক ফোর্স বাংলাদেশের সর্বত্র অভিযান পরিচালনা করবে। তারা সনাক্তকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই টাস্কফোর্সের কার্যকারিতার উপরেই বাংলাদেশে কপিরাইট প্রয়োগের সফলতা বহুলাংশে নির্ভরশীল। টাস্কফোর্সের কার্যক্রম ন্যুনতম তিনটি ধাপে পরিচালিত হতে পারে :
(ক) সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও গণযোগাযোগ;   
(খ) অভিযান পরিচালনার আগে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি এবং
(গ) সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা ও অপরাধীদের তাৎক্ষণিকভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। নিয়মিত এই কার্যক্রম পরিচালিত হলে পরিস্থিতি অবশ্যই উন্নততর হবে।
উত্তর: (খ)
সমস্যার সমাধান:
ঘটনার বিবরণ:
ক ও খ একটি প্রকাশিত বইয়ের যৌথ লেখক ও মালিক। ক ১ জুন ২০১৪ এবং খ ৩১ ডিসেম্বর,২০১৪ তারিখে মারা যায়।
বিচার্য বিষয:আলোচ্য সমস্যায় উক্ত বইয়ের কপিরাইটের মেয়াদ কখন শেষ হবে তা আইনের আলোকে আলোচনা করতে হবে।
আইনগত ভিত্তি: ২০০০ সালের কপি রাইট আইনের ২৪ ধারার বিধান অনুসারে প্রকাশিত সাহিত্য কর্মের প্রণেতার মৃত্যুর পরবর্তী পঞ্জিকা বছর হতে ৬০ বছর পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে।
এই ধারায় যৌথভাবে প্রণীত কর্মের ক্ষেত্রে ’প্রণেতা অর্থে যে প্রণেতার মৃত্যু শেষে হয়েছে তাকে বুঝতে হবে।
আইনগত পর্যালোচনা ও সিন্ধান্ত:
উপরোক্ত আলোচনা হইতে সংশ্লিষ্ট আইনের ২৪ ধারার বিধান অনুসাওে প্রকাশিত সাহিত্য কর্মেও প্রণেতার মৃত্রুর পরবর্তী পঞ্জিকা বৎসর হতে ৬০ বৎসর পযৃন্ত বিদ্রমান থাকবে।
যৌথ প্রণেতার ক্ষেত্রে যে প্রণেতার শেষে মৃত্যু হয়েছে তার মৃত্যুর পর এ সময়কাল গণনা করতে হবে।
আলোচ্র সমস্যায় যৌথ লেখকের মধ্যে ’খ’ এর মৃত্যু শেষে হয় অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর,২০১৪। অতএব ৩১ ডিসেম্বও ,২০১৪ এর পরবর্তী পঞ্জিকা বছর ২০১৫ এর ১ জানুয়ারী হতে ৬০ বছর অর্থাৎ ২০৭৪ এর ৩১ ডিসেম্বও উক্ত বইয়ের কপিরাইটের মেয়াদকাল শেষ হইবে।



প্রশ্ন-৩ ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ(ইঈ) বলতে কি বুঝ? ১৮৮৬ সালের বার্ন কনভেনশনের উদ্দেশ্য কি? বান কনভেনশনের মৌলিকনীতিসমূহ কি কি? যেসকল অধিকার ও কর্ম এই কনভেনশন দ্বারা সংরক্ষিত হয় তা বর্ণনা কর। উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য বার্ন কনভেনশন এর কোন বিধান আছে কি জন্য? ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ এবং টহরাবৎংধষ ঈড়ঢ়ু জরমযঃ ঈড়হাবহঃরড়হ (টঈঈ) এর মধ্যে কোন সমস্যা হলে কোন কনভেনশন প্রাধান্য পাবে?
ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ(ইঈ):
ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ হলো খরঃবৎধৎু এবং অৎঃরংঃরপ ড়িৎশ- এর প্রনেতাদের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য আন্তজার্তিক পর্যায়ে গৃহীত একটি কনভেনশন। এই কনভেনশনটির মাধ্যমে এর সদস্য রাষ্ট্র সমূহের অঁঃযড়ৎ গণের নিজস্ব উদ্ভাবিত বিষয়ের উপর কিছু ঊীপষঁংরাব ৎরমযঃ  প্রদান করা হয়। এই ঊীপষঁংরাব ৎরমযঃ–সমুহ বার্ন কনভেনশনের পক্ষ রাষ্ট্রসমূহের যে কোন অঁঃযড়ৎ পক্ষ রাষ্ট্রগুলোর মাঝে একচেটিয়া ভোগের অধিকার প্রাপ্ত হয়।
বান কনভেনশনের উদ্দেশ্য সমূহ সম্পর্কে বান কনভেনশন অনুচ্ছেদ(১) এ বলা হয়েছে ,বান কনভেনশনের অনুচ্ছেদ এক অনুসারে বান কনভেনশনের উদ্দেশ্য হলো সাহিত্য ও শিল্পক্ষেত্রে গ্রন্থাকারগণের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য বিশ্বের আগ্রহী দেশেসমূহেকে নিয়ে একটি টহরড়হ গঠন করা হয়। এটি ছিল বান কনভেনশন এর মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া নি¤œলিখিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ঈড়হাবহঃরড়হ টি প্রণীত হয়।
১) একদেশের কোন অঁঃযড়ৎ এর উদ্ভাবিত কোন সৃজনশীলকর্ম পক্ষরাষ্ট্রের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক যাতে অপব্যবহার রোধ করা যায়।
২) পক্ষভূক্ত কোন রাষ্ট্রের অঁঃযড়ৎ এর কর্মসমূহ অন্যদেশে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বাস্তব ভিত্তি আইন প্রণয়ন।
৩) পক্ষভূক্ত কোন রাষ্ট্রের অঁঃযড়ৎ যাতে অন্যরাষ্ট্রে তার একচ্ছত্র অধিকার সমূহ প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
৪) সাহিত্য ও শিল্প ক্ষেত্রে এরুপ একচ্ছত্র অধিকার লংঘনকারীর বিরুদ্ধে প্রতিকার পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং
৫) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যবহৃত সকল জাতীয় আইনের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আর্ন্তজার্তিক পর্যায়ে গ্রহনযোগ্য একটি একক আইন প্রণয়ন করা, যার উদ্দেশ্য হবে বিশ্বের সকল দেশের অঁঃযড়ৎ দের স্বার্থ সংরক্ষন করে সাহিত্য ও শিল্পক্ষেত্রে তাদের কর্মকে উৎসাহিত করা এবং সামগ্রিক ভাবে অঁঃযড়ৎ দেরকে আর্থিকভাবে লাভবান করা।
ইধংরপ ঢ়ৎরহপরঢ়ধষং ড়ভ ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ:
ইবৎহব পড়হাবহঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব ঢ়ৎড়ঃবপঃরড়হ ড়ভ ষরঃবৎধৎু ধহফ অৎঃরংঃরপ ড়িৎশং এ বার্ন কনভেনশন এ যে মূল নীতির কথা বলা হয়েছে তা নি¤œরুপ: গ্রন্থস্বত্বের মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষনের নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য কনভেনশন এর তিনটি ইধংরপ ঢ়ৎরহপরঢ়ধষং এবং কতিপয় উন্নযনশীল দেশের জন্য কতিপয় শর্তের উপর নির্ভরশীল।
তিনটি ইধংরপ ঢ়ৎরহপরঢ়ধষং হল-
১) ঙৎরমরহধষ ড়িৎশং এর সুরক্ষা:প্রত্যেক সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রের অঁঃযড়ৎ দের মূল কাজের জন্য একই রকম স্বার্থ সুরক্ষার অধিকার প্রদান যা ১৯৯৪ সালের এঅঅঞএবং ঞজওচঝ এ বর্ণিত হয়েছে। এ ধরনের অধিকার হবে স্বয়ংক্রিয় এবং উদ্ভাবিত মূল দেশের অধিকারের সাথে স্বাধীনভাবে সম্পর্কযুক্ত।
২) গরহরসঁস ংঃধহফধৎফ ড়ভ পড়ঢ়ু ৎরমযঃ:কপিরাইট সংরক্ষনের সর্বনি¤œ মানদন্ড মূলকাজ এবং যে অধিকার সংরক্ষন করা হবে তার সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং এরুপ সংরক্ষনের পর্যন্ত।
৩) গড়ৎধষ ৎরমযঃং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করা: গ্রন্থকারের সম্মান ও খ্যাতির নৈতিক অধিকার বার্ন কনভেনশন সংরক্ষণ করে।

ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ এবং টহরাবৎংধষ ঈড়ঢ়ু জরমযঃ ঈড়হাবহঃরড়হ (টঈঈ) এর মধ্যে কোন সমস্যা হলে কোন কনভেনশন প্রাধান্য পাবে:
ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ হল ১৮৮৬ সালের কপিরাইট সংক্রান্ত আন্তজার্তিক চুক্তি যা সুইজার ল্যান্ডের বার্ন শহরে প্রথম গৃহীত হয়েছিল। ১৮৮৬ সালের এই বার্ন কনভেনশন প্রথমে স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মেধাস্বত্বের স্বীকৃতি দেয়।
অন্যদিকে টহরাবৎংধষ ঈড়ঢ়ু জরমযঃ ঈড়হাবহঃরড়হ (টঈঈ) হল ১৯৫২ সালের একটি কপিরাইট সংক্রান্ত আন্তজার্তিক চুক্তি যা সুইজাল্যান্ডের জেনেভা শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৮৬ সালের প্রথম সাহিত্য এবং শিল্প বিষয়ক কর্মের সুরক্ষার জন্য বার্ন কনভেনশনের পর এইটি দ্বিতীয় কপিরাইট সংক্রান্ত আন্তজার্তিক চুক্তি।
ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ গঠিত হয় ফ্রান্স সহ ইউরোপীয় ব্লকের ২৫টি ( পরে অবশ্য বৃদ্ধি পায়) দেশ নিয়ে যেখানে আমেরিকা-ল্যাটিন আমেরিকা ঊঁৎড়-অংরধহ দেশগুলো অনুপস্থিত ছিল অন্যদিকে টহরাবৎংধষ ঈড়ঢ়ু জরমযঃ ঈড়হাবহঃরড়হ (টঈঈ)গঠিহ হয় আমেরিকাসহ আমেরিকান ব্লক অর্থাৎ ল্যাটিন আমেরিকার ঙঅঝ ভূক্ত রাষ্ট্রসমুহকে নিয়ে।
দুটো কনভেনশন গঠিত হযেছে দুই ব্লকের কিছু রাষ্ট্র কর্তৃক। বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্র দুটো কনভেনশন এর যে কোন একটিতে স্বাক্ষর প্রদান করতে পারে আবার দুটোতেও স্বাক্ষর করতে পারে।
যেহেতু যেদেশ যেটিকে পছন্দ করবে সে দেশ সেই কনভেনশন এর আলোকে তা নিজের দেশে এ সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করবে।
কিন্তু যেহেতু দুটো কনভেনশনই দুই প্রান্তের সেহেতু দুটোর মধ্যে সংঘর্ষ হতেই পারে। যদি হয তখন কি হবে?
এখানে এ সম্পর্কে একেবারেই স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি তবে যেটা বলা হযেছে তা হল-
যেহেতু ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ বহুপূর্বে গঠিত হয়েছে সেহেতু এটাকে বেশী কার্যকরী এবং যুগোপযোগী বলে মনে করা হয়। সেই দৃষ্টিকোন থেকে বলা যায়- যদি দুটি কনভেনশন এর মধ্যে ঈড়হভষরপঃ হয় ,তাহলে ইবৎহব ঈড়হাবহঃরড়হ প্রাধান্য পাবে আর যদি দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে  টহরাবৎংধষ ঈড়ঢ়ু জরমযঃ ঈড়হাবহঃরড়হ (টঈঈ) এর সাথে ঈড়হভষরপঃ হয় তাহলে টহরাবৎংধষ ঈড়ঢ়ু জরমযঃ ঈড়হাবহঃরড়হ (টঈঈ) পাবে।
উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য কনভেনশনের বিধান:
১৮৮৬ সালের বানকনভেনশন অনেকবার সংশোধন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে প্যারিস এ্যাক্ট নামে খ্যাত সংশোধনীতে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কিছু বিধান করা হয়। অধিক সংখ্যায় উন্নযনশীল রাস্ট্রের জন্য বান কনভেনশন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা অসুবিধাজনক ছিল। কেননা এই দেশগুলি এমনিতেই তাদের অর্থনৈতিক,সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে হিমসিম খাচ্ছির।প্যারিস এ্যাক্টের সংযোজনীতে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কিছু বিধান করা হয়। এইগুলিমূলত:অনুবাদ ও বিদেশী কর্মেও  পুন:উৎপাদন সম্পর্কিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রচলিত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যেগুলি অন্তভূক্ত শুধুমাত্র সেসকল দেশ এই সুবিধা পাবে।
শিক্ষা গবেষনা ও বৃত্তি প্রদানে এবং যেসকলকর্ম এই কনভেনশনে সুরক্ষিত সেই সকল কর্ম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যবহারের জন্য পুন: উৎপাদনের উদ্দেশ্যে উন্নয়নশীল দেশ সমূহ বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান করতে পারবে। কর্মের কপিরাইট মেয়াদ শেষ হলে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে এবং কপিরাইটের মালিককে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান সাপেক্ষে এইরুপ লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। উন্নয়নশীল দেশসমূহে সাধারণত: যে সকল ভাষায় মানুষ কথাবার্তা বলে শুধু সে ভাষায় অনুবাদ করার জন্য লাইসেন্স দেওয়া যায়। যে সকল ভাষা উন্নত দেশ সচরাচর ব্যবহৃত হয বিশেষ করে ইংরেজী,ফরাসি ও স্পেনীয় সে সকল ভাষায় অনুবাদ করতে হলে ১ বৎসর অতিক্রান্ত হবার পর এরুপ লাইসেন্স নেয়া যায়।
পুনরুৎপাদনের ক্ষেত্রে কতদিন পর বাধ্যতামূলক লাইসেন্স দেওয়া যাবে তা কর্মের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। সাধারণত: প্রথম প্রকাশনার ৫ বৎসর পর ইহার প্রযুক্তিসহ প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও গণিতশাস্ত্র কর্মের প্রথম প্রকাশনার পর ৩ বৎসর এবং উপন্যাস,নাটক,কবিতার জন্য ৭ বৎসর অতিক্রান্ত হবার পর এইরুপ লাইসেন্স দেওয়া হয।
বাধ্যতামুলক লাইসেন্স ছাড়াও কর্মেও মালিকের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে স্বেচ্ছাপ্রনোদিত লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে।
ওচ খধি এর প্রেক্ষিতে বান কনভেনশন এর বৈশিষ্ট্য:
৩টি প্রধান বৈশিষ্ট্য আছে
১) এইখানে সাহিত্য এবং শিল্প কম সমূহের ঘধঃরড়হধষ ঃৎবধঃসবহঃ দেয়া হয়েছে।
২) এতে আইনি সুরক্ষটা সহজাত কোন জটিল ফর্মালিটিস নেই।
৩) আইনি সুরক্ষার স্বাধীনতাটি সম্পূর্ণরুপে স্বাধীন-যে দেশের শিল্প কর্মটি বা সাহিত্য কর্মটি সৃষ্টি হয়েছে সেখানে তার অস্তিত্বের সুরক্ষার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ন নয়।
বান কনভেনশন সংশ্লিষ্ট দেশের লোক শিল্প কর্মকে সুরক্ষা দেয় এটি যদি নামহীন হয়েও থাকে তাহলেও এ সুরক্ষাটি দেয়া হয়।






পেটেন্ট

প্রশ্ন-১
ক) পেটেন্ট বলতে কী বোঝায়? কীভাবে প্যাটেন্ট স্বত্ব অর্জন করা যায়?  পেটেন্টের আবশ্যকীয় উপাদান বা শর্তাবলীগুলো কী কী? কৃষি,শিল্প তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে কীভাবে প্যাটেন্ট অবদান রেখে চলেছে?সংক্ষেপে বর্ণনা কর। প্যাটেন্ লংঘন ও তার প্রতিকার আলোচনা কর।
খ ) স্পেসিফিকেশন বলতে কী বোঝায়? চৎরড়ৎ অৎঃ কি? চৎরড়ৎরঃু উধঃব বর্ণনা কর।
গ)আন্তর্জাতিক দরখাস্ত বলতে কী বোঝায়? ইহার বিষয়বস্ত কী? আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানের পদ্ধতিসমূহ বর্ণনা কর।

চধঃবহঃ এসছেে ল্যাটনি শব্দ ঢ়ধঃবৎব থকে,ে যার র্অথ খুলে রাখা। পৃথবিীতে প্রথম পটেন্টেরে ধারণা চালু হয় প্রাচীন গ্রসিরে একটি শহর সাইবরেসি,ে খ্রস্টির্পূব ৫০০ অব্দ।ে সটেি অবশ্য এখনকার পটেন্টে ব্যবস্থার মতো ছলি না। যা হোক, আধুনকি পটেন্টে প্রথম চালু হয় ভনেসি,ে ১৪৭৪ সাল।ে তবে বশেরিভাগ দশে ভনেসিরে এই পটেন্টে ব্যবস্থা অনুসরণ করে না। যুক্তরাজ্যে ১৬২৪ সালরে ২৫ মে একটি বধিমিালা পাস হয় ‘স্ট্যাচউিট অফ মনোপলসি’ নাম।ে পরে এটাকইে ওরা পটেন্টে আইনে রূপান্তরতি কর।ে অনকে দশেই এই বধিমিালা অনুসরণ করইে পটেন্টে আইন তরৈি করছে।ে
পেটেন্ট হচ্ছে একচেটিয়া অধিকার, কোনো কিছু উদ্ভাবনের জন্য এটা অনুমোদন করা হয়। উদ্ভাবনটি হতে পারে একটি পণ্য বা একটি প্রক্রিয়া যা কোনো কিছু সম্পাদনের নতুন পদ্ধতি প্রদান করে বা কোনো সমস্যার নতুন কারিগরী সমাধান প্রস্তাব করে। একটি পেটেন্ট, এর মালিককে তার উদ্ভাবনের সুরক্ষা প্রদান করে। সীমিত সময়ের জন্য এই সুরক্ষা বলবৎ থাকে, সাধারণত ২০ বছর পর্যন্ত।
১৯১১ সালের প্যাটেন্ট ও ডিজাইন এ্যাক্টের ২(১১) ধারায় বলা হয়েছে যে,পেটেন্ট অর্থ অত্র আইনের বিধানাবলীর অধীন প্রদত্ত কোন পেটেন্ট এবং যে ব্যক্তির নামে প্যাটেন্ট মঞ্জুর করা হয় তাকে চধঃবহঃবব প্যাটেন্টগ্রহীতা বলে।
পেটেন্ট শব্দটিকে দুইটি অর্থে ব্যবহার করা যায়। একটি হইল উড়পঁসবহঃ অন্যটি হইল জরমযঃ বা অধিকার।
পেটেন্ট হল বুদ্ধি বৃত্তিক সম্পত্তি এবং পেটেন্ট গ্রহীতা এই সম্পত্তিকে বিক্রয় করে দিতে পারেন এবং তার পেটেন্ট ব্যবহার করার জন্য অপর কোন ব্যক্তিকে লাইসেন্সও অনুমোদন করতে পারেন।
পেটেন্ট আইনের উদ্দেশ্য:
পেটেন্ট আইনের মূল উদ্দেশ্যগুলি হইল নি¤œরুপ:
১) পেটেন্ট গবেষনা ও উদ্ভাবনীকে উৎসায়িত করে থাকে।
২) পেটেন্ট এর অধিকারী মালিককে তার গবেষণা ও উদ্ভাবণী প্রকাশ করতে প্ররোচিত করে।
৩) উদ্ভাবিত পন্য বা প্রক্রিয়া বা নতুন পদ্ধতি বা সমস্যার কারিগরি সমাধান বাণিজ্যিকভাবে সফল করে।
৪) পেটেন্ট মূলধন বিনিযোগে প্ররোচিত করে।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পেটেন্টের অবদান:
১) পেটেন্ট নতুন প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।
২) পেটেন্ট নতুন প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে থাকে।
৩) পেটেন্ট প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে থাকে।
৪) পেটেন্ট প্রযুক্তিগত পরিকল্পনা ও কৌশল হিসেবে কাজ করে থাকে।
৫) পেটেন্ট বৈদেশীক বিনিযোগকে উৎসায়িত করে থাকে।
পেটেন্টের আবশ্যকীয় উপাদান বা শর্তাবলী:
প্যাটেন্টের জন্য আবশ্যকীয় উপাদান বা শর্তাবলী নি¤œরুপ-
১) আবেদনপত্র: কোন বস্তুর প্রথম আবিস্কারক অথবা তার নিকট হতে স্বত্ব গ্রহীতা প্যাটেন্ট আইনের ৩ ধারা অনুসারে নির্ধারিত ফরমে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্যাটেন্ট কার্যালয়ে আবেদন পত্র দাখিল করতে হবে। আবেদন পত্রের সাথে ৪ ধারা অনুসারে স্পেসিফিকেশন অর্থাৎ আবিস্কারেকের বর্ণনা দিতে হবে।
২) প্যাটেন্টযোগ্য:আবিস্কারটি অবশ্যই প্যাটেন্টযোগ্য হতে হবে। প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে ৩টি শর্তপূরণ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে নি¤œরুপ-
ক) নতুনত্ব (ঘড়াবষঃু)
খ) উদ্ভাবনী প্রয়াস (ওহাবহঃরাব ংঃবঢ়)
গ) শিল্প ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্যতা (ওহফঁংঃৎরধষ ধঢ়ঢ়ষরপধনরষরঃু)
ক) নতুনত্ব:প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে উদ্ভাবনীটি নতুন হতে হবে। কোন বস্তু বা যন্ত্রকৌশল বা বাজারে প্রচলিত আছে তা প্যাটেন্ট যোগ্য হতে পারে না। এটা নতুন অর্থাৎ পূর্বে আবিস্কিত বা উদ্ভাবিত হয়নি কিংবা কোন প্রচলিত প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করা হয়েছে এরুপ বস্তু বা প্রক্রিয়া প্যাটেন্টের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। অর্থাৎ বিষয়টি যেন চৎরড়ৎ ধৎঃ এর অংশ না হয়। যে বিষয়টি দেশে-বিদেশে জনগনের পরিচিত বা যা সম্পর্কে জনগন শুনেছে বা দেখেছে তা চৎরড়ৎ ধৎঃ এর অংশ। নতুন নতুন উদ্ভাবন করে জ্ঞান বিজ্ঞানে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়াই এর উদ্দেশ্য। এজন্য অবশ্য পুরাতন জ্ঞানকে কাজে লাগানো যায় সেজন্য প্রচলিত প্যাটেন্টটি প্যাটেন্ট গ্রহীতা বিক্রয় করতে পারে বা লাইসেন্স প্রদান করতে পারে। এছাড়া প্যাটেন্টের মেয়াদও নিদিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়েছে যেন উক্ত সময়ের পরে তা জনগনের জন্য উন্মোচিত হয়। পৃথিবীর যে কোন দেশে নতুন কিছু আবিস্কার বা উদ্ভাবন হলে ওয়াইপোর মাধ্যমে সেই প্যাটেন্টের প্রযুক্তি হস্তান্তর করা যায় এবং সমগ্র পৃথিবীতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের একটা অব্যক্ত প্রতিযোগিতা চলে।
খ) উদ্ভাবনী প্রয়াস: উদ্ভাবনীটি শুধু নতুন বা প্রচলিত কৌশল বা ধারণার চেয়ে উন্নত ও নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হলেই চলবে না প্যাটেনন্টযোগ্য হতে হলে এটা অবশ্য সৃজনশীল হতে হবে অর্থাৎ উদ্ভাবক এতে যথেষ্ট মেধাশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছে তা প্রতীয়মান হতে হবে।
গ) শিল্পগত প্রয়োগ যোগ্যতা: কোনো উদ্ভাবণীকে প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে তা অবশ্যই এমন প্রকৃতির হতে হবে যেন তা শিল্পক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য হয়।শিল্পক্ষেত্রে বলতে এমন ক্ষেত্র যেখানে কারিগরি পন্থায় কোনো নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করা যায়। প্যারিস কনভেনশন অনুযায়ী বৃহৎ অর্থে হস্তশিল্প,কৃষি, মৎস্য ও সেবাকে বোঝাবে।
এছাড়া দেখতে হবে যেন উদ্ভাবন বা অবিস্কার দ্বারা বারিত না হয়। বিভিন্ন দেশের আইন ও আদালতের সিন্ধান্ত অনুযায়ী নি¤েœাক্ত ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট মঞ্জুর করা যায় না।
ক) কোন তুচ্ছ আবিস্কার বা অস্পষ্ট এবং সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাকৃতিক আইনের পরিপন্থি;
খ) যার ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর;
গ) রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা প্রস্তুতকৃত আবিস্কার যেমন-অপটিক্যাল গ্লাস;
ঘ) যার ব্যবহার আইন ,সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পরিপন্থি;
ঙ) খাদ্য ও ওষুধ সম্পর্কিত আবিস্কার;
চ) কোন বৈজ্ঞানিক মতবাদের উদ্ভাবন,যেমন আপেক্ষিক তত্ত্ব প্যাটেন্ট যোগ্য নয;
ছ) আণবিক শক্তি সম্পর্কিত কোন আবিস্কার;
জ) মাইক্রো বাইওলজিক্যাল প্রসেস;
ঞ) কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবসায় ও ক্রীড়া বিষয়ক পরিকল্পনা;
ট) সাহিত্য নাট্য,সংগীত,শিল্প বা অন্য কোন সৌন্দর্যবোধসম্পন্ন আবিস্কার।

প্যাটেন্ট লংঘন (ওহভৎরহমসবহঃ ড়ভ চধঃবহঃ):
পেটেন্ট ওহভৎরহমসবহঃ বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট কোন পেটেন্টের অনঅনুমোদিত ব্যবহার তৈরীকরন, বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব অথবা বিক্রয় (নির্দিষ্ট কোন পেটেন্টভূক্ত উদ্ভাবন)
প্যাটেন্ট প্রদানের ফলে কোন ব্যক্তি কোন উদ্ভাবনকৃত পন্য প্রস্তুত, ব্যবহার বিক্রয় এর জন্য কোন ব্যক্তিকে লাইসেন্স প্রদানের যে একচেটিয়া অধিকার রয়েছে ,তার লংঘনই হচ্ছে ওহভৎরহমসবহঃ ড়ভ চধঃবহঃ বা প্যাটেন্ট এর লংঘন। প্যাটেন্ট লংঘন মূলত তখনই হয় যখন কোন ব্যক্তি এর লাইসেন্স ছাড়াই উদ্ভাবনকৃত পন্যপ্রস্তুত,বিক্রয় বা ব্যবহার করে থাকে। সেক্ষেত্রে দাবীকৃত উদ্ভাবনটি কোন চৎড়পবংং নয়,বরং পারস্পরিক উপায়ে উৎপাদিত বস্তু বা পন্য। সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যে বানিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তা প্রস্তুত বা সরবরাহ করে যদিও সে জানে না যে বস্তু প্রস্তুত বা ব্যবহার করে সেটা ঐ পন্য বা বস্তু,তখন প্যাটেন্ট এর অধিকার লংঘিত হয়।
কোন কাজগুলো করলে(ওহভৎরহমবসবহঃ) হবে:
১) নিদিষ্ট একটি পেটেন্টভূক্ত উদ্ভাবনের প্রচ্ছন্ন অনুকরন (ঈড়ষড়ঁৎধনষব ওসরঃধঃরড়হ)
২) পদ্ধতিগতভাবে একি রকমের উদ্ভাবন (গধপধহরপধষ বয়ঁরাধষবহঃ)
৩) একটা উদ্বাবনের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো (ঠবৎু নধংরপ) অন্য একটি উদ্ভাবনে ব্যবহার করা।
৪) গধঃবৎরধষ ওসরঃধঃরড়হ ধহফ ওসসবঃবৎরধষ াধৎরধঃরড়হ
কোন কাজগুলো করলে (ওহভৎরহমসবহঃ) হবে না:
১) নিদিষ্ট একটি পেটেন্টভূক্ত উদ্ভাবনের প্রচ্ছন্ন অনুকরন না করলে (ঈড়ষড়ঁৎধনষব ওসরঃধঃরড়হ)
২) পদ্ধতিগতভাবে একি রকমের উদ্ভাবন না হলে (গধপধহরপধষ বয়ঁরাধষবহঃ)
৩) একটা উদ্বাবনের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো (ঠবৎু নধংরপ) অন্য একটি উদ্ভাবনে ব্যবহার করা না করলে।
৪) গধঃবৎরধষ ওসরঃধঃরড়হ ধহফ ওসসবঃবৎরধষ াধৎরধঃরড়হ না হলে।
পেটেন্ট লংঘনের প্রতিকার:
চধঃবহঃ লংঘনের মামলায় বাদী তিন ধরনের প্রতিকার পেতে পারেন। যথা-
১) নিষেধাজ্ঞা (ওহলঁহপঃরড়হ)
২) আর্থিক ক্ষতিপূরণ (উধসধমবং)
৩) মুনাফা ফেরত (জবঃঁৎহ ড়ভ চৎড়ভরঃ)
উপরোক্ত প্রতিকার সমূহ যেসব ক্ষেত্রে প্রদান করা হয় এগুলো হল-
১) নিষেধাজ্ঞা (ওহলঁহপঃরড়হ): বাদী মামলার কার্যক্রম আরম্ভ হওয়ার দিনেই মামলার শুনানী বা আদেশ না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীকে অভিযুক্ত করা হতে বিরত থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞা দাবী করতে পারে।
২) আর্থিক ক্ষতিপূরণ (উধসধমবং) ও মুনাফা ফেরত (জবঃঁৎহ ড়ভ চৎড়ভরঃ): ওহভৎরহমবসবহঃ ড়ভ চধঃবহঃ এর মামলার ক্ষেত্রে বাদী কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আর্থিক ক্ষতিপূরণ (উধসধমবং) ও মুনাফা ফেরত(জবঃঁৎহ ড়ভ চৎড়ভরঃ) পেতে পারে । ১৯১১ এর ২৯ ধারায় উল্লেখ আছে।
৩) মুনাফা ফেরত:পেটেন্ট লংঘনের কারণে বিবাদী যে মুনাফা অর্জন কওে,মামলার মাধ্যমে বাদী উক্ত মুনাফ ফেরত পেতে পার।
প্যাটেন্ট লংঘনের জন্য মামলা দায়েরের এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত:
প্যাটেন্ট লংঘনের জন্য মামলা দায়েরের এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত সম্পর্কিত বিধান  প্যাটেন্ট ও ডিজাইন এ্যাক্ট,১৯১১ এর ২৯ ধারায় উল্লেখ আছে।উক্ত ধারায় বণিৃত বিধান মোতাবেক,পেটেন্ট গ্রহতিা মোকদ্দমা বিচারের এখতিয়ার সম্পন্ন জেলাজজ কোর্টে যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোকদ্দমা রুজু করতে পারবেন।যিনি অত্র আইনের আওতায় কোন আবিস্কারের ক্ষেত্রে পেটেন্ট গ্রহতিা কর্তৃক অর্জিত পেটেন্টের মেয়াদ চলাকালীন সময়ে তার বিনা অনুমতিতে আবিস্কাটি প্রস্তুত করে,বিক্রয় করে বা ব্যবহার করে,কিংবা জালরুপে নকল করে;
তবে শতৃ থাকে যে, পেটেন্ট প্রত্যাহারের জন্য বিবাদি কোন কাউন্টর ক্লেইম পেশ করলে মোকদ্দমাটি সিন্ধান্তের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পাঠাতে হবে।

ওহভৎরহমবসবহঃ সংঘটনের তারিখ থেকে ৩ বছরের মধ্যে মামলা দাযের করতে হবেএবং মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দি কোড অফ সিভিল প্রসিডিউর,১৯০৮ এর প্রাসঙ্গিক বিধান প্রযোজ্য হবে।
খ) উত্তর:
স্পেসিফিকেশন:প্যাটেন্টের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন বা নির্দিষ্টকরণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আবিস্কারের প্রকৃতি এবং যে পদ্ধতিতে তা সম্পন্ন করা হয় তা এত বর্ণনা ও নির্ণয় করতে হয়। এতে দাবীকৃত আবিস্কারের শিরোনাম থাকে। স্পেসিফিকেশন সাময়িক হতে পারে বা সম্পূর্ণ হতে পারে। সাময়িক স্পেসিফিকেমনের শুধু আবিস্কারর প্রকৃতি বর্ণনা করতে হয় কিন্তু সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশনে প্রকৃতি ছাড়াও এর কার্যপদ্ধতি বর্ণনা করতে হয়। এছাড়া উপযুক্ত ড্রয়িং স্বতন্ত্র বিবৃতি এবং প্রয়োজনবোধে আবিস্কারটি ব্যাখ্যাকারী কোনো মডেল জমা দিতে হয়, যদি এ মডেল স্পেসিফিকেশনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় না।
গরহবৎধষ ঝবঢ়ধৎধঃরড়হ ঘড়ৎঃয অসবৎরপধহ ঈড়ৎঢ় ঠ. ঘড়ধঁফধ গরহবং ঈড়ংব(চখউ ১৯৫২ চঈ ৫৩) মামলায় প্রিভি কাউন্সিল এরুপ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, প্যাটেন্ট এর জন্য স্পেসিফিকেশন সুস্পষ্ট হতে হবে। আদালত আরো বলেন যে,লিখিতভাবে এবং সুস্পষ্ট উল্লেখের মাধ্যমে কোনভাবে অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থক হলে তা অবৈধ হবে। যখন কোন আবিস্কার ব্যাখ্যা করা দুরহ হযে পড়ে তখন কিছুটা ছাড় দেওয়া যায় কিন্তু কোন কিছুই দ্ব্যর্থক শব্দ ব্যবহারের অজুহাত হিসেবে দেখানো যাবে না। যখন সাধারণ ভাষা সহজেই প্রয়োগ করা যায়।
গ)
ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ :
১৯৭০ সালে চধঃবহঃ পড়-ড়ঢ়বৎধঃরড়হ ঞৎবধঃু (চঈঞ) সম্পাদিত হয়। পরে ১৯৭৯ সালে তা সংশোধন এবং ১৯৮৪ সালে পরিবর্তন করা হয়। প্যারিস ঈড়হাবহঃরড়হ এর সদস্য রাষ্ট্রের জন্য এটা উন্মুক্ত রাখা হয়। কোনো একটি দেশের নতুন কোন অবিস্কার সেদেশের প্যাটেন্ট দ্বারা সংরক্ষিত হয়। আর্টিকেল ২ এর (র) অনুচ্ছেদে দরখাস্ত বলেতে একটি আবিস্কারের সংরক্ষনের দরখাস্ত বোঝায় এবং দরখাস্ত শুধু আবিস্কারের সংরক্ষণের জন্য নয বরং আবিস্কারের সার্টিফিকেট উপযোগী সার্টিফিকেট, অতিরিক্ত কিছু থাকলে তাও সার্টিফিকেট এর অর্ন্তভুক্ত। আন্তজার্তিক দরখাস্ত বলতে এ চুক্তির আওতায় পেশকৃত দরখাস্ত প্রকৃতপক্ষে আর্ন্তজাতিক দরখাস্ত।
আর্টিকেলস-এ বর্ণিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দরখাস্তে কী কী বিষয় অন্তভ’ক্ত হবে। সেখানে বলা হয়েছে যে, চুক্তিভ’ক্ত যে কোন রাষ্ট্রেই কোন আবিস্কার ষংরক্ষনের উদ্দেশ্যে দরখাস্ত জমা দেওয়া যায়। শুধু এর উপওে আন্তজাতিৃক দরখাস্ত উল্লেখ করতে হবে। আন্তর্জাতিক দরখাস্তে নি¤œবণিৃত বিষয়গুলো অন্তভ’ক্ত করতে হবে-
ক) একটি অনুরোধ;
খ) একটি বর্ণনা;
গ) এক বা একাধিক দাবি;
ঘ) এক বা ্কাধিক ড্রয়িং(যেখানে প্রযোজ্য; এবং
ঙ) একটি সার সংক্ষেপ((অহ ধনংঃৎধপঃ)যা কারিগরি তথ্যকে ব্যাখ্যা কওে;
চ) এটা নির্ধারিত ভাষায় হতে হবে;
ছ) নির্ধারিত সংযোজন দিতে হবে;
জ) আবিস্কারটির বৈশিষ্ট্রের নির্ধারিত প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণ করতে হবে;
ঝ) প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে হবে।

চঈঞ এর ঙনলবপঃ:
চঈঞ এর অৎঃরপষব ১৫ তে এরুপ  ধঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হএর জন্য যে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ংবধৎপয করা হয় তার উদ্দেশ্য বলা আছে।
অৎঃরপষব ১৫ অনুসারে যেসব উদ্দেশ্য ংবধৎপয করা হয় তা হচ্ছে-
১) প্রাসঙ্গিক  চৎরড়ৎ অৎঃ অনুসন্ধান করা এবং
২) চধঃবহঃধনরষরঃু নির্ধারণ করা।
অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ এ উল্লেখিত ঈষধরস,ফবংপৎরঢ়ঃরড়হ এবং উৎধরিহম এর আলোকে এই ঝবধৎপয করা হয়ে থাকে।
চৎড়পবফঁৎব: চঈঞ এর অধীনে কোন পেটেন্ট সুবিধা পেতে হলে যে আবেদন করতে হয় তা ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝবধৎপয এর বিষয় বস্তু। আবেদন গ্রহনের জন্য অর্থৎ প্রার্থিত পেটেন্ট এর চধঃবহঃধনরষরঃু নির্ধারণ কার্যে অঁঃযড়ৎরঃু-কে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। চঈঞ এর অৎঃরপষব ১৭ তে পদ্ধতিগুলো বলা হয়েছে। অৎঃরপষব ১৭ অনুসারে এই ঞৎবধঃু ও জবমঁষধঃরড়হ এর আওতায় ওহভড়ৎসধঃরড়হ ইঁৎবধঁ কর্তৃক সম্পাদিত কোন চুক্তি অনুযায়ী এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চালানো হয়।
অনুসন্ধান কার্যক্রম সমাপ্ত হলে এর রিপোর্ট দরখাস্তকারীর নিকট এবং আন্তর্জাতিক ব্যুরোর নিকট জমা দেওয়া হবে। (অনু-১৮)
এই অৎঃরপষব অনুসারে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝবধৎপযরহম অঁঃযড়ৎরঃু  যদি মনে করে যে, ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ  এর বিষয়বস্তুটি অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই তাহেল জবমঁষধঃরড়হ অনুযায়ী ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝবধৎপযরহম অঁঃযড়ৎরঃু  অনুসন্ধান না করার সিন্ধান্ত নিবে।
প্যাটেন্ট কো-অপারেশন ট্রিটি চঈঞ এর অধীনে আন্তজার্তিক দরখাস্ত (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ):

পেটেন্ট ফেরত নেওয়া:
ধারা-২৬
১) যদি ভুলক্রমে দেওয়া হয়।
২) পেটেন্টির নির্দিষ্ট ঐ নির্দিষ্ট পেটেন্টের কোন রাইট নাই।
৩) পেটেন্টটি নির্দিষ্ট বর্ণনার মাধ্যমে গ্রহন করা হয়েছে।
৪) পেটেন্টটি যথাযথ তথ্য প্রদান না করে নেওয়া হয়েছে।
৫) প্রদত্ত স্পেসিফিকেশনটি বা সংশোধনীটি প্রতারণামূলক।
৬) যে আবিস্কারের জন্য উদ্ভাবনের জন্য পেটেন্টটি নেওয়া হয়েছে সেটা পূর্ব থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছিল।
বা যার পূর্ব থেকেই ব্যবহার আছে।
৭) আবিস্কার বা উদ্ভাবনটির কোন নতুনত্ব নেই।
৮) আবিস্কারটির মাঝে কোন উদ্ভাবণীয় পদক্ষেপ নাই (ইনভেনশন স্টেপ)




কোন ক্ষেত্রে এবং কখন বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান করা হয়:
প্রায় সকল দেশেই অনেক প্যাটেন্টগ্রহীতা তা প্যাটেন্ট অধিকারের অপব্যবহার করে। হয়তো তিনি বিনা কারণে তার আবিস্কারটি ব্যবহার করছেন না কিংবা বিদেশ হতে আমদানি করে অধিক মুনাফা নিযে তা দেশে বিক্রয় করছে কিংবা তার আবিস্কারটি ব্যবহারের জন্য অন্য কাউকে লাইসেন্স প্রদান করছেন না কিংবা তার মৃত্যুতে তার আইনানুগ প্রতিনিধি সেটি ব্যবহার করছেন না। এতে জনস্বার্থ বিঘিœত হয় এবং জনগন এ আবিস্কারের সুফল হতে বঞ্চিত হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য প্যাটেন্ট প্রত্যাহার বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদানের বিধান করা হয়।
 বাংলাদেশে প্রযোজ্য প্যাটেন্ট আইনের ২২,২৩ এবং ২৫ ধারায় বিধান করা হয়েছে। ২২ ধারায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে প্যাটেন্টকৃত পণ্যের চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমানে এবং যৌক্তিক শর্তে পূরণ হচ্ছে না এই মর্মে যে কোন আগ্রহী ব্যক্তি সরকারের নিকট বিনিযোগ করে সেই প্যাটেন্ট প্রত্যাহার করে তাকে লাইসেন্স প্রদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকার সঠিক মনে করলে তা আমলে নিবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
প্যাটেন্টগ্রহীতা যৌক্তিক শর্তে আবেদনকারীর লাইসেন্স প্রদান বা স্বত্ব নিয়োগে রাজি না হলে স্ববিবেচনায় তা নিস্পত্তি করবেন কিংবা সিন্ধান্তের জন্য হাইকোর্টে রেফারেন্স হিসেবে পাঠাবেন। হাইকোর্ট বিভাগও যদি সন্তুষ্ট হন যে, প্যাটেন্টকৃত পন্যের চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমানে পুরণ হচ্ছে না। কিংবা যৌক্তিক শর্তে লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে না। তাহলে হাইকোর্ট স্ববিবেচনায প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিবেন। কিন্তু এরুপ বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান দ্বারা চাহিদা পর্যাপ্তভাবে পূরণ করা যাবে না বলে প্রতীয়মান হয় তবে সরকার বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ আদেশের মাধ্যমে প্যাটেন্ট প্রত্যাহার করতে পারবেন।
প্যাটেন্ট প্রদানের ৪ বছর অতিক্রান্ত হবার পর বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ও প্যাটেন্ট প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেওয়া যাবে এবং প্যাটেন্ট গ্রহীতা যদি তার অক্ষমতার কোন সন্তোষজনক কারণ দেখাতে পারে তাহলে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া যাবে না।
২২(৫) ধারামতে প্যাটেন্টকৃত পন্যের চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমানে এবং যৌক্তিক শর্ত পুরণ করা হযনি বলে গন্য করা হবে যদি-
ক) প্যাটেন্ট গ্রহীতার কারণে প্যাটেন্ট কৃত পণ্যের প্রয়োজনীয় ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে উৎপাদন না করলে এবং যৌক্তিক শর্তে সরবরাহ না করা হলে এবং এর ফলে বাংলাদেশে বিদ্যমান বা নতুন শিল্প বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়; কিংবা
খ) প্যাটেন্টকৃত পণ্য ক্রয়, ভাড়া বা ব্যবহার বা প্যাটেন্টকৃত প্রক্রিয়া ব্যবহার বা কার্যকর করতে প্যাটেন্ট গ্রহীতা কর্তৃক আরোপিত শর্তের কারণে বাংলাদেশে কোন ব্যবসায় বা শিল্প মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
একইভাবে প্যাটেন্টপ্রত্যাহার বা বাধ্যতামূলক লাইসেন্স দেওয়া যায় যদি কোন ব্যক্তির অভিযোগের পর তদন্তে প্রমানিত হয় যে, প্যাটেন্ট গ্রহীতা প্যাটেন্ট অর্জনের পর হতে ক্রমাগতভাবে কমপক্ষে ৪ বছর প্যাটেন্টকৃতপন্য বা প্রক্রিয়া বাংলাদেশের বাইরে উৎপাদন করা হয়েছে বা চালানো হয়েছে (ধারা-২৩)। তবে সরকার প্যাটেন্টগ্রহীতার আবেদনক্রমে অনূর্ধ ২ বছরের মধ্যে প্যাটেন্টগ্রহীতা পর্যাপ্ত কারণ দেখায় বা বাংলাদেশে উৎপাদন বা প্রক্রিয়ায় শুরু করে, প্রত্যাহারের আদেশটি প্রত্যাহার করতে পারে।
প্যাটেন্ট গ্রহীতাও ইচ্ছা করলে প্যাটেন্ট সমর্পণ করতে পারে এবং রেজিষ্ট্রার প্যাটেন্ট প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারেন।(ধারা-২৪)।
যদি কোন প্যাটেন্ট বা পদ্ধতি প্রয়োগ করে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর বা সাধারণভাবে জনগনের জন্য অনিষ্টকর প্রতীয়মান হয় তাহলে সরকার সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্যাটেন্টটি প্রত্যাহার করতে পারেন (ধারা-২৫)।


ডযড় রং ড়হিবৎ ড়ভ চধঃরবহঃ? উরংপঁংং ঃযব ফরভভবৎবহঃ ৎরমযঃং ড়ভ ড়নষরমধঃরড়হং ড়ভ ঢ়ধঃবহঃবব ঁহফবৎ ঢ়ধঃবহঃ ষধ.ি
 চধঃবহঃবব তার আবিস্কার বা উদ্ভাবনের জন্য প্যাটেন্ট গ্রহন করার পর উক্ত আবিস্কার বা উদ্ভাবনটি সে ইচ্ছামত নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে (বীঢ়ষড়রঃ)পারে এবং এক্ষেত্রে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না এবং যদি অন্য কেউ এতে হস্তক্ষেপ করতে চায় তাহলে চধঃবহঃবব তাকে বজন করতে পারেন।
১.(ঞড় বীঢ়ষড়রঃ)একজন চধঃবহঃবব তার প্যাটেন্টকৃত বস্তু নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করার একচেটিয়া অধিকার পায়- ক)চৎড়ফঁপঃ এর ক্ষেত্রে চধঃবহঃবব তার প্যাটেন্টকৃত বস্তু-
১) তৈরী করতে পারে;
২) ব্যবহার করতে পারে;
৩) বিক্রয় করতে পারে; এবং
৪) আমদান করতে পারে।
খ) বা প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তার-
১) চৎড়পবংং এর মাধ্যমে সরাসরি প্রাপ্ত চৎড়ফঁপঃ  ব্যবহার করতে পারে;
২) চৎড়পবংং এর মাধ্যমে সরাসরি প্রাপ্ত চৎড়ফঁপঃ  তৈরী করতে পারে;
৩) চৎড়পবংং এর মাধ্যমে সরাসরি প্রাপ্ত চৎড়ফঁপঃ  বিক্রয় করতে পারে; এবং
৪) চৎড়পবংং এর মাধ্যমে সরাসরি প্রাপ্ত চৎড়ফঁপঃ  আমদানী করতে পারে।
এগুলো হচ্ছে একজন চধঃবহঃবব তার প্যাটেন্টকৃত বস্তু নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করার একচেটিয়া(ঊীপষঁংরাব ৎরমযঃ) অধিকার।
২.(ঞড় ঃৎধহংভবৎ)
ধ) অংংরমহসবহঃ
ন) গড়ৎঃমধমব
প) খরপবহংব/ঈড়সঢ়ঁষংড়ৎু খরপবহংব.
এছাড়া প্যাটেন্ট আইন অনুযায়ী একজন আরো দুটি নিরঙ্কুশ অধিকার ভোগ করে থাকে। যথা-
১) লংঘনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার অধিকার
২) আংশিক বা পুরোপুরিভাবে প্রদত্ত অধিকার হস্তান্তর বা লাইসেন্স প্রদান।
প্যাটেন্ট প্রদত্ত অধিকার চুড়ান্তভাবে ভোগ করবে শুধুমাত্র অন্য কেউ নয়।কিন্তু এই নিয়ম লংঘন করে অন্য কোন তৃতীযপক্ষ চধঃবহঃবব কৃত দ্রব্য যদি ব্যবহার করতে চায় তাহলে তা হবে অবৈধ এবং চধঃবহঃবব এ ধরনের অবৈধ লংঘন প্রতিরোধ করতে পারবে এবং সেই সাথে উক্ত লংঘন কারীকে বর্জন করতে পারবে। একজন চধঃবহঃবব প্যাটেন্ট এর মাধ্যমে এই একচেটিয়া অধিকার পায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট মালিক সীমিত অবস্থায় এধরনের প্যাটেন্টকৃত অবিস্কার কাজে লাগানোর জন্য অনুমতি প্রদান করতে পারেন।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বরা যায় যে,নিম্নলিখিত নিরংকুশ অধিকার ভোগ করে-
১) প্যাটেন্টকৃত বস্ত ভোগ বা নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করার নিরংকুশ অধিকার;
২) প্যাটেন্ট মালিকের বিনা অনুমতি ব্যতীত কেউ যদি উদ্ভাবনকে কাজে লাগায় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইন কানুনের ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার;
৩) আংশিক বা পুরোপুরিভাবে প্যাটেন্ট প্রদত্ত অধিকার হস্তান্তর বা প্যাটেন্ট কৃত উদ্ভাবন ব্যবহারের জন্য অন্যকে লাইসেন্স প্রদান প্রতিকার
২.(ঞড় ঃৎধহংভবৎ)
ধ) অংংরমহসবহঃ
ন) গড়ৎঃমধমব
প) খরপবহংব/ঈড়সঢ়ঁষংড়ৎু খরপবহংব.
চধঃবহঃ ওহভৎরহমবসবহঃ এর প্রতিকার:
প্যাটেন্ট ল টা অনেক আগেকার। এটা ঞজওচঝ অমৎববসবহঃ  এর আলোকে তৈরী হয়নি। ওহভৎরহমবসবহঃ ড়ভ
আমাদের ’ল, গুলো ঞজওচঝ অমৎববসবহঃ  এর সাথে কতটুকু সামঞ্জস্য:
১) কপিরাইট পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
২) ট্রেডমার্ক এর কনটেক্সএ একটি ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। উচউঞ একটি স্বাধীন সংস্থা তৈরী হয়েছে।
৩) প্যাটেন্ট ’ল’ এর প্রেক্ষিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কারণ আইনটি অনেক পুরাতন ফলে সেখানে প্যাটেন্ট রাইট ঞজওচঝ এর মত করে সংরক্ষিত হয়নি। ২০০১  ড্রাফট প্যাটেন্ট ’ল’ তবে ঐ ড্রাফট এ টঃরষরঃু গড়ফবষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
৪) আমাদের ’ল’ গুলো মোটামুটি দুই ধরনের প্রতিকার দিয়ে কপিরাইট, ট্রেডমাক, প্যাটেন্ট রাইটগুলো সুরক্ষিত রয়েছে।


3 comments:

  1. Thanks for your contribution,


    From LLB final year student

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. Dear G C Sarkar Sir,

    Thanks for your awesome site which is very much help me to face LLB Final exam but I have to face some critical fonts like ২.(ঞড় ঃৎধহংভবৎ), ধ) অংংরমহসবহঃ
    ন) গড়ৎঃমধমব
    প) খরপবহংব/ঈড়সঢ়ঁষংড়ৎু খরপবহংব.
    চধঃবহঃ ওহভৎরহমবসবহঃ এর প্রতিকার:
    ওহভৎরহমবসবহঃ ড়ভ

    Please tell me which fonts, I should select for clear language.

    I am waiting for your reply on any one can give the solution.

    With regards,

    Md. Tajul Islam

    ReplyDelete